আশা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মেয়েটা দেখতে যেমন
সুন্দর , সেরকম পড়াশুনায় ও তীব্র। মেয়েটার চোখ
দুটো মায়া ভরা, হাসলে একটি গালে টোল পরে।
হাসিটা মিষ্টি।চুল গুলো কালো ঝলমলে ও হালকা
বাতাসে দোলা দেয়। মায়া মেয়েটি। হয়তো দশম শ্রেণিতে
এরকম সুন্দরমেয়েই নাই। মনে হয় ফুটন্ত ফুল। সে
সবসময়পরাশুনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাই ক্লাসের এক
কোণেবসে। সেই ক্লাসের রফিক তাকে খুব ভালবাসে।
রফিক তার এই ভালবাসার কথা আশা কে বলেছিল
কিন্তুআশা তার প্রস্তাবে রাজি হয় নি। কিন্তু রফিক
জানে আশা তাকে খুব পছন্দ করে। কিন্তু আশা প্রকাশ
করে না। প্রতিটি মুহূর্ত রফিক তার খেয়াল রাখে।
রফিক এর কথা আশা মানে কিন্তু রফিক কে তা
বুঝতে দেয় না। প্রকাশ না করার কারণ, আশা ভাবে
রফিক যদি তাকে কোনদিন ভুলে যায় তাহলে আমি তো
তাকে ছাড়া থাকতে পারব না। এই ভেবে সে হ্যাঁ বলে
নি। তাছাড়া আশা তার বাবার প্রিয় মেয়ে। সে তার
বাবা কে কখনও কষ্ট দিতে চাই না। তাই আশা হ্যাঁ
বলেনি । কিন্তু আশা রফিক কে খুব ভালবাসে।
রফিক তাকে স্কুলে সবসময় আগলে রাখে। তাছাড়া
তার বাড়ি যাওয়ার রাস্তা টা বড় ফাঁক, তাই আশার
পেছনে পেছনে যায়, যদি কোনদিন তার বান্ধবী না
থাকে। তাকে একা রাখে না।
একদিন আশা তার বান্ধবীর সাথে সেই ফাঁক রাস্তা
দিয়ে যাচ্ছিল। সেই রাস্তায় কয়েকটা বোখাটে ছেলে
দাড়িয়ে গল্প করছে। তার মধ্যে একটা ছেলে আশা কে
দেখেই তা বন্ধুকে বললো, বাহ্ মেয়ে টা তো খুব
সুন্দর।
অন্যজন বললো, তাকাস না। মেয়েটা এই গ্রামের বড়
ব্যবসায়ীর মেয়ে।
– তাতে কি। মেয়ে টা বড় সুন্দর। মেয়েটা কি করে
রে? নাম কি?
– ক্লাস টেনে পড়ে। নাম আশা।
– নাম আশা, আমার মনে জাগিয়েছে ভালবাসা। চল
দেখা করি আসি।
– না, যাসনে।
– ভয় পাসনা।
দেখা করতে যাওয়ার সময় কে যেন আশা কে পেছন
থেকে ডাকল। আশা পেছনে ফিরে দেখে তার বাবা।
আশা কাছে গিয়ে মিষ্টি হাসি দিয়ে বল্লো, বাবা….
– মা তোমাকে না বলেছি এই ফাকা রাস্তা দিয়ে আসবে
না।
– বাবা, আমি একা কই, আমার বান্ধবীরা তো আমার
সাথেই আছে।
– তারপরও……
– বাবা, এতো চিন্তা করো না।
আশা ও বাবা একসাথে বাড়ি চলে গেল। আশার বাবা ছিলেন বলে বোখাটে গুলো কথা বলতে পারেনি। যাক পরদিন সকালে আশা স্কুলে গেল। টিফিন টাইমে ওই বোখাটে ছেলেটা আশার সাথে কথা বলতে আসল। ছেলেটা বল্লো, আশা আমি শুনেছি তুমি নাকি ক্লাসে সবসময় ফাস্ট হও।
– জি, কিন্তু আপনাকে কে বল্লো।
– তোমার আংক টিচার আমার মামা হয় ( মিথ্যা কথা)
– ও মানে আসলাম স্যার।
– হ্যাঁ।
– ও,,,,,,
– তো তোমার অংক নোট খাতা টা আমাকে দিবে।
– জি আমার কাছে এখন নেই। কালকে এনে দিব।
Attention পাওয়ার জন্য বল্লো – তোমার মাথার ক্লিপ খুলে গেছে। লাগিয়ে নিও।
আশা চলে গেল।
রফিক দূর থেকে সব দেখল। রফিক এসে বল্ল, এসব বোখাটের সাথে তুমি কথা বলছো কেন?
– আমার নোট খাতা চাচ্ছিল।
– খাতা দিয়ে আর কথা বলবে না ঠিক আছে।
– হু,৷৷
– তোমার মাথার ক্লিপ খুলে রাখিও। তোমার চুল গুলো বাতাসে উরলে তোমাকে আরও সুন্দর দেখায়।
আশা মিষ্টি হেসে চলে গেল। পরে সে ক্লিপ খুলে ফেললো। সপ্তাহখানেক ওই বোখাটে ছেলেটা সাথে আশা কথা বলে কিন্তু তার ভালো লাগেনা। avoid করে কিন্তু বোখাটে টা করে না। আশাকে ডিস্টার্ব করে কিন্তু সে কাওউকে বলে নি। রফিক আশার সাথে সাথে থাকে বলে কিছু করতে পারে নি।
একদিন রফিক স্কুল এ আসে নি। সেদিন আশা ফাকা রাস্তা দিয়ে একা যাচ্ছিল। ঐ বোখাটে টা তার পিছু নিচ্ছিল। আশা কথা বলতে চায় নি। তাই তার সাথে জোর করা শুরু করলব।আশা চিৎকার করে, আসপাশ থেকে মানুষ এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে পাড়ার মানুষ এই কারণের জন্য তাকেই দায়ি করে। রফিকও এসব কথা শুনে। আশার বাবা একদম ভেঙে পড়ে। কিন্তু রফিক সবার বিরুদ্ধে গিয়ে আশার বাবাকে বলে, আমি আশার পাসে থাকতে চাই। ওকে বিয়ে করতে চাই। কিন্তু চাকরি পাওয়ার জন্য সময় দিতে হবে।
আশার বাবা খুব খুশি হলোব।
আশা রফিককে ask করলো, মানুষ তো আমকে খারাপ বলছে, তুই কি মনে করিস আমি খারাপ
– আশা আমি তোকে খুব believe করি।
সম্পর্কে খুব believe থাকে দরকার।
সুস্থ থাকুন
ঘরে থাকুন