অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে আর্টিকেল রাইটিং সম্ভাবনাময় একটি ক্ষেত্র। যাদের ইংরেজিতে দক্ষতা রয়েছে তারা এই ধরনের কাজ করার মাধ্যমে মাসে বেশ ভালো অঙ্কের আয় করতে পারবেন। চাইলে আপনি বাংলাতেও আর্টিকেল লিখে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে ইংরেজিতে তার থেকে অনেক বেশি আয় করতে পারবেন। বাংলাদেশেই অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন, যারা নিজেদের ভাষাগত দক্ষতাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে এ ধরনের কাজগুলো বেশ ভালো ভাবে করে যাচ্ছেন সাথে। এই সব ফ্রিল্যান্সাররা তাদের এই কাজটিকে মূল পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
আর্টিকেল রাইটিং অর্থাৎ লেখালেখি শুরু করার আগে প্রথমে পূর্বে আপনাকে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, আপনি যে ভাষায় কাজ করবেন সে ভাষার বানান এবং ব্যাকরণ সঠিকভাবে জানা থাকতে হবে। আপনার নির্বাচিত ভাষা যদি ইংরেজি হয় তাহলে বিশেষ করে কমপ্লেক্স ও কম্পাউন্ড বাক্যগুলো ঠিকভাবে লেখার যোগ্যতা রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, এই কাজে পারিশ্রমিক হিসেবে ঘণ্টায় ন্যূনতম ৭ ডলার থেকে ১৫ ডলার পাবেন। তৃতীয়ত, আপনাকে কোনো কোনো মাসে হয়তো প্রতিদিন ১-২ ঘণ্টার কাজ করতে হতে পারে, আবার কখনো হয়তো ৮-৯ ঘণ্টার কাজও করা লাগতে পারে।
কাজের ধরণ
আর্টিকেল রাইটিংয়ে বেশ অনেক ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে।
- Article writing
- Article Rewriting
- Copy Writing
- Report Writing
- Blogpost Writing
- Proofreading
- Ghostwriting
- Translation
- Medical Writing, etc.
উপরের এই কাজগুলো ছাড়াও আরো বেশ কিছু কাজ রয়েছে যা আপনি ইন্টারনেট থেকে সহজেই জানতে পারবেন।
বেশি পারিশ্রমিকের কাজ
০১. আর্টিকেল রাইটিং বা কনটেন্ট রাইটিং
০২. প্রুফরিডিং ও এডিটিং।
এক কথায় বলতে হলে আর্টিকেল রাইটিং বা কনটেন্ট রাইটিং হলো কোনো বিষয়ে ৪০০-১০০০+ শব্দের লেখা তৈরি করা, যা কোনোভাবেই কপি করা লেখা যাবে না। কপি লেখা ধরা পড়লে আপনার আর্টিকেল রাইটিং এর পারিশ্রমিক কখনই পাবেন না। আর Proof reading বলতে কোনো লেখার বানান, গ্রামার, স্টাইল ইত্যাদির ভুলগুলো ঠিক করে দেওয়া। এর সাথে এডিটিং হলো লেখাটিকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তোলার পদ্ধতি।
এই কাজে কী পরিমাণ আয় হতে পারে?
এই কাজে আয় নির্ভর করবে মূলত ৩টি বিষয়ের ওপর :
- কতটা কাজ পাচ্ছেন
- কাজের পারিশ্রমিক কেমন এবং
- আপনি কত ঘণ্টা সময় দিতে পারছেন।
এই কাজে কতটুকু শ্রম দিতে হবে?
আপনাকে মনে করতে হবে আপনি এক ঘণ্টায় ১৩০০+ বা আরো বেশি শব্দ টাইপ করতে পারবেন। দ্রুত একটি লেখা পড়ে কম সময়ে আরেকটি লেখা লিখতে পারবেন। কতটা ধৈর্য সহকারে কাজ করতে পারবেন, কত ঘণ্টা এভাবে কাজ করতে পারবেন, তা নির্ভর করছে আপনি কতটা কাজ পাচ্ছেন ও নিজে কতক্ষণ করতে সক্ষম হচ্ছেন তার ওপর। শেষ কথা হলো লেগে থাকুন। হাল ছেড়ে দিবেন না। তাহলে সফলতা অবশ্যই পাবেন।