আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই ?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনায় ব্যক্ত করি।
আজকাল আকাশে মেঘের আনাগোনা অনেক বেশি। মনে হয় ইচ্ছে হলে ধরে ছোয়া যায় এই মেঘ। মেঘ ধরা গেলে হয়ত ছোট বাচ্চারা মেঘ নিয়ে খেলতো। কিন্তু তাই বলে মেঘ যে ওজনহীন তা ভাবা নিছক বোকামি ছাড়া আর কিছুই না।
তাই যদি মেঘের ওজন নিয়ে গবেষণা করার ইচ্ছে থেকে থাকে তাহলে সবার আগে মেঘের ঘনত্ব বের করতে হবে। আমরা আকাশে যে সাদা সাদা মেঘ ভেসে বেড়াতে দেখি সেই মেঘের নাম হলো কিউমুলাস মেঘ। বাংলায় যার দাম পুঞ্চমেঘ। গবেষকরা দাবি করেছেন যে প্রতি ঘনমিটার পুঞ্চমেঘে পানির ঘনত্ব পাঁচশত গ্রাম। কিন্তু মেঘের সংখ্যায় ভেদে মেঘে পানির ঘনত্ব কম বেশি হতে পারে।
কিন্ত আকাশে মেঘের আকার কত আমরা কি কখনো তা ভেবে দেখেছি ?সাধারণত মেঘের উপরে যখন সূর্য থাকে তখন মেঘের ছায়া দেখে মেঘের আকার কত হতে পারে তা নিয়ে ধারণা করা যেতে পারে। উক্ত সময়ে গাড়ি চালিয়ে গেলে ওডোমিটারে মেঘের আকার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশানাল সেন্টার ফর এটমোস্ফেয়ার রিসার্চের গবেষক মার্গারেট লেমন এর মোতে পুঞ্জমেঘ এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের দুরুত্ব প্রায় ১ কিলোমিটার।
আরেক বিজ্ঞানী মেন্টাল ফ্লস পুঞ্জমেঘের আয়তন প্রায় প্রায় একশত কোটি ঘনমিটার হয়ে থাকে। তাই সেইদিক বিবেচনা করা হলে বলা যায় পুঞ্জমেঘের আয়তন প্রায় ১০০ কোটি ঘনমিটার হয়ে থাকে। তাই ধরা হয়ে থাকে ১০০ টি হাতির ওজনের সমপরিমন হবে মেঘের ওজন। ভাবনা আসতেই পারে যে মেঘের যদি এতো ওজন হয়ে থাকে তাহলে এই মেঘগুলো কি করে আকাশে ভেসে থাকতে পারে।
মূলত আকাশের মেঘ হলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানির কণায় বিভক্ত। এক বিশাল ক্ষেত্রজুড়ে এই পানির কণাগুলো অবস্থান করে থাকে। এই কণাগুলো এতটাই ক্ষুদ্র যে কয়েক কোটি ফোটা একত্র করলে এক ফোটা বৃষ্টি হবে। আর সেই জন্য মেঘের মধ্যে মধ্যাকর্ষণ এর পরিমান অটো নগন্য।
অন্যদিকে আপনারা জানেন কি মেঘের ঘনত্ব শুস্ক বাতাস থেকেও অনেক কম। আর সেইজন্য উষ্ণ বাতাসগুলোও মেঘের কোথাওলোকে টেনে টেনে উপরে তুলে জোর করতে সাহায্য করে। কিন্তু জমে থাকা সেই কোন গুলো এক স্থানে অবস্থান করে না। রবং জুড়ে জুড়ে বিশাল হয়ে থাকে। আর সেই বিশাল কণাগুলো একসময়ে বিরাট মেঘ হয়ে পৃথিবীতে বর্ষণ করে থাকে।
(সূত্র:প্রথমআলো)