Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

একটি অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প

একটি অসমাপ্তই ভালো বাসার গল্পে

একটি ছেলে একটি মেয়েকে ।পাগলের মত ভালবাসত। মেয়েটিও ছেলেটিকে ভালোবাসতো কিন্তু মেয়েটি কখনো বুঝতে পারে নি যে সে ছেলেটিকে ভালোবাসতো।
দিনটি ছিলো ছেলেটি‌ র বিয়ের দিন যখন সে বুঝতে পারে যে সে ছেলেটিকে ভালোবেসে ফেলেছে।সে‌ বুঝার পরে অনেক কাঁদছে কিন্তু তখন কিছু করার উপায় ছিলো না। কারণ ছেলেটি তখন অন্য কারো হয়ে গেছে।
পুরো ৬ বছর লাগছে ছেলেটি র মেয়েটিকে এইটা বুঝাতে যে সে তাকে ভালোবাসে। কিন্তু আফসোস এত কিছুর পরও ছেলেটি মেয়েটিকে নিজের করে নিতে পারে নি।

এখন ও আসল কথায় আসি।

ছেলেটি র না ম অভি। আর  মেয়েটি র নাম মালিহা। ছেলেটি মেয়েটি র থেকে ৩-৪ বছরের বড়। ছেলেটি মেয়েটিকে পাগলের মত ভালবাসত। মেয়েটি ছেলেটিকে ভালোবাসতো কিনা সে জানতে না। ছেলেটি মেয়েটি র সাথে কথা বলা র জন্যে মেয়েটিকে ফোন করত এবং ফোনে টাকা তুলে দিত। কিন্তু মেয়েটি সেই টাকা দিয়ে তাঁর বন্ধুদের সাথে কথা বলতো। কারণ ছেলেটিই মেয়েটিকে ফোন করত। তারপরে মেয়েটি ছেলেটি র সাথে কথা বলতে চাইতো না কিন্তু ছেলেটি অন্য কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতো সেটা মেয়েটি র ভালো লাগতো না। এমনকি ছেলেটি তাঁর বোনদের সাথে কথা বলতো সেটা ও মেয়েটি র ভালো লাগতো না।তাই ছেলেটি তাঁর বোনদের বাসায় আসতে মানা করে দিয়েছিলো। তারপরে একদিন ছেলেটি র আর্মিতে কাজের জন্যে চিঠি আসে। ছেলেটি র বাসায় সবাই চায় সে আর্মি তে কাজে করুক। ছেলেটি নিজেও চায় সে আর্মি তে কাজ করুক। কিন্তু মেয়েটি র এখানে আপত্তি ছিলো। সেখানে প্রশিক্ষণে ছেলেটিকে মারবে বলে সে ছেলেটিকে আর্মি তে কাজে করতে দিবে না। তাঁর কারণে ছেলেটি আর্মি তে কাজে করল না।
‌এরপরে দিনটি ছিলো ছেলেটি র বোনের বিয়ের দিন। তখন মেয়েটি ছেলেটিকে বলছে তাঁর সাথে সারা দিন কথা বলতে। ছেলেটি এত কাজের মাঝে ও কানে হেডফোন লাগিয়ে কথা বলছিল। কিন্তু তখন ওই মেয়েটির সাথে কথা না বলে অন্য একজনের কথার উত্তর দিয়েছিল তাই মেয়েটি ফোন কেটে দেয় এবং ফোন টি বন্ধ করে রাখে।তাই ছেলেটি খুব ভয় পেয়ে গেছিলো।তাই বোনের বিয়ের পর ১০ টার সময় ছেলেটি মেয়েটির বাড়ির সামনে এসে মেয়েটিকে ফোন করল এবং মেয়েটিকে বাসার বাইরে আসতে বলল। কিন্তু মেয়েটি আসতে পারবে না বলে ফোন কেটে দিয়ে ঘুম়িয়ে গেছে। তারপর ১টা কি ২ টার দিকে ছেলেটির বোন মেয়েটিকে ফোন করল। তার পর বলল ছেলেটি কি মেয়েটি র সাথে আছে কিনা বা ওই জানে কিনা মে ছেলেটি কোথায় আছে? তখন মেয়েটি না বলে ফোন কেটে দেয়। তারপরে মেয়েটি ছেলেটিকে ফোন দেয় এবং বলে যে “আপনি কোথায়?” ছেলেটি বলে যে সে মেয়েটি র বাড়ির নিচে দাঁড়িয়ে আছে। তখন মেয়েটি রাগারাগী করে ছেলেটি কে  বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। তারপরে মেয়েটি তা র বন্ধুদের সাথে ছেলেটি র বাসায় যায়। তখন মেয়েটি মাছ খেতে চাই নি তাই ছেলেটি মেয়েটি র  জন্যে ডিম ভেজে দিয়ে মেয়েটিকে খাওয়ায়ে দিচ্ছিল। তখন ছেলেটি র  মা ঘরে আসছে। ছেলেটি তা র  মাকে পাত্তা না দিয়ে মেয়েটিকে খায়ে দিচ্ছিল। তারপরে একদিন মেয়েটি ছেলেটি র সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ছেলেটি চায় না। হঠাৎ একদিন মেয়েটি ফোনটি চালু করে । তারপরে রাতে কার কার সাথে কথা বলতো। তখন ছেলেটি এগুলো খেয়াল করে ওর কোচিং এর খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যে মেয়েটিকে একটি বড় ভাই পছন্দ করে। কিন্তু মেয়েটি সেটা জানতো না।১ দিন ছেলেটি মেয়েটি র কোচিং শেষে সবাই কোচিং থেকে বের হলে ছেলেটি দরজা দিয়ে মেয়েটি র সাথে কথা বলতে চায়। কিন্তু মেয়েটি কথা না বলে ওখান থেকে বের হওয়ার কথা ভাবে। তারপরে ওই বড় ভাই রা এসে মেয়েটিকে বলে যে কি হয়েছে মেয়েটি কিছুই বলে না। তারপরে ছেলেটিকে অনেক মারলো। কিন্তু মেয়েটি কোনো কথা বলেনি।পরের দিন মেয়েটি বাসে উঠার সময় দেখে যে  ছেলেটি দাঁড়িয়ে আছে আ র তা র হাতে বেন ডেজ লাগানো ছিল। তখন মেয়েটি ছেলেটির কাছে গিয়ে বলে যে হাতে কি হয়েছে? ছেলেটি বলল কালকে যে মার খাওয়া য়ে নিলা। 
এরপরে মেয়েটি ঢাকায় যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্যে। তারপরে ছেলেটি‌ মেয়েটিকে রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়। তারপরে ছেলেটি বলল তাঁর বাসা থেকে বিয়ের জন্যে চাপ দিচ্ছে। তখন মেয়েটি ছেলেটিকে রাগারাগী করে বিয়ের জন্যে রাজি করিয়েছে।
তারপরে ছেলেটি বিয়ের দিন মেয়েটি বুঝতে পারলো যে সে ছেলেটিকে ভালোবেসে ফেলেছে। আর তাদের গল্প টা এখানেই শেষ হয়ে যায়।

গল্পটা ভালো লাগলে লাইক ও কমেন্ট করবেন এবং শেয়ার করবেন।

  1. ধন্যবাদ

Related Posts

14 Comments

  1. সত্যিই খুব ভালো লাগলো,। এমন একটি স্টোরি আমার জীবনেও হয়েছিলো

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No