~কফি শুধু একটি পানীয়ই নয়,এটি আমাদের শরীরে প্রাকৃতিক ঔষধ হিসাবে ও কাজ করে।আমরা অনেকেই মনে করি, কফি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।কিন্তু এটা একদমই ভূল ধারনা।চায়ের তুলনায় কফিতে থাকা ক্যাফেইন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।আমাদের এই ছোট ছোট ভুল গুলোই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।বিশেষজ্ঞদের মতে দিনে অন্তত দুইবার কফি খেতে হবে।তবে সেটা চিনি ছাড়া।একবার সকালে নাস্তার পরে,একবার সন্ধ্যায়।সকালে কখনোই খালি পেটে কফি পাওয়া উচিত নয়।এতে আপনার এসিডিটির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
এক কাপ কফিতে ৬০ শতাংশ পুষ্টি, ২০ শতাংশ ভিটামিন,এবং ১০ শতাংশ ক্যালোরি ও খনিজ রয়েছে।আর এই জন্যই কফির উপকারিতা অনেক বেশি।তাই যারা মনে করেন কফি স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ,তাদের এই ভুল ধারনা ভেঙে দিয়ে,দিনে অন্তত এক কাপ কফি খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত।তাই আসুন জেনে নেই কফির উপকারিতা গুলো।
-কফিতে যে ক্যাফেইন,ও এন্টিঅক্সিডেন্ট নামক উপাদান রয়েছে,এটি আমাদের ক্যান্সারের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে।গবেষনায় প্রমানিত প্রতিদিন কফি পান করলে সেটা শরীরের ম্যালিগন্যান্ট মেলানোমা তৈরি করতে বাধা দেয়।ফলে ত্বক ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা পায়।
-মানব দেহের জন্য অনয়তম একটি গুরুত্বপূর্ন অরগান হচ্ছে লিভার।আর লিভারকে সুস্থ খারাপ জন্য কফি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।এবং লিভারের কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
কফি দেহের সুগারের মাএা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।তবে তার জন্য অবশ্যই চিনি ছাড়া কফি খেতে হবে।প্রতিদিন অন্তত এককাপ কফি পান করলে,ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।তাই যাদের ডায়াবেটিস আছে,তাদের নিয়মিত কফি পান করা উচিত।
-কফি হৃদরোগের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে এবং অ্যালঝেইমার রোগের ক্ষেএে বিশেষ উপকারী পদার্থ হিসাবে কাজ করে।কফি শরীরের মেটাবলিক রেট কমাতে সাহায্যে করে,যা ওজন কমাতে পরোক্ষ ভাবে সাহায্য করে।
কফিতে থাকা ক্যাফেইন আমাদের মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।মস্তিষ্ককে আরো সচল করতে সাহায্য করে।এছাড়া ও আমাদের নার্ভকে সচল রাখতে সাহায্য করে।কফিতে থাকা ক্যাফেইন আমাদের মোড ভালো রাখতে সাহায্য করে।
-কফি আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।সকালে জিম শুরু করার আগে এককাপ ব্ল্যাক কফি খেলে শরীরের ক্যালরি ক্ষয় হয়।ফলে আমাদের ওজন আস্তে আস্তে কমতে সাহায্য করে।মানব দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অরগান হলো যকৃত।আর কফি পানের ফলে যকৃতের সমস্যা ৮০ ভাগ কমে যায়।কফি আমাদের মনকে সতেজ ও চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে।