Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

একটি বাস্তব ভৌতিক গল্প

“ভূত” এমন একটি শব্দ যেই শব্দ শুনলে যে কোন বয়সের ব্যক্তির হাত পা কেঁপে উঠে। কেউ ভুত বিশ্বাস করুক আর নাই করুক ভুত অথবা ভৌতিক কিছু শুনলে হাত পা কেঁপে উঠায় স্বাভাবিক।আজ কোনো গল্প নয় বরং বাস্তব কাহিনী তুলে ধরবো আপনাদের সামনে।                                                                                 আজ যেই ঘটনার কথা তুলে ধরবো তা আমার সাথে ঘটে যাওয়া বাস্তব একটি ভৌতিক কাহিনী। সেই ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের দিকে ঘটে যাওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ভৌতিক কাহিনী আজ আপনাদের সাথে বলবো।                                                                                                                                       ঘটনাটা শীতের মাঝামাঝিতে। আমি আর আমার কিছু বন্ধবান্ধব মিলে পাশের ঘরে খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। গ্রামে প্রায়ই শীতকালে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট এর আয়োজন করা হয়। ঠিক তেমনি একটি টুর্নামেন্ট এর ফাইনাল খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। যেহেতু ফাইনাল খেলা তাই খেলা শেষ হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। ঘটনাটাও ঘটেছিলো ঠিক সন্ধ্যার পরই। আমি আমার বন্ধু রেদোয়ান ,মাহি ,আরাফ আমরা খেলা দেখে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আগেই বলে রাখি আমাদের বাড়ি একদম গ্রামের শেষ মাথায়। বাজার আমাদের গ্রাম থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে।বাজার ছাড়া আশেপাশে তেমন দোকান ও নাই। তাই সন্ধ্যার পর গ্রামের বাজার বেশ জমে উঠে। তাই খেলা দেখে পাশের গ্রাম থেকে ফেরার পথে আমি আমার বন্ধুরা বাজারে গেলাম। চা খেতে খেতে কখন সময় পার হয়ে যাচ্ছে খবর এ নাই। হটাৎ করে দোকানের টিভিতে খবর দেখতে পেয়ে বুজলাম রাত ৮ টা বাজে বন্ধুদের থেকে বিদায় নিয়ে আমি বাজির পথে রওনা দিলাম। গ্রামের বাজার থেকে আমার বাড়ি ফেরার পথে একটা বিশাল জঙ্গল পরে। যেই জঙ্গল নিয়ে অনেক কাহিনী শোনা যায়। কখনো এসব বিশ্বাস করিনি .
বিশ্বাস হয়ত কখনো করতাম না যদিনা সেই ভৌতিক ঘটনাটি আমার সাথে ঘটে থাকতো। যাই হউক আমি বাড়ির দিকে রওনা দিয়ে জঙ্গল এর দিকে পা বাড়ালাম। রাত তখন ৯ টা প্রায়। শীতকাল চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। আসে পাশে কোনো জনমানবের চিহ্ন পর্যন্ত নেই। বার বার মনে হচ্ছিলো কেউ একজন হয়তো আমার পিছে আসছে। আমি বার বার পিছে ফিরে তাকাচ্ছি কিন্তু কাউকে দেখতে না পেয়ে আবার হাত শুরু করলাম।হাঁটা শুরু করলে শরীর মনে হচ্ছে নিস্তর হয়ে যাচ্ছে। তবুও মনে সাহস রেখে কিছুদূর এগুতেই কেউ একজন আমার নাম ধরে ডাকছে। আমি হাঁটার কারণে ঠিক মতো শুনতে পাচ্ছিলাম না। আবার কিছুদূর এগুতে আবার কেউ একজন আমার নাম ধরে ডাকছে শুনতে পেলাম। খেয়াল করতে আমার মনে হলো আমার বন্ধু রেদওয়ান এর কণ্ঠ। কিন্তু তখনি মনে আসলো ও এখনো বাজারে তাহলে কে আমাকে ডাকছে? বার বার জোরে জোরে আমার নাম ডাকার পর আমার আর বুজতে বাকি রইলোনা কি ঘটতে যাচ্ছে আমার সাথে। আমি তাই মাথা না বেঁকে পুরো শরীর সোহো সামনে ফিরলাম। সামনে যা দেখলাম তার জন্য আমি মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। সামনে সাদা কাপড় পরিহিতি কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে আমার সামনে। যার কোনো মুখ দেখা যাচ্ছেনা। আমি শুধুই থর থর করে কাঁপছি। আমি যতই হাঁটার চেষ্টা করছি হাটতে পারছিনা,মুখ থেকে কোনো আওয়াজ বের হচ্ছেনা। ওই অশরীর আত্মা আমার দিকে বার বার এগিয়ে আসছে। আমি কি করবো বুজে উঠতে পারছিনা। ভয়ে পুরো শরীর নিথর হয়ে গিয়েছিলো আমার। এভাবে কতক্ষন যাবার পর আমি আমার সৃষ্টিকর্তার নাম নিলাম। আমি আমার কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে দোয়া পড়া শুরু করলাম। মনে হচ্ছে দোয়া পড়া শুরু করতেই অশরীর আত্ত্বাটির কিছু একটা হচ্ছে। কিছু না ভেবে শরীরের যত শক্তি ছিল তা নিয়ে পালতে শুরু করলাম। কিছুদূর যেতেই আমি আমার জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। সকালে গ্রামের লোকেরা আমাকে উদ্দার করে।

Related Posts

23 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No