ইন্টারনেটে ইনকামের সঠিক রাস্তা –
আমরা অনেকেই ইন্টারনেট থেকে ইনকাম করতে চাই কিন্তুু সঠিক রাস্তা জানা নাই তাই আমরা ইনকাম করতে পারিনা। আজ আমি আপনাদের সঠিক রাস্তা দেখাবো,যদি আপনারা ঠিক মতো কাজ করতে পারেন তাহলে সাকসেস আসবে।প্রথমেই বলে রাখি এখানে কাজ করতে গেলে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। আপনি যদি চান এখোনি কাজ করে এখোনি পেমেন্ট নিবেন, তাহলে হবেনা। তাহলে আসুন সে রাস্তা গুলো কি কি তা আপনাদের জানায় —
♦ব্লগিং
এটা সবার কাছেই পরিচিত। যদিও এখানে ক্যারিয়ার গড়তে আপনাকে অনেক কাজ করতে হবে। তারপর আপনার সাফল্য আসবে।এখানে আপনার নলেজ লিখুন আর পাবলিস করুন। যতো ভিজিটর আসবে ততোই তাড়াতাড়ি আপনি গুগোল এডসেন্স এ এপ্রভাল নিতে পারবেন।
তবে এখানে আপনি কোনো কাট, কপি, পেস্ট করবেন না, তাহলে গুগোল এডসেন্স সাসপেন্ড করে দিবে আপনাকে। এখানে শুধু নিজের নলেজ কেই প্রকাশ করুন। যদি সঠিক ভাবে কাজ করেন তাহলে এটিই হয়তো আপনার ক্যারিয়ারের টারনিং পয়েন্ট দাড়াবে।
ব্লগিং তৈরী করার জন্য অনেক ফ্রি ব্লগ সাইট রয়েছে।এদের মধ্যে অন্যতম হলো -www.blogger.com/ ,
www.wordpress.com/,এদুইটায় বেশি জনপ্রিয়। এগুলোর মোবাইল এপস ও রয়েছে।তাছাড়া আপনারা মোবাইলে ও ব্লগ খুলতে পারবেন এবং চালাতে পারবেন।
আমি পরবর্তীতে দেখাবো কিভাবে মোবাইল থেকে ব্লগ তৈরী করবেন তাও আবার ওয়েবসাইট এর মতো দেখতে।
♦ইউটিউবে পার্টনারশিপ –
এটা বর্তমানে জনপ্রিয় একটা বিষয়। এখানে ও আপনাকে কাজ করতে হবে ধৈর্য ধরে।প্রথমেই জিমেইল একাউন্টস করতে হবে তারপর ইউটিউব এ গিয়ে চ্যাঁনেল বানাবেন,আর ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে হবে।এটাও আপনি মোবাইল থেকে তৈরী করতে পারবেন।
প্রথমেই হয়তো ভিজিটর আসবেনা, তবে আপনাকে কাজ করেই যেতে হবে । ধীরে ধীরে ভিজিটর আসবে আপনার চ্যাঁনেলে।এখানে সফলতা পেলে আপনার সারা জীবন ইনকাম হবে। এটাও গুগোল এডসেন্স থেকে ইনকাম হবে।
♦মোবাইল অ্যাপলিকেশনস তৈরী করা-
প্রথমেই আপনি এডমোব একাউন্ট তৈরি করে নিবেন। www.admob.com/ এইখান থেকে একাউন্ট খুলে নিবেন। তারপর এডকোড জেনারেটর করে সেগুলো সেভ করে নিয়ে রাখবেন। এগুলাই পরে দরকার লাগবে।
আপনি অনেক ওয়েবসাইট পাবেন সেখানে ড্রাগ &ড্রপ করে মোবাইল এপ্লিকেশন বানাতে পারবেন। যদি আপনার মোবাইলে পাফিন ব্রাউজার থাকে তাহলে আপনার মোবাইল থেকেই এপস তৈরী করতে পারবেন
এপ্লিকেশন তৈরী করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো -www.thunkable.com/আরো অনেক এপ্লিকেশন আছে। তারপর আপনি গুগোল প্লেস্টোরে আপলোড করে দিবেন , এখানে ও আপনি সারাজীবন ইনকাম করতে পারবেন।
এ বিষয়ে পরবর্তীতে লেখবো আমি।সেখান থেকে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন।
♦ওয়েবসাইট ডিজাইন –
আপনারা ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে যদি পারেন, তাহলে আপনার জন্য প্লাস পয়েন্ট , আার যদি না পারেন তাহলে শিখতে পারেন। শিখে প্রফেশনালি কাজ শুরু করতে পারবেন। এর জন্য ফিবার, ফ্রিলান্সার,গুরু সহ আরো অনেক ওয়েবসাইট আছে সেখানে ওয়েবসাইট ডিজাইন এর কাজ করতে পারেন।
♦এসইও –
এটাও একটা জনপ্রিয় কাজ।আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইট এ কাজ করতে পারেন প্রফেশনালি।যদি আপনি এ বিষয়টি জানেন তাহলে প্লাস পয়েন্ট আর যদি না জানেন তাহলে শিখতে পারেন, কারন বর্তমানে এটাও জনপ্রিয় ক্যারিয়ার।
পরবর্তীতে এর পার্ট ২ আসছে। ততোক্ষণ ভালো থাকবেন,আর সাথেই থাকবেন।
কপি করার থেকে বিরত থাকবেন, কপি আইনত দন্ডনীয়।
Author
Farzana Angel Maya.