এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রতি মাসে একটা ভাল পরিমানে টাকা আয় করা সম্ভব। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেকে শুরুতেই ভাল কমিশন পেয়ে যান আবার অনেকে অনেক দিন ধরে কাজ করেও ভাল লাভ করতে পারেন না। এটা পুরোটা নির্ভর করে এফিলিয়েট মার্কেটার এর দক্ষতার উপর। এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরুর আগে কিছু কিছু বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখবেন তা জানা আবশ্যক। এই সব বিষয় মাথায় রাখলে এই কাজে সফল হতে পারেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক। এফিলিয়েট মার্কেটিং লাখ টাকা আয়ের উপায় –
আপনি যদি একেবারে নতুন হয়ে থাকেন অর্থাৎ এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কিছুই জানেননা তবে আগে এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন –এখানে
এই পোস্ট এ আমি বলব এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরুর আগে কোন বিষয়গুলোর উপর লক্ষ্য রাখতে হবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কার্যপ্রক্রিয়া :
প্রথমেই বলি এফিলিয়েট মার্কেটিং এ কোন প্রক্রিয়ায় কাজ হয়। এর একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া আছে। এটি হলো বিক্রেতা – ক্রেতা – এফিলিয়েট মার্কেটার বা ইনফ্লুয়েন্সার। এখানে প্রথমে বিক্রেতা পণ্য উৎপাদন করে তা বিক্রয় করার জন্য পরবর্তি প্রক্রিয়ায় ধাবিত হয়। তখন বিক্রেতা বা কোম্পানি ক্রেতার নিকট পণ্য পৌছায়। এফিলিয়েট মার্কেটার এর কাজ ক্রেতার কাছে বিক্রেতার পণ্য পৌছানো। তাই কোন প্রক্রিয়ায় ক্রেতার কাছে বিক্রেতার পণ্য পৌছাবে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
কোন পণ্য নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন :
এফিলিয়েট মার্কেটিং কোন ধরনের পণ্য নিয়ে শুরু করবেন সেটা আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। এজন্য আপনাকে পণ্যের ধরন সম্পর্কে জানতে হবে। পণ্য সাধারণত তিন ধরনের হয়।
ডিজিটাল প্রোডাক্ট : ডিজিটাল প্রোডাক্ট বলতে সাধারণত অনলাইন বিভিন্ন সেবা বা তথ্য বোঝায়। এগুলো হলো: ওয়েব হোস্টিং, জিমেইল সেল, ভিডিও, অনলাইন ক্লাস ইত্যাদি। এগুলোর মাধ্যমে আপনি পণ্যের মূল্যের ৫ থেকে ৭০ শতাংশ আয় করতে পারেন।
ফিজিকাল প্রোডাক্ট : ফিজিকাল প্রোডাক্ট সাধারণত আমাদের নিত্য ব্যবহার্য জিনিসগুলো। যেমন- পোশাক, খাবার, ফলমূল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক পণ্য ইত্যাদি। এগুলোর মাধ্যমে আপনি পণ্যের মূল্যের ২ থেকে ২০ শতাংশ আয় করতে পারেন।
জেনারেশন : এই ধরনের প্রোডাক্ট এর জন্য ক্রেতার কোন টাকা বা ক্রেডিট খরচ হয়না। জেনারেশন প্রোডাক্ট গুলো হলো- এন্ড্রয়েড এপ্স, সাইন আপ, ইমেইল সাবমিট, চ্যানেল সাব্সক্রাইব, ভিডিও সেল, অনলাইন ক্লাস প্রচার। এগুলোর তথ্য প্রচার এর জন্য কোম্পানি বিভিন্ন মানের সেলারি অফার করে থাকে।
কোম্পানির সহজলভ্যতা :
আপনি যে কোম্পানির পণ্য বিক্রি করবেন সেই কোম্পানি গ্রাহকের এলাকায় সার্ভিস দেয় কিনা সে বিষয়ে জেনে রাখতে হবে।
গ্রাহকের ধরন :
আপনি যে ধরনের পণ্য বিক্রি করবেন সে পণ্য কোন ধরনের গ্রাহকের জন্য প্রযোজ্য সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। গ্রাহকের বয়স, গ্রাহক পুরুষ না মহিলা, এই বয়সে গ্রাহক কি ধরনের পণ্য প্রয়োজন, গ্রাহকের বাজেট, কোন দেশের নাগরিক ইত্যাদি লক্ষ্য রাখতে হয়। যেমন আপনি যদি একজন পুরুষ মানুষকে বিভিন্ন শাড়ি এর কালেকশন দেখান তাহলে তা বোকামির কাজ হবে। তাই এইসব দিক বিবেচনায় রাখতে হবে।
প্রচারের মাধ্যম :
আপনি কোন কোন মাধ্যমে গ্রাহকদের পণ্য সম্পর্কে জানাবেন তা ঠিক করে নিতে হবে। এ ব্যাপারে বুঝতে হবে গ্রাহক সেই প্রচার মাধ্যমের সাথে সংযুক্ত কি না। আপনি প্রচারের জন্য টেক্সট মেসেজ, ইমেইল, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েব সাইট, ইউটিউব এবং বিজ্ঞাপন কে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তবে কোন ধরনের পন্য কোন মাধ্যমে প্রচার করলে বেশি গ্রাহকের নিকট পৌছাবে, সে ব্যাপার টি লক্ষ্য রাখতে হবে।
এই সব বিষয় গুলি মাথায় রাখলে এফিলিয়েট মার্কেটিং এ সহজেই ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।