আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা যে যেখানে আছেন, ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সবসময়।
চলে এসেছ এসাইমেন্ট সিরিজ।করোনা মহামারীর কারণে শিক্ষা জীবন আজ বিপন্ন প্রায়।সরকার কয়েকদফা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খেলার তারিখ ঘোষণা করলেও করোনার প্রাদুর্ভাব আজ বেরে যাওয়ার কারণে তা এখন সম্ভব হচ্ছেনা।শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার যাতে বেঘাট না ঘটে তার জন্য ফিরে এসেছে এসাইনমেন্ট সিরিজ। আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু একাদশ শ্রেণির যুক্তিবিদ্যা প্রথম পত্রে ২০২১। আশা করি শিক্ষার্থীদের উপকার হবে।
প্রশ্নঃযুক্তিবিদ্যা ধারণা এর পরিধি পাওয়া যায় আলোচনা কর।
উত্তরঃযুক্তিবিদ্যার উৎপত্তিঃ
যুক্তিবিদ্যা চর্চার একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে স্বাধীনভাবে যুক্তিবিদ্যার চর্চা শুরু হয়।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মিশর,চীন,ভারতীয় মহাদেশ ও গ্রীস।প্রাচীন গ্রীস দার্শনিক এরিস্টটলের হাতেই পদ্ধতিগত শাখা হিসেবে যুক্তিবিদ্যার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।মধ্যযুগের কয়েকজন স্কলাস্টিক দার্শনিক ও মুসলিম দার্শনিকগণ যুক্তিবিদ্যার চর্চা শুরু করে।সমকালে রাসেল, প্রেগে, ফিন্না,ডি মারগায়ন,জন ভেন হোয়াটাইডেট প্রমুখ প্রতিকী ও গানীতিক ব্যক্তিবর্গ যুক্তিবিদ্যার প্রসারে অবদান রাখেন।
যুক্তিবিদ্যার ধারণাঃ
যুক্তিবিদ্যার ইংরেজী প্রতিশব্দ”Logic”এর উৎপত্তি হয়েছে গ্রীক শব্দ “Logike” থেকে Logike শব্দটি Logos থেকে এসেছে।Logos এর অর্থ হলো চিন্তা বা ভাষা।আমরা জানি যে,চিন্তার সাথে ভাষার সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য।আমাদের মনের চিন্তাধারাকে আমরা সব সময়ই ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করি।সুতরাং উৎপত্তিগত অর্থে যুক্তিবিদ্যা হলো ভাষায় প্রকাশিত চিন্তার বিজ্ঞান।
এরিস্টটল এর মতেঃ
এরিস্টটল যুক্তিবিদ্যার জ্ঞানের পদ্ধতি নির্ধারিত প্রারম্ভিক বিজ্ঞান বলেছেন।তার মতে যুক্তিবিদ্যার কাজ হলো জ্ঞানের পরিধি নির্দেশ করা। জ্ঞান বিজ্ঞানের সমস্ত শাখা প্রশাখা নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে সেটা কলা বা বিজ্ঞান যাই হোক না কেন! আর যুক্তিবিদ্যা চিন্তার বিজ্ঞান হিসেবে এসব নিয়মনীতি অনুসরণ করে। যুক্তিবিদ্যার কাজই হলো কিভাবে নিয়মনীতি সঠিকভাবে মেনে চলা যায় তা আলোচনা করা।
জে এস মেলের যুক্তিবিদ্যার ধারণা দার্শনিক ও ইতিহাসবিদ জেমস মিল ও তার স্ত্রী হ্যারিয়ট ব্যারের ঘরে জন্মগ্রহন করেন উনিশ শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী দার্শনিক, শিক্ষাবিদ স্টুয়ার্ড মিল।তিনি যুক্তিবিদ্যা ও নীতিগত বিদ্যায় অনন্য অবদান রাখেন।
যুক্তিবিদ্যার পরিসরঃ
যুক্তিবিদ্যার পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক বলে এর আলোচনার বিষয়বস্তু অনেক বেশি।এ প্রাধান্য আলোচ্য বিষয় হলো ভাষায় প্রকাশিত চিন্তা।আর এ জন্য যে বিষয় গুলো আলোচনার আওরায় পড়ে তা হলোঃযৌক্তিক বিভাজন,যৌক্তিক সংজ্ঞা,বিচার প্রনালী সহ আরও অনেক কিছু।প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্তিবিদ্যার যেকোনো শাখা জ্ঞান বিজ্ঞানের আলোচনার সাথে সম্পর্কিত।
ধন্যবাদ সবাইকে।সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন।