প্রিয় পাঠক-পাঠিকাগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। যদিও পৃথিবী এখন কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলায়। দৃঢ় মনোবল নিয়ে এই পরিস্থিতি হতে আমাদের সবাইকে ভালো থাকতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে আমি অরণ্য কবিতাটি লিখেছি। পারিপার্শ্বিক অবস্থা এখন ভালো নয়, এই অবস্থায় আমরা যেন, একে অন্যকে বিপদের মুখে ফেলে না দেই। একে অন্যের হাত ধরে এগিয়ে যাই। সেই কামনা করি।
এ কথা মাথায় রেখে অরণ্য কবিতাটি উপস্থাপন করিলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
অরণ্য
অরণ্যে হারিয়ে ছিলাম আমি সেদিন একাকী।
কালো মেঘে ভরা ছিল আকাশেতে,
বজ্রপাতের শব্দে কান যাচ্ছিল ফেটে,
মন তখন ভয়ে কাঁপছিল থরথর।
চিৎকার করেছিলাম আমি তখন, নির্জনে একাকী
সে চিৎকারে বন্য প্রাণীরাও গর্জন ছেড়ে দাঁড়িয়েছিল থমকে,
শুধু আসেনি কোনো মানব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে।
অন্যের বিপদে সাহায্যের হাত যদি না পারো বাড়াতে,
এমন জনম বৃথা হয় তবে।
অন্যের কল্যাণে নিজের মুক্তি
সার্থক তোমার সংগ্রাম-শক্তি।
প্রিয় পাঠক-পাঠিকাগণ আশা করি ভালো আছেন। আমি ভালো আছি। সবাই ভালো থাকবেন। সমস্ত
প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদেরকে ভালো থাকতেই হবে। নিজেকে ভালো রাখতে হবে। সেজন্য সবসময় ভালো রাখতে হবে আমাদের মন। মন ভালো থাকলে আমরা সুস্থ থাকব। নিজের উন্নতি সাধন করতে পারব।
আপনাদের সামনে “অনির ভালোবাসা” এবং “ভালোবাসা দিবস” কবিতা দুটি উপস্থান করিলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। জীবনে ভালোবাসার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। মানুষের জীবনে ভালোবাসা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়, ভিন্ন ভিন্ন রূপ নেয়। বাবা-মায়ের ভালোবাসা, বন্ধুদের ভালোবাসা। যার যতটুকু ভালোবাসা প্রাপ্য, তাকে ততটুকু ভালোবাসা দিতে হবে। তাহলেই ভালোবাসা সার্থক হবে। “অনির ভালোবাসা” কবিতায় অনি ভালোবাসার মানুষকে পায়নি তাই বিয়ে করেনি। হয়তো একদিন সে বিয়ে করে নিবে। বিয়ের পর স্বামী-সন্তানসহ সবাইকে ভালোবাসবে। জীবন থেমে থাকে না যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবেলা করে এগিয়ে চলে জীবন।
অনির ভালোবাসা
অনি বিকেল বেলা বারান্দায়,
একা বসে বসে ভাবছে,
ওর বন্ধুদের কথা।
এখন অনি শুধুই একা,
মাস্টার্স ডিগ্রি শেষ করে চাকুরি করছে।
আজ অনির ছুটি।
অনি ভার্সিটিতে অলোককে ভালোবেসেছিল।
তাই অনি আজও বিয়ে করেনি।
ওর কোনো পিছুটান নেই,
অনির জন্য অপেক্ষা করে না,
কারণ অনি জানে না অলোক এখন কোথায় আছে।
অনি অলোককে প্রচণ্ড ভালোবাসত,
অলোকও অনিকে প্রচণ্ড ভালোবাসতো।
ভালোবাসা দিবস
ভালোবাসা দিবসে উৎসর্গ করিলাম নিজেকে,
যার যতটুকু প্রাপ্য সে ভালোবাসা দিতে হবে সকলকে,
ভালোবাসাহীন জীবন হয়না সুন্দর।
ভালোবাসায় করোনা কার্পণ্য,
ভালোবাসায় দাও বিলীন করে নিজেকে।
তুমি যতই ভালোবাসবে ততই ভালোবাসা পাবে,
ভালোবাসার কমতি হয় না বরং বেড়েই চলে অবিরত,
তাই বাবা-মা, সন্তান-সন্ততি সবাই সবাইকে ভালবাসতে হবে,
তবেই ভালোবাসার জয় হবে।