বর্তমানে অনলাইনে যেমন পণ্য বেচা-কেনা বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়ের সুযোগ। আপনি যদি আপনার মোবাইল বা ডিভাইস এর মাধ্যমে আয় করতে চান তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো সবচেয়ে লাভজনক আয়ের ব্যবস্থা। কিন্তু অনেকেরই এফিলিয়েট মার্কেটিং করার ইচ্ছা থাকলেও এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কোন ধারনা নেই।
আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে ধারনা নিতে চান, তাহলে আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন। এই পোস্ট এ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ধারনা এবং এটি করার জন্য আপনার কি কি দক্ষতা প্রয়োজন সে বিষয়ে উল্লেখ করব। তো চলুন এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিত ধারণা নেওয়া যাক।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ধারণা:
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিন্তু ঈদ এর মার্কেটিং বা কেনা-কাটা নয়। এর মূল কাজ বিভিন্ন কম্পানির প্রোডাক্ট সেল দেওয়া এবং এর মাধ্যমে আয় করা। প্রথমেই আসি মার্কেটিং নিয়ে। কোন কম্পানি বা উৎপাদনকারী তার উৎপাদিত পণ্য সাধারণ জনগণের কাছে পৌছানোর জন্য এবং বিক্রয়ের জন্য যে প্রক্রিয়া ব্যবহার করে তাই হলো মার্কেটিং।
এই মার্কেটিং প্রক্রিয়া দুইভাবে হতে পারে। অফলাইন অথবা অনলাইনে। এখন অনলাইনে যদি কোম্পানি নিজে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় করে তাকে বলা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। আর যদি কোম্পানি বা উদ্যোক্তা অন্য কারো মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় করে থাকে তাকে বলা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং। আর এই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমেই অনেকে মাসে ৫০-৬০ হাজার টাকা ইনকাম করছে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এ পণ্য বিক্রি করে সেই পণ্যের দামের “শতাংশ” হারে ইনকাম হয়। এই শতাংশের পরিমাণ প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক নির্ধারিত হয় এবং পন্যের ধরন অনু্যায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়।
এফিলিয়েট মার্কেটার হতে যে যে দক্ষতা থাকা প্রয়োজন :
আজকের এই ডিজিটাল যুগে এফিলিয়েট মার্কেটারদের নিয়ে অনেক নামী-দামী কোম্পানি ব্যবসা পরিচালনা করছে। অনেক কোম্পানি এফিলিয়েট মার্কেটারদের উচ্চমানের পারিশ্রমিক দিয়ে থাকে। সুতরাং এত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজের জন্য নিশ্চই কিছু দক্ষতার প্রয়োজন আছে। এই দক্ষতার উপর নির্ভর করবে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটার হতে পারবেন কিনা। তাই দক্ষতাগুলো সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় দক্ষতা গুলো হলো-
সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা : আপনি ঠিক কোন প্রোডাক্ট নিয়ে আপনার মার্কেটিং শুরু করবেন, তা প্রথমেই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনি যদি সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেন তবে আপনার পরিশ্রম বিফলে যেতে পারে। তাই কাজ শুরু করার আগে প্রোডাক্ট নির্ধারণ করুন।
ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষনের দক্ষতা: আপনার অবশ্যই ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ এর দক্ষতা থাকতে হবে। তা না হলে আপনি লাভজনক ভাবে মার্কেটিং করতে পারবেন না।
তথ্য উপস্থাপন : আপনি যে পণ্য বিক্রয় করবেন, সে সম্পর্কিত তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে ক্রেতা পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পারে।
টেক্নিকাল দক্ষতা : এই বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করবে আপনার উপর। আপনাকে প্রথমেই ভাল এবং গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য ক্রেতাদের কাছে তুলে ধরতে হবে। অন্যথায় ক্রেতাদের কাছে আপনি খারাপ রেটিং এ চলে যাবেন এবং জনপ্রিয়তা হারাবেন।
কমিউনিকেশন : এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অবশ্যই আপনার ভাল কমিউনিকেশন ব্যাবস্থা থাকতে হবে। যত বেশি মানুষের কাছে আপনার তথ্য পৌছাতে পারবেন তত আপনার আয়ের সম্ভাবনা বেশি হবে।
মার্কেটিং সম্পর্কে দক্ষতা : বিভিন্ন মার্কেট প্লেস এ কিভাবে পণ্য বিক্রয় করতে হয় সে সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকা প্রয়োজন।
নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান: উপরের সবগুলো দক্ষতা যখন আপনার আছে, তখন আপনার প্রয়োজন একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান এর পণ্য বিক্রয় পদ্ধতি, গ্রাহকের নিকট ডেলিভারি পদ্ধতি সবকিছু সম্পর্কে আপনার ধারনা থাকা প্রয়োজন, যাতে ক্রেতাদের সব তথ্য সরবরাহ করতে পারবেন।
এই সব দক্ষতা থাকলে আপনি একজন ভাল এফিলিয়েট মার্কেটার হতে পারবেন। আশা করি পোস্ট টি পড়ে উপকৃত হয়েছেন।