আসসালামু আলাইকুম । কেমন আছেন সবাই?আশা করি সকলে ভালো আছেন।বিজ্ঞান নিয়ে আমাদের আগ্রহের শেষ নেই।প্রতিদিন বিজ্ঞান আমাদেরকে নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।সেই সাথে আমাদের শিখাচ্ছে নিত্য নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার।প্রযুক্তির এই উন্নয়নের পালে হাওয়া লাগিয়েছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা।
আমরা কম বেশি সকলেই কার্টুন, মুভি অনেকেই দেখে থাকি।সেখানে দেখানো হতো কিভাবে যন্ত্র কথা বলছে,কিভাবে গ্যাজেট ডায়নাসরকে হারিয়ে দিচ্ছে,কিভাবে নতুন নতুন যন্ত্র বিশাল শক্তিতে পরিণত হচ্ছে।এই সকল জিনিস কার্টুনে দেখে একসময় যা কিছু কল্পনা করতাম তারই বর্তমান সংস্করন হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিংবা আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স।আমাদের সেই কল্পনার জগতের পালে হাওয়া লাগিয়েছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স কিংবা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা।প্রায় ১৯৫০ সালে গড়ে উঠেছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স এর শাখাটি।কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে যন্ত্রকে মানুষের মতো যন্ত্রকে কাজে লাগাতে পারে মানব কল্যাণে।সেই ধারনার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে বিজ্ঞানের এই শাখাটি।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স এর ব্যবহারের ফলে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের নানা ধরণের পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে।মানুষ এখন প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে।সেই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে হবুহ মানুষের মতো কাজ করার ক্ষমত নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে রোবট। সেই সব রোবট হুবুহু মানুষের মতো কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফলে আমাদের জীবনযাত্রার পরিবর্তন হচ্ছে।যেই সাথে পরিবর্তন হচ্ছে আমাদের দৈনন্দিন কাজের। এখন গাড়ি নিজে নিজে চলতে পারতেছে কোন ধরণের ড্রাইভার ছাড়াই।কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ফলে কলকারখানায় মানুষের পরিবর্তে রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে।আজকাল রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের পরিবর্তে রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে।ফলে পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে।
মানুষ এখন কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ফলে এগিয়ে যাচ্ছে বহুদূর। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে।নিত্য নতুন প্রযুক্তি মানুষেরএখন আকর্ষণ এর অন্যতম কারণ।এই আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স এর ফলে নতুন নতুন গবেষণা হচ্ছে,নতুন নতুন জার্নাল আবিষ্কার হচ্ছে।এসব জিনিস মানুষকে প্রযুক্তি নির্ভর করে তুলছে।যা একদিকে যেমন ভালো দিক অন্যদিকে তেমনি খারাপ দিক।
কারণ প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে মানুষ অনেকটা প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছে।অদূর ভবিষ্যৎ এ মানুষের পরিবর্তে রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে।তাছাড়াও ভবিষ্যতে কর্মস্থানে মানুষের পরিবর্তে রোবট ব্যবহার করা হবে।ফলে বিরাট কর্ম সংস্থানের অভাব দেখা দিবে। এছাড়াও মানব সভ্যতা হুমকির সম্মুখীন হতে পারে।তাই প্রযুক্তি একদিকে যেমন আমাদের জন্য কল্যাণের অন্যদিকে তেমনি অভিশাপ এর সমতুল্য।
আশা করি আজকের পোস্টটির মাধ্যমে আপনাদের আমি কিছুটা হলেও আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স কিংবা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে ধারণা দিতে পেরেছি।আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন।ধন্যবাদ সবাইকে।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন