টাইটেল : বাস্তব ঘটনা : ছোট বেলা আমার লেখা হুমকি চিঠি
তখন আমি ক্লাস ৪ এ পড়ি।.পাড়ার ছেলেদের সাথে আমার বেশি পরে না। তাই আমি প্রফেসর পারায় যেতাম ক্রিকেট খেলতে ।আমার অভ্যাস ছিল বড় ভাইয়াদের সাথে খেলা ধুলা করা। কিন্তু তারা আমাকে বেশি গুরুত্ত দিত না।তার পরেও খেলতাম।আমার সাথে যারা খেলতো তারা অধিকাংশ আমার থেকে প্রায় ৪-৫ বছরের বড়। সেহানে খেলতে গিয়ে আমি খুব কম সময় ব্যাটিং বা বোলিং পেয়ে ছি। আর অধিকাংশ সময় ফিল্ডিং খেটেছ।তবে যারা আমার সাথে খেলতো তারা সবাই আমার দূর সম্পর্কের কাকাতো বা ফুফাতো ভাই ।
একবার হল এক কান্ড !!!
আমার এক কাকাতো ভাই তখন ব্যাট করছে ।পাড়ার আরেক ছেলে বল হাতে লাথিস মালিঙ্গা স্টাইলে বল করে দিল। আমার ভাইও কম যায় না। এবি ডিভিলিয়াসের মোট ব্যাট হাঁকালো। কিন্তু দুর্রভাগ্য বসত বল গিয়ে পরলো জমেলা আন্টিদের বাড়ির ভেতর গিয়ে। জমেলা আন্টিদের বাড়ি এরিয়া ৫১ এর চেয়ে কোনো অংশে কম যায় না। কিন্তু কি আর করবো? বল চাইতে আমরা সবাই গেলাম ।আমাদের খেলার টিমের সবার বড় আনসার ভাই। উনি বল চাইলেন। ওরে মা চাইছে কি চাইছে আমাদের গায়ে জমেলা আন্টির প্রত্যেক টি ঝাড়ি একদম পারমাণবিক বোমার মোট এসে লাগলো। বল তো পেলাম না এবার, তাহলে কি করা যায়? সবাই আমার দিকে ঘুরে তাকালো। কি ব্যাপার সবাই এই রকম ভাব নিয়ে আছে কেন? আনসার ভাই আমার হাতের লেখা সম্পর্কে অবগত। ছোট বেলা থেকে আমার হাতের লেখা ছিল বড় মানুষের হাতের লেখারমত । আনসার ভাই আমার দিকে তাকে বলল” কিরে সোনার হোটেলের সিঙ্গারা খাবি”। আমার আর বোঝার বাকি রইলো না যে ের আমাকে দিয়ে কি কাজ করবে !!!!!!!
হ্যা হুমকি চিঠি। আমাদের ওই পাড়ার জমেলা আন্টির দেমাগ কোনো অংশে কমে না ।তার দুই মেয়ে আছে ।একটি আমাদের সাথে পরে। আরেকটা পরে ক্লাস ৮ ।সেই দুই মেয়ের ট্যালেন্ট নিয়ে আন্টির সেকি দেমাগ। খাইছে !!!আমাদের মনে হয় ওই রকম ব্রেন নাইইই !!!
যায় হোক আনসার ভাই আমাকে দিয়ে চিঠি মানে হুমকি চিঠি লিখাচ্ছে। যাই হোক চিঠির মধ্যে অনেক অশ্লীল কথা বার্তা ছিল। মূলত ডাকাত দেবার অগ্রিম চিঠি। আচ্ছা ঠিক আছে !আমি লিখছি! কিন্তু চিঠির এক পর্জায় আমাকে বলা হল যে ” লেখ , আর যদি আপনারা আমরা যে ডেট দিচ্ছি তার আগে বাড়ি ছাড়েন তাহলে আপনাদের দুই মেয়েকে তুলে আনবো “। আমি বললাম ভাই তুলে এনে কি করবেন। পাশ থেকে কে যেন বলে উঠলো ওই হারামি তুলে অন্য কি জিনিস সেটা তোর বুঝে লাভ কি লেখ আমি ওদের কথা মতো লিখছি ।
রীতি মোট আমার লেখা চিঠি দেওয়া হল এরিয়া ৫১ এর ভিতরে, মানে জমেলা আন্টিদের বাড়ির ভেতর ।পরের দিন সকালে হৈ হৈ রোই রোই কান্ড !পুলিশ আসছে ।আল্লাহ এইবার আমরা গেছি ।আমার আরেক চাচী আমার লেখা সম্পর্কে অবগত। তিনি আমার মা কে ইনফর্ম করে দিলেন। আমার মা আমাকে রীতিমতো উত্তম মধ্যম দিয়ে বলে দিল আর ওই পারে না যাতে ।আমি তার কথা মত আর বাড়ির বাইরে গেলাম না ।আমার ভাগ্য ভালো আমার ওই চাচী পাড়ার আর ১০ তা লোক কে বলেনি যে আমাদের এই কান্ড ।আমি চাচী কে সব খুলে বলি যে আমার সাথে এইসব ব্যবহার করেছে ।
২ দিনের মধ্যে জমেলা চাচীরা ঢাকা চলে গেল। আর এই জন্মে আসে নি ।এখন আমাদের গ্রূপ এর সদস্য, আমি্ , আমার মা (আব্বু জানে না ) আর ওই চাচী বাদে কেউ জানে না এই ঘটনা ।
শুনেছি এখন ওই চাচীরা ঢাকা তে সেটেল হয়ে গেছে ।
এইটা বাস্তব ঘটনা …..