আসসালামুআলাইকুম, আসা করি সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়। দৈনিক চলার পথে এমন অনেক জিনিস এই আছে আমাদের অজানা। আর কিছু কিছু বিষয় আমাদের জানা অনেক প্রয়োজন থাকা সত্বেও আমাদের অজানা থাকে ব্যাপার গুলো। আচ্ছা আপনি কি জানেন? আমাদের ফুসফুস কীভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বা ফুসফুস সম্পর্কে কি তেমন কিছু জানেন ? বেশিরভাগ মানুষ এই জানেনা ফুসফুস সম্পর্কে।
আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে ফুসফুস।অথচ প্রতিদিনের মারাত্মক দূষণে নানানভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আমাদের ফুসফুস।প্রতিদিনের বায়ুদূষণের কারণে আমাদের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাছাড়াও যারা ধূমপান করে তাদের ফুসফুসে তো আরো বেশি ক্ষতি হয়।
ফুসফুস নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন যে বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব ঠেকাতে নিয়মিত কিছু ভেষজ উপাদান খাওয়া উচিত। যা শাসনতন্ত্রের সুরক্ষা প্রদান কার্যকর ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে মহামারির এই সময়ে ফুসফুসের দিকে আমাদের সবার খেয়াল রাখা জরুরি। ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে অথবা ক্ষতিকর বায়ুদূষণ থেকে রক্ষা পেতে যেমন আমরা মাকস পড়া জরুরি তেমনি আমাদের ফুসফুসকে সুস্থ রাখাও জরুরি।
নিয়মিত ভেষজ উপাদান খাওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের ফুসফুসকে স্বাস্থ্যকর রাখতে পারি।তাই ডায়েটে অ্যান্টি – অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ , ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম , ক্যালসিয়াম এর মত খনিজগুলো রাখতে হবে। এসব উপাদান আমাদের ফুসফুস সুস্থ রাখতে অনেক সাহায্য করে।এর সাথে আমাদের নিয়মিত শরীরচর্চা এবং ফুসফুসের ব্যায়াম করতে হবে।কিছু ভেষজ উপাদান আছে যা খেলে আমাদের ফুসফুস অনেকটা সুস্থ থাকবে:
হলুদ: হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা হয়তো কম বেশি সকলেই জানি।সবার রান্নাঘরে এই মসলাটি থাকে। এতে রয়েছে অ্যান্টি- ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি- সেপটিক এবং অ্যান্টি- ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমূহ।এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।তাছাড়া ও হলুদ একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি- ভাইরাল ও। যা ফুসফুসে প্রভাবিত ভাইরালকে দূরে রাখতে সাহায্য করে এবং আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে।
তুলসী পাতা: বিভিন্ন রোগের মহা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় তুলসী।বায়ুদূষণের ফলে ফুসফুসে জমে যাওয়া ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে তুলসী পাতা।এই পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্ট-অক্সিডেন্ট। তুলসী বাতাসে থাকা ধূলিকণা শোষণ করতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন প্রতিদিন অল্প করে তুলসী পাতার রস খেলে আমাদের শরীরের শাসতন্ত্রের বিষাক্ত পদার্থ নষ্ট হয়।
আপেল: বিশেষজ্ঞরা বলেন যে প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে আর ডক্টর এর কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, সপ্তাহে ৫টির বেশি আপেল খেলে আমাদের ফুসফুসের কার্যকারিতা অনেক বেড়ে যায়।
অ্যাজমার মত বিশেষ কিছু রোগ থেকেও বাঁচায় আপেলে থাকা পুষ্টি সমূহ।
কালোজিরা: তুলসীর মত এটিও সব রোগের মহা ওষুধ হিসেবে কাজ করে।এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শাসতন্ত্রের প্রদাহ দূর করে। প্রতিদিন এক চা চামচ কালোজিরার সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে ফুসফুস ভালো থাকে।
আমলকি: আমলকিতে থাকে ভিটামিন সি। যা আমাদের ফুসফুসে জমে থাকা পদার্থ কে পরিষ্কার করে।
বিষয়গুলো মেনে চলুন। নিজে সুস্থ থাকুন, অন্যকেও সুস্থ রাখুন। ধন্যবাদ।