বাবা মায়ের পছন্দের ছেলে/মেয়ের সাথে বিয়ে করা যাবে না। কারণ দুজন দুজনকে একদম চিনি না। দুজন দুজনকে ঠিক ভাবে বুঝতে অনেক সময় লেগে যাবে। দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য হবে। আর সব থেকে বড় কথা কারো অতীত নিয়ে কিছু জানি না।
লাভ ম্যারেজ করা যাবে না কারণ বিয়ের পরে দুজনের প্রতি আর ভালোবাসা থাকবে না। বিয়ের আগে সব ভালোবাসা শেষ হয়ে যাবে। শুধু ঝগড়া হবে। শেষ পর্যন্ত ডিভোর্স হয়ে যেতে পারে।
আমি একজন প্লে বয়/প্লে গার্ল। সারাজীবন একের পর এক রিলেশন করে আসলাম যার কোন হিসেব নেই। কিন্তু বিয়ে করার সময় আমার লাগবে সুশীল মেয়ে পর্দা করে চলে। বিয়ে করার সময় আমার লাগবে ভদ্র ছেলে যে কি না মেয়েদের দিকে চোখ তুলে তাকাই না।
আমি বিয়ে করবো কিন্তু আমাকে চাই পর্দা করা দিপিকা পাদুকোন। আমি বিয়ে করবো আমাকে চাই দাড়ি আওয়ালা ঈমানী ইমরান হাসমি। ছেলে সুন্দর হওয়া লাগবে অনেক টাকা পয়সা থাকা লাগবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়বে।
আমাদের সমাজে এখন বিয়ে হয় না। দর কষাকষি হয়। যেমন: এতো শস্তা না এতো কম টাকায় দিয়ে দিব। ভাই আরো দুই লাখ বাড়িয়ে দিন। না ভাই আর দিতে পারব না এটাই শেষ। এতোক্ষণ কিন্তু কোন বেচাকেনা হচ্ছিল না। মেয়ে বিয়ে দিবে তাই দেনমোহর ধার্য করছিল। ঠিক তেমন ভাবে যেমন ভাবে গোরুর হাটে গোরু বেচাকেনা হয়।
আসলে আমাদের সমস্যা কি জানেন। আমাদের নিজেদের মধ্যে, আমাদের মনে। আপনি অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ করেন বা লাভ ম্যারেজ করেন। বিষয় টা এটা না বিষয় টা হলো আপনি কেমন। আপনার মন কেমন। আপনি ঠিক থাকলে সব ঠিক ।
লাভ ম্যারেজ করে অনেক সুন্দর করে সংসার করছে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু অনেকেই লাভ ম্যারেজ করে সংসার ঠিক মতো করতে পারছে না।
অনেক অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ করে ও সুন্দর ভাবে সংসার করছে আবার অনেক অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ করে ডিভোর্স নিয়ে নিচ্ছে। তাহলে কি বুঝলেন। সমস্যা টা অ্যারেঞ্জ বা লাভ ম্যারেজ এ না সমস্যা টা আমাদের মধ্যে।
একজন মানুষ সব দিক থেকে পারফেক্ট হয় না। কারোর কিছু না কিছু কমতি থাকে। একজন মানুষ অনেক ঈমানী কিন্তু আর অনেক টাকা পয়সা নেই। আবার একজন মানুষের অনেক টাকা পয়সা কিন্তু ঈমানী না।
একটা মেয়ে অনেক সুন্দরী কিন্তু সুশীল না। একটা মেয়ে অনেক সুন্দরী না, কিন্তু অনেক সুশিল, সমাজে ভালোভাবে চলে।
আপনি যদি বাহিরের দিক টা বিবেচনা করেন থাকলে আপনি ঠকলেন। আর যদি ভিতরের দিক টা বিবেচনা করেন তাহলে লাভবান হলেন।