আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের সামনে নিয়ে এলাম আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার উপায় ও দোয়া সম্পর্কে একটি ইসলামিক আর্টিকেল। আশা করি আপনাদের অনেক ভাল লাগবে।
আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার উপায় ও দোয়া
৫৭০ খ্রিস্টাব্দ। আরব উপদ্বীপ। বিভিন্ন পাপাচারে লিপ্ত আরব জনগণ। মদ, নারী ও জুয়া তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেয়া যেন এক সাধারন সামাজিক প্রথা। সে এক ভয়ংকর অন্ধকার যুগ “আইয়ামে জাহেলিয়া”। সেই ভয়ংকর অন্ধকার যুগে মক্কার কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলো করে এলেন বিশ্বনবী, পেয়ারা নবী হযরত মুহাম্মদ(স)। জগতের সকল অন্ধকার দূর করে প্রতিষ্ঠা করলেন চিরসবুজ আলোকিত শান্তির ধর্ম ইসলাম। প্রকাশ করলেন এ বিশ্বব্রক্ষান্ডের একমাত্র ও একচ্ছত্র অধিপতি ও স্রষ্টা মহান আল্লাহ তায়ালার পবিত্র বাণী ঐশী গ্রন্থ “আল কুরআন।“
আমরা যারা অতি সাধারন মানুষ তারা সবাই এই দুনিয়ার বুকে মানুষের ভালবাসা চাই, জনপ্রিয় ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই। আমরা চাই সকল মানুষ আমাদের শ্রদ্ধা করুক, ভালবাসুক, সম্মান করুক। এ কাজটি করতে গিয়ে আমরা তাদের অনুসরন করি যারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত, আদর্শবান, গন্য মান্য প্রভাবশালী ব্যক্তি যাদের সাধারন মানুষ ভালবাসে, শ্রদ্ধা করে, সম্মান করে, ইজ্জত দেয়। কিন্তু দুনিয়াবী এই খ্যাতি, ভালবাসা আখেরাতের তুলনায় ধুলিকনার মত। আর আখেরাতের সমস্ত প্রশংসার, ভালবাসার, সম্মান ও ইজ্জতের অধিকারী একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালা। দুনিয়াতে যেমন আমরা প্রভাবশালী ব্যক্তির নৈকট্য পেলে নানা সুবিধা ভোগ করি তেমন আখেরাতেও মহান আল্লাহ তায়ালার ভালবাসা পেলে আমরা পাব এক অনন্ত ভালবাসাময় সুখের জীবন। আর এই অনন্ত ভালবাসাময় জীবন ও আল্লাহর নৈকট্য ও ভালবাসা পেতে হলে আমাদের দুনিয়াতে পরিশ্রম ও সঠিক আমল করতে হবে। আসুন পাঠক জেনে নেই মহান আল্লাহ তায়ালার ভালবাসা পাবার উপায় সমূহ।
পবিত্র কুরআনুল কারিমে মহান আল্লাহপাক বলেছেন-
وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَشَدُّ حُبًّا لِّلّٰ
অর্থঃ আর যারা মুমিন আল্লাহর সঙ্গে তাদের ভালবাসা প্রগাঢ়।’ (সুরা বাকারা: আয়াত ১৬৫)
মুমিন অর্থ বিশ্বাসী। যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের আদেশ নির্দেশ ও সুন্নাহয় বিশ্বাস করেন তাদের মুমিন বলা হয়। একজন প্রকৃত মুমিনই আল্লাহ তাআলার ভালবাসা ও নৈকট্য অর্জন করতে সক্ষম। প্রকৃত মুমিন হতে হলে আমাদের জানতে হবে আল্লাহ তাআলা কোন কাজ বেশি ভালবাসেন, কোন কাজে রহমত নাজিল করেন, কোন কাজে অভিশাপ দেন এবং তার রহমত থেকে বঞ্ছিত করেন। এসব বিষয়ে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে চেষ্টা, সাধনা, ও আমল দ্বারা আল্লাহর ভালবাসা অর্জন করাই একজন প্রকৃত মুমিনের অভীষ্ঠ লক্ষ্য। আল্লাহ তায়ালা কাদের বেশি ভালবাসেন এ সম্পর্কে পবিত্র গ্রন্থ “আল কুরআন” ও নবীজির সুন্নাহয় স্পষ্ট বর্ণনা করা আছে। যেমনঃ
১) তওবাকারীঃ
মহান আল্লাহ তায়ালা বারংবার তার পাপ কাজের জন্য তওবাকারী বান্দা ও পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার শপথ নেয়া বান্দাকে অত্যধিক ভালবাসেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ التَّوَّابِیۡنَ
অর্থঃ ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদেরকে ভালবাসেন।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২২২)
২) রাসুল(স) কে অনুসরণ কারীঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ ও অনুকরণকারীকে মহান আল্লাহ তাআলা অত্যধিক ভালোবাসেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন-
قُلۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تُحِبُّوۡنَ اللّٰهَ فَاتَّبِعُوۡنِیۡ یُحۡبِبۡکُمُ اللّٰهُ وَ یَغۡفِرۡ لَکُمۡ ذُنُوۡبَکُمۡ ؕ وَ اللّٰهُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
‘(হে রাসুল! আপনি) বলে দিন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও, তবে আমার অনুসরণ কর; তবেই আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা ইমরান: আয়াত ৩১)
৩) পবিত্রতা অর্জনকারীঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন – আল্লাহ তাআলা পবিত্র; তিনি পবিত্রতা অর্জনকারীকে ভালোবাসেন।
সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমেও এ কথার ঘোষণা এভাবে দিয়েছেন-
وَ یُحِبُّ الۡمُتَطَهِّرِیۡنَ
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ভালবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে।’ (সুরা বাকারা: আয়াত ২২২)
৪) দানশীল ব্যক্তিকে ভালবাসেন
মহান আল্লাহ তায়ালা পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু। তিনি মুসলিম, কাফের, নাস্তিক, আস্তিক, ইহুদী, নাসারা নির্বিশেষে সবাইকে তার অসীম নেয়ামত দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। তাই দান করার মধ্যমে যারা আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করেন মহান আল্লাহ তায়ালাও তাদের ভালবাসেন। এ সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-
إن الله جواد يُحبُّ الجود
যারা দানবীর; দানশীলতাকে যারা অগ্রাধিকার দেবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তাদের মহব্বত করেন।
৫) ন্যায়বিচারকারী
মহান আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং ন্যায়বিচারক। তাই ন্যায়বিচারকারীকে তিনি অত্যধিক ভালবাসেন। সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَ اَقۡسِطُوۡا ؕ اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ الۡمُقۡسِطِیۡنَ
‘আর তোমরা ন্যায়বিচার কর। নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়বিচারকারীদের ভালবাসেন।’ (সুরা হুজরাত : আয়াত ৯)
৬) মহান আল্লাহর প্রতি আস্থা স্থাপনকারী
বিপদে, আপদে, সুখে, দুঃখে, সচ্ছল, অসচ্ছল, শক্তিশালী বা দূর্বল সর্বাবস্থায় ধৈর্যধারন করে মহান আল্লাহর উপর সম্পূর্ন ও পরিপূর্ন আস্থা স্থাপনকারীকে মহান আল্লাহ তায়ালা অসম্ভব ভালবাসেন। মহান আল্লাহ তাআলা তাদের ভালোবাসেন মর্মে কুরআনে এভাবে ঘোষণা দিয়েছেন-
فَاِذَا عَزَمۡتَ فَتَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ الۡمُتَوَکِّلِیۡنَ
‘অতঃপর তুমি কোনো সংকল্প গ্রহণ করলে আল্লাহর প্রতি নির্ভর কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ (তাঁর উপর) নির্ভরশীলদের ভালোবাসেন।’ (সুরা ইমরান
: আয়াত ১৫৯)
৭) কোমল হৃদয়ের ব্যক্তিকে ভালবাসেন
কোমল হৃদয়ের নম্র,ভদ্র ব্যক্তিকে সবাই ভালবাসে, শ্রদ্ধা করে ও সম্মান করে। মহান আল্লাহ তায়ালার হৃদয়েও তিনি মহব্বতের, ভালবাসার স্থান পান। হাদিসে এসেছে-
إن الله يحب الملحين في الدعاء
যে বান্দা প্রতিনিয়ত মুক্তি পেতে আমার কাছে দোয়ার মাঝে মশগুল থাকে; আমি সেই বান্দাকে মহব্বত করি, ভালোবাসি।
আল্লাহর ভালবাসা পাওয়ার দোয়া
মহান আল্লাহ তায়ালার ভালবাসা পাবার অনেক দোয়া রয়েছে। নিয়মিত পাঁচওয়াক্ত নামাজের সহিত এই দোয়া গুলো আমল করলে মহান আল্লাহর ভালবাসা ও রহমত বর্ষিত হতে থাকে আমলকারী বান্দার উপর। সেরকম কয়েকটি দোয়া এখানে উল্লেখ করা হলঃ
আল্লাহর ভালোবাসা পেতে হজরত দাউদ আলাইহিস সালামের দোয়াটি বেশি বেশি পড়া ও আমল করা। হাদিসে এসেছে-
اَللَّهُمَّ اِنِّىْ أَسْأَلُكَ حُبَّكَ وَ حُبَّ مَنْ يُّحِبُّكَ وَ الْعَمَلَ الَّذِىْ يَبْلُغُنِىْ حُبَّكَ – اَللَّهُمَّ اجْعَلْ حُبَّكَ اَحَبَّ اِلَىَّ مِنْ نَفْسِىْ وَ اَهْلِىْ وَ مِنَ الْمَاءِ الْبَارِدِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা হুব্বাকা ওয়অ হুব্বা মাইঁ ইউহিব্বুকা ওয়াল আমালাল্লাজি ইয়াবলুগুনি হুব্বাকা আল্লাহুম্মাযআল হুব্বাকা আহাব্বা ইলাইয়্যা মিন নাফসি ওয়া আহলি ওয়া মিনাল মায়িল বারিদি।’ (মিশকাত)
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে তোমার ভালোবাসা লাভের আহ্বান করছি।
তোমার সঙ্গে যেন আমার ভালোবাসা হয়ে যায়। তোমাকে যারা ভালোবাসে তাদের সঙ্গেও যেন আমার ভালোবাসা হয়ে যায়। আর যে কাজে তুমি পছন্দ কর সে কাজের সঙ্গে অর্থাৎ তোমার হুকুম-আহকামের সঙ্গে যেন ভালোবাসা হয়ে যায়।’
‘হে আল্লাহ! তোমার ভালোবাসা যেন আমার কাছে আমার নিজের চেয়েও বেশি হয়। আমার পরিবারকে যত বেশি ভালোবাসি তার চেয়েও যেন বেশি হয়। এমনকি ঠাণ্ডা পাণীয় থেকেও যেন তোমার ভালোবাসা আমার কাছে বেশি হয়।
তওবা করার দোয়া-
رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ (أنْتَ) التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ
উচ্চারণ : ‘রাব্বিগ্ ফিরলি ওয়া তুব আলাইয়্যা ইন্নাকা (আংতাত) তাওয়্যাবুর রাহিম।’
অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবাহ কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময়।’
মহান আল্লাহপাক তার ভালবাসা অর্জনের জন্য যে দোয়াটি পবিত্র কুরআ্নুল কারিমে নাজিল করেছেন-
قُلۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تُحِبُّوۡنَ اللّٰهَ فَاتَّبِعُوۡنِیۡ یُحۡبِبۡکُمُ اللّٰهُ وَ یَغۡفِرۡ لَکُمۡ ذُنُوۡبَکُمۡ ؕ وَ اللّٰهُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
অর্থঃ বল, ‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমার অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (সুরা আল ইমরানঃ আয়াত-৩১)
কেন আমরা আল্লাহর তৈরি নিয়ম অনুযায়ী জীবন যাপন করব
বিশ্বনবী আল আমিন হজরত মুহাম্মদ(স) এর হাত ধরে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে মহান আল্লাহর নির্দেশিত শান্তির ধর্ম ইসলাম। এই ইসলাম হল একমাত্র অবিকৃত পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। আর ঐশীগ্রন্থ পবিত্র বিজ্ঞানময় আল কুরআন ই হল তার নির্ভুল উপযুক্ত প্রমাণ। হাজার বছর পরেও পবিত্র কুরআনের একটি আয়াতকেও মিথ্যা প্রমাণ করা যায়নি। বরং এখনকার অনেক বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারই হাজার বছর আগে পবিত্র আল কুরআনে বর্ণিত আছে। এই জীবন্ত মোজেজাই প্রমাণ করে ইসলামই একমাত্র অবিকৃত, সত্য শ্বাশত ধর্ম। আর এই ধর্ম অনুসরণ করেই পাওয়া যাবে মহান আল্লাহ তাআলার ভালবাসা ও নৈকট্য। আর যে মুমিনগন আল্লাহর ভালবাসাপ্রাপ্ত হবেন তারাই লাভ করবেন মহান আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার অনন্ত সুখের জীবন জান্নাত। ক্ষমাপ্রাপ্তি, আল্লাহর ভালবাসা লাভ ও আখেরাতে জান্নাতবাসী হবার জন্যই সর্বশক্তিমান আল্লাহর তৈরি নিয়ম অনুযায়ী আমাদের জীবন যাপন করতে হবে এই ক্ষণস্থায়ি দুনিয়ার বুকে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ দোয়াঃ
আয়াতুল কুরসি:
اَللهُ لآ إِلهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ، لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَّلاَ نَوْمٌ، لَهُ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْأَرْضِ، مَنْ ذَا الَّذِىْ يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ، يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيْطُوْنَ بِشَيْئٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَآءَ، وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، وَلاَ يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَ هُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ-
বাংলা উচ্চারণ: আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁ ওয়ালা নাঊম। লাহূ মা ফিস্ সামা-ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ’ ই’ন্দাহূ ইল্লা বিইজনিহি। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতূনা বিশাইয়্যিম্ মিন ‘ইলমিহি ইল্লা বিমা শা-আ’ ওয়াসিআ’ কুরসিইয়্যুহুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, ওয়ালা ইয়াউ’দুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়্যুল আ’জিম। (সূরা আল-বাক্বারা আয়াত-২৫৫)।
অর্থ: আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। কোনো তন্দ্রা বা নিদ্রা তাঁকে পাকড়াও করতে পারে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছু তারই মালিকানাধীন। তাঁর হুকুম ব্যতিত এমন কে আছে যে, তাঁর নিকটে সুপারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও পিছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, কেবল যতুটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন তা ব্যতিত। তাঁর কুরসি সমগ্র আসমান ও জমিন পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলোর তত্ত্বাবধান তাঁকে মোটেই শ্রান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও মহান’।
আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার উপায় ও শ্রেষ্ঠ দোয়া
দোয়া:
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ:
রাব্বানা আতিনা ফিদ্ দুনইয়া হাসানাহ্, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাহ্। ওয়াকিনা আজাবান্নার।
অর্থ:
হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে সুখ দান কর, আখেরাতেও সুখ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। (সূরা: আল বাকারা, আয়াত: ২০১)
ফজিলত:
এ দোয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়ে থাকে। নবী করিম (সা.) এ দোয়াটি সবচেয়ে বেশি পাঠ করতেন।
তো এই ছিল (আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার উপায়) আজকের পোস্ট। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।