আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজকে যে বিষয়ে কথা বলব তা হল, এমন চারটি হারাম নাম যা কখনোই মুসলমানদের রাখা উচিত নয়। তাহলে এখন শুরু করা যাক আমাদের মূল বিষয়।
মহান আল্লাহ তাআলার অবারিত নিয়ামতের মধ্যে অন্যতম এবং সর্ব শ্রেষ্ঠ নেয়ামত হচ্ছে সু সন্তান। একটি সন্তান জন্মগ্রহণ করার পর পিতা মাতার উপর সেই সন্তানের জন্য একটি সুন্দর এবং ইসলামিক নাম রাখা ও আকিকা দেয়া প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কিন্তু নাম রাখতে গিয়ে অনেক সময় পিতা-মাতার হয়রানির শিকার হতে হয়। কি নাম রাখবে, কী নাম রাখলে ভালো হয়, কোন নামটা শুদ্ধ হয়। এই চিন্তা করতে করতে দেখা যায় যে, শিশুর প্রথম 6 মাস থেকে 1 বছর পর্যন্ত নাম ছাড়া থাকতে হয়। সবশেষে শত চিন্তার অবসান ঘটিয়ে একটি নাম কিন্তু রাখা হয়। কিন্তু অতি দুঃখের সাথে বলতে হয় কিছু পিতা-মাতা মুসলমান হওয়ার পরেও সন্তানের নাম রাখেন ফিল্মের নায়ক নায়িকা অথবা কোন প্রিয় ক্রিকেটার কোন প্রিয় ক্রিকেটার এর নামে। তাই বলছি আপনার প্রিয় সন্তানের নাম রাখার আগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সেই হাদীসটি আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। হযরত আবু দারদা (রা,) থেকে বর্ণিত রাসুল পাক( সা,) এরশাদ করেছেন, কেয়ামতের দিন তোমাদেরকে ডাকা হবে তোমাদের নাম এবং তোমাদের পিতার নামে। অতএব তোমাদের নামগুলো কে সুন্দর করে রাখো। যাই হোক যে নাম গুলো রাখা ইসলামে সুস্পষ্টভাবে হারাম এবং জঘন্য গুনাহ শামিল সেই নাম গুলো হচ্ছে, বুখারী ও মুসলিম শরীফে হযরত আবু হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে জঘন্য নাম হচ্ছে, মালিকুল আমলাক। অর্থ বিশ্ব জগতের সমস্ত সম্পত্তির মালিক। ২, মালিকুল মুলক। অর্থ, রাজ্যের রাজা।৩, শাহেনশাহ। অর্থ, জগতের বাদশা। ৪, সাইয়িদুন্নাস। অর্থ, মানব জাতির নেতা। যা আল্লাহ তালা প্রচন্ড রকম ঘৃণা করেন। যদি এই নামগুলো মানুষের রাখা হয়, তাহলে তিনি কবিরা গুনাহ করবেন। নাম পরিবর্তনের সাথে সাথে তওবা না করলে জাহান্নামী হবেন। যে নাম গুলো শুধু মহান আল্লাহ তাআলার আজ্জাওয়াজালের সাথেই মানায়। কারণ যে নাম দুনিয়াতে একবার রাখা হয়ে যায়, কেয়ামতের দিন পর্যন্ত, সেই নাম অক্ষুন্ন থেকে যায়। আল্লাহপাক মানুষের নাম পরিবর্তন করেন না। আর তাই নাম রাখার ক্ষেত্রে অনেক সচেতন হওয়া প্রয়োজন।