আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই?আশাকরি ভালো আছেন।আশাকরি সবাই রোজা রেখেছেন।আজকে আমি আপনাদের জানাব এই রোজায় মুখের দূর্গন্ধ কিভাবে দূর করবেন।
বছরঘুরে আবার চলে এলো পবিত্র মাহে রমজান মাস।মুসলিম বিশ্বের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও আনন্দের মাস,কেননা পুরো ১ মাস রোজা রেখে ও ইবাদত বন্দেগীর পরে পবিত্র ইদুল-ফিতর উদযাপিত হয়।তাই পুরো মুসলিম বিশ্ব এই সূর্যোদয়ের মাধ্যমে রোজা সূর্যাস্তে ভাঙে,সেহরি শেষে রোজা রেখে ইফতারের মাধ্যমে ভাঙে।এই সময় রোজা রাখায় খাদ্যাভাস ভিন্ন হওয়ার কারণে অনেকের মুখে দূর্গন্ধ সৃস্টি হয়।তাই রোজার সময় আপনার মুখে দূর্গন্ধ হলে তা কিভাবে তাড়াবেন জেনে নিন-
১।দিনে দুইবার করে ব্রাশ করুন:রোজার সময় খাবার গ্রহণের পরিমাণ বেশি হওয়ায় অন্য সময়ের তুলনা বেশি দূর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।এই সমস্যা দূর করতে ইফতারীর পর ও সেহরীর পরে দাঁত ব্রাশ করুন।
২।মিষ্টি জাতীয় কিছু খেলে যা করবেন:ইফতারীর পর মিস্টি বিশেষ করে জিলাপি,ফিরনি,পায়েস ইত্যাদি বেশি করে খাওয়া হয়।এর ফলে দাঁতের এনামেলের বেশি ক্ষতি হয়,কেননা এতে শর্করা জাতীয় উপাদান বেশি থাকে।তাই মিষ্টি জাতীয় কিছু খাওয়ার পর অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
৩।পেটে সমস্যা থাকলে:অনেকের এই সময় পেটের সমস্যা বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেশি সৃষ্টি হয়।এর ফলে মুখে দূর্গন্ধ আরো বেশি করে সৃষ্টি হয়।তাই বিশেষঙ্গ চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষুধ গ্রহণ করতে হবে।
৪।জিহবায় প্রদাহ হলে:অনেকের জিহবাতে পরিত্যক্ত খাদ্য জমে যায় ফলে জিহবায় প্রদাহ সৃষ্টি হয়।তাই দাঁত ব্রাশ করার আগে টাং স্ক্র্যাপার বা জিবছোলা দিয়ে জিহবা পরিষ্কার করতে হবে।
৫।পেয়াঁজ-রসুন কম খাওয়া ভালো:ইফতারীর কারণে এই সময় অনেকে পেঁয়াজ-রসুন বেশি খেয়ে থাকে।বেশি গ্রহণের মুখে এগুলো থেকে দূর্গন্ধ বেশি তৈরি হয়।তাই এগুলো কম পরিমাণে খেতে হবে।
৬।কুলকুচি:প্রতিবার খাদ্য গ্রহণের পর তিনবার কুলকুচি করুন।বিশেষ করে ক্লোরহেক্সিডিন জাতীয় মাউথওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করলে ভালো ফল দেয়।
৭।মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে:অনেকের এই সময় দাঁত ব্রাশ করতে গেলে মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে।তাই ইফতারীর পর বেশি বেশি লেবু,পুদিনাপাতা,আদাগুনগুনি,পেয়ারা,জাম্বুরা,লেটুসপাতা ইত্যাদি খেলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
আমার পোস্টটি ভালো লাগলে বেশি বেশি শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।