আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই?আশাকরি ভালো আছেন।করোনাভাইরাসের কারণে ছুটিতে ঘরবন্দী এখন সবাই।ফলে সারাক্ষণ ঘরে বসে থাকলে স্বাস্থ্য মুটিয়ে যাওয়ার শংকা থাকে।তাই কিছু ব্যায়াম প্রতিদিন করতে হবে।এই ব্যায়ামগুলো কেমনে ও কিভাবে করবেন তা আজকে আমি আপনাদের জানাব।
করোনাভাইরাসের প্রকোপে পুরো বিশ্ব অস্হির।সারবিশ্বে এই ভাইরাসের প্রকোপে সাতাশ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত,প্রায় দুই লাখ মানুষ মারা গেছে।ফলে লকডাউন ঘোষণা হচ্ছে,যার ফলে মানুষকে ঘরে বন্দি থাকতে হচ্ছে।ঘরে বসে থাকতে থাকতে অনেকেই মুটিয়ে যাচ্ছেন।তাই ঘরে কিছু ব্যায়াম করলে আপনি ফিট থাকতে পারবেন।ঘরে যেসব ব্যায়াম করতে পারেন-
১।যারা ৩০-৬০ বছর বয়সী মানুষ তারা জোরে জোরে হাটতে পারেন।জোরে জোরে হাটা বলতে যেরকম সেরকম হাটলে হবে না।বিশেষজ্ঞদের মতে,এমনভাবে জোরে জোরে হাটতে হবে যেন শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালরি খরচ হয় এবং ঘাম তৈরি হয়।এতে শরীর কিছুটা মেদমুক্ত হয়।প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট এভাবে হাটতে হবে।আর ছোটরা বিশেষ করে বাচ্চারা ছাদে জোরে জোরে ৩০ মিনিট এক জায়গায় দৌড়াতে পারে।
২।যারা ১৫-২৯ বছর বয়সী তারা স্পট স্কিপিং,রোপিং,প্ল্যান্ক,পুশ ইত্যাদি ব্যায়াম করতে পারেন।
৩।যারা প্রাপ্তবয়স্ক ২১-৩০ বছর বয়সী তারা জিমের ব্যায়াম যেমন-বডিওয়েট লিফটিং,পুশ আপ,স্পট স্কিপিং ইত্যাদি করতে পারেন।
বুঝতেই পারছেন কি কি ব্যায়াম করবেন।এবার ব্যায়ামের আগে কি কি জিনিস খেয়াল রাখবেন তা দেখে নিন-
১।যারা বাচ্চা তারা হালকা পাতলা ব্যায়াম দৌড়াদৌড়ি,ঝুলাঝুলি ইত্যাদি করার আগে হালকা ওয়ার্মআপ করে নিতে হবে।অসুস্হ হলে না করাই ভালো।
২।যারা বয়স্ক মানুষ তারা তাদের শরীরের গড়ন ও সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যায়াম করবেন।যেসব ব্যক্তির রক্তচাপ,ডায়াবেটিস,হার্টের সমস্যা ইত্যাদি আছে তারা সাধারণ ব্যায়াম করলেই হবে,জিমের ভারী ব্যায়াম না করাই উত্তম।তবে অসুখ না থাকলে ও সামর্থ্য থাকলে ভারী ব্যায়াম করতে পারেন।
৩।যারা যুবক তরুণ তারা জিমের ব্যায়ামগুলো চালিয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গের মাংসপেশি শক্ত ও বাড়ানোর ব্যায়াম করতে পারেন।এছাড়া যারা ট্রেনার রেখে ব্যায়াম করতে চান তারা ঘরে চালিয়ে নিতে পারেন।অবশ্য কোনো রোগ যেমন-রক্তচাপ,ডায়াবেটিস,হার্টের সমস্যা ইত্যাদি কঠিন রোগের রোগী হলে ট্রেনার রেখে ব্যায়াম করা অনুচিত।তবে জিমের ব্যায়াম চালিয়ে নিতে পারেন।
সবশেষে যেকোন বয়সের মানুষের উদ্দেশ্যে একটা কথা তা হলো,কোন ব্যায়াম করার আগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন কোনটা করলে ভালো হবে।
সবাই ভালো ও সুস্হ থাকুন,ঘরে নিরাপদে থাকুন।
পোস্টটি ভালো লাগলে বেশি বেশি শেয়ার করবেন।ধন্যবাদ।