“দূরত্বের ঘড়ির কাঁটা, বন্ধ করে দিয়ে, ভাসিয়েছি নৌকা”
ছল ছল পানিতে ভেসে চলে মধ্যবিত্ত নৌকাটি,
গন্তব্য অচেনা এক প্রান্তিক নগরী।
ভরা মৌসুমেও যমুনা ,তার যৌবন হারিয়েছে, হারিয়েছে ঐশ্বর্য।
মাঝে ,মাঝে, গতি হারিয়ে নৌকা স্তব্ধ হয়ে যায় মাঝপথে,।
চিন্তার লেশমাত্র নেই দুজন, দুজনার দিকে তাকিয়ে
সামনে অনিশ্চিত যাত্রা। তবুও মুখে হাসি।
কারণ ,তা ,বোধ হয়, দুজন দুজনাকে খুব বেশি ভালোবাসি।
মাঝি তার সর্বস্ব দিয়ে নৌকা ফিরিয়ে নেয় উজান তীরে।
আবার শুরু হয় গন্তব্যের দিকে চলা, চোখে চোখে শুধু কথা বলা।
এখনো গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়, এত বড় নৌকায়।
দেখতে দেখতে দিনের আলো ফুরিয়ে, নামলো অপরূপ এক সন্ধ্যা।
যে সন্ধ্যার কোন ক্যাপশন নেই ,নেই কোন ভাষায় বর্ণনা।
আকাশের কোটি কোটি তারা, হৃদয় প্রেম আর ভালোবাসায় সর্বহারা
তবুও চেয়ে দেখি পবিত্র, অবয়বের আঁধারের চাঁদ মাখা হাসি।
কারণটা বোধহয় শুধু ভালোবাসাবাসি,,,,
মাঝপথে আবারো শুকিয়ে যাওয়া যমুনার আঘাত
যাত্রাপথে এত ব্যাঘাত, তবুও দুজনে প্রাণ খুলে হাসি
সন্ধ্যার তারারা আমাদের দেখে হাসে কারণ তারাও সৌন্দর্যকে ভালোবাসে।
ঘড়ির কাটা বন্ধ হয়েছে অনেক আগেই, তারারা আমাদের পথ দেখাচ্ছে।
মাঝি তার বেসুরো গলায়, প্রাকৃতিক কোন এক সুর, বেসুরো গলায় গাইছে।
তবুও সেই গানটি হৃদয় ছুঁয়ে যায়, ছুঁয়ে যায় পিপাসার্ত মন।
যতখানি না ভেবেছিলাম ততখানি হয়েছিলাম আপন।
সেদিনের সেই কথাগুলো আজ শুধুই অতীত,
স্মৃতিগুলো শুধু লেখা ডাইরির কয়েকটি পাতা।
এক জীবনে সবটুকু স্মৃতি মুছে ফেলা বড়ই কঠিন
কিন্তু তার পুরোটাই তুমি মুছে ফেলে , চলে গেলে সুখের দ্বারে।
প্রশ্ন জাগে! “ওরে পাষাণ”একবারও কি মনে পড়ে না আমারে?
উত্তরগুলো কখনো ফিরে আসার নয়, তবে তুমি ভালো থেকো, এখনো শীত আসলে পুরনো স্মৃতিগুলো কথা কয়।
খুব সুখে আছো জানি, যমুনা শুকিয়ে ফেলেছে, তার ঐশ্বর্য আর চোখের পানি।
খুব ভালো থেকো, ওরে পাষাণ!
স্মৃতিগুলো মিশে থাকে, শুধু ভালোবাসার গল্পটাতে
এক প্রেমের হাজারো কবিতা তবুও শেষ হয়না লাইন
ভালোবাসা মানে না, ক্ষমা করে দিও মোরে ,যদিও থাকে শিষ্টাচার বহির্ভূত কোনো আইন।
ওরে পাষাণ! একবারও কি জ্বলে উঠে না হৃদয়
খুব সহজে, এত তাড়াতাড়ি কিভাবে মানুষ নেয় বিদায়?
অবাক করা সত্য”তারারা তার সাক্ষী, যমুনার পানি কখনো মিথ্যে বলে না/
আমি সরে যাব ভালোবাসার সব ছলনা!
ওরে পাষাণ! তোমার কাছে চাওয়া আমার সব পত্র গুলো আমায় ফিরিয়ে দিও
আমি ,হিয়ার , সাথে সন্ধি করে নিয়েছি
ভুলে যায়নি তারে, এখনো ফিরে যাই মাঝে মাঝে সেই কাল যমুনার পাড়ে।
ওরে পাষাণ! তোর পাষাণ হৃদয় আমার মন কেড়ে নিয়ে আমারেও পাষাণ বানিয়ে দিয়েছে
তাইতো এত অভিযোগ, ভালোবাসার লংঘন , আমায় বড় স্বার্থপর করে তুলেছে।
অপবাদের বন্যা টা আমাকেই প্লাবিত করে করে তুলেছে উশৃংখল আর বাতুলতায় ভরা ব্যক্তিত্বে।
তবুও তুমি ভালো থেকো, এখনো হৃদয়ের প্রেমটা হয়নিকো বাঁশি।
কারণটা বোধহয়, এখনো তোমায় আমি বড় বেশি ভালোবাসি।
সংসারে আগুন লাগানোর অভ্যাস, সত্যিকারের কোন প্রেমিকের স্বভাব ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নয়।
তবুও অবচেতন মনে , কখন যে আঘাত করেছি তারে, এতোটুকুই শুধু ভয়।
মনীষীদের কাছে শুনেছি, সত্যি কারের ভালোবাসা, কভু হয়না পরাজয়।
প্রেমের স্বাদ নিতে গিয়ে, আমি পেয়ে গেলাম, প্রত্যন্ত এক প্রাণ 0 চর।
সময়ের সাথে সাথে, আপন মানুষগুলো আচমকাই হয়ে যায়, দূরত্বের বন্ধু হয়ে উঠে পড়।
যমুনা আর নৌকার যুদ্ধের শেষে, অবশেষে পৌঁছে গেলাম, বিরহের দেশে।
ঘড়ির কাঁটার দূরত্ব বোধহয় কোনকিছু দিয়ে আটকানো সম্ভব নয়।
শুধু প্রশ্ন? একবারও কি জ্বলে ওঠে না হৃদয়!
ওরে পাষাণ/ওরে পাষাণী/
কবি::::::: মমিন সাগর:::;;;;;;