চেয়ে দ্যাখো বুলবুল
গাজী মোহাম্মাদ আব্দুল মাজেদ।
গদ্য ছন্দ।
চেয়ে দ্যাখো বুলবুল,
আজ জীবনের কত নিচে নেমেছি।
খেয়েছি ঘৃণিত লাজ,
পাকস্থলীরে দিয়েছি অবহেলার ভাত।
রয়েছি মানুষের লালার তলে তলে,
তবু দয়া হয় নি মহান স্রষ্টার।
যেন তিনি দেখেনি
যেন আমি তাঁর সৃষ্টি না
আমার এমনটাই মনে হয়েছে।
আমি দুখের জলে ভেসে ভেসে ভাবি
এই বুঝি খোদার দয়ায় উঠলাম।
না, কিছুক্ষন পরে দেখি
সবকিছু আগের মতই।
তখন নতুন করে জল ফেলার কী আছে?
জল অবিরত ঝরতেই থাকে।
তবু আমি হৃদয়ের গভীরে
মোনাজাত ধরে আছি,
যদি খোদার রহমতের এক ফোঁটা বৃষ্টি পড়ে।
আমার পবিত্র প্রিয়তমা
গাজী মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদ।
আমার প্রিয়, সাথে পবিত্র
প্রিয়তমা, আমার এমনও
জীবনে তোমাকে অনেক বেশী
প্রয়োজন। তোমাকে পেতে
তুমি এখনই করো আয়োজন।
আমি কোনো এক দূরের নর্দমায়
ছিটকে পড়েছি। আমারই হৃদয়
তোমারই দিকে টেনে ধরেছি।
চলে আসো এক অদ্ভুত হাওয়াতে,
পাল্টে যাক জীবন তোমার ছোঁয়াতে।
আমি ছিন্ন ভিন্ন,
গাজী মোহাম্মাদ আব্দুল মাজেদ।
ভাগ্যে
আমি নিরব,
আমি ছিন্ন ভিন্ন,
আমি হাসতে ভুলে গেছি
বহু বছর ধরে। আমার হৃদয়
হাসে
না সুখ এসে
যদি বর্ষার মতো
আমার চারিপাশে পড়ে।
আমি থাকি না আমার নিজ ঘরে।
আমি
ক্ষণে ক্ষণে
দেখি মরণ ঘরে,
আমি বেঁচে আছি কেবল
আমার কবিতার উপর ভর করে।
আমার
সখ আহ্লাদ
বলতে কিছু নেই রে,
আমি বেঁচে আছি, আছি,
আবার আমি নেই রে। চলছে এমন
করে
জীবন ঘরে
জীবন হারানোর দিন,
আমার বায়ু শেষের দিকে
কবে যেন হয় দুখের দেহ হীন।
আলোরা ব্যথা দিয়েছে,
গাজী মোহাম্মাদ আব্দুল মাজেদ।
আলোরা ব্যথা দিয়েছে,
ভালোরা ব্যথা দিয়েছে।
কালোরা আর কী বা দেবে?
কালোরা আর কী বা নেবে?
জীবনের গল্পে বিপর্যয়,
উন্মাদের মহা প্রলয়।
কিছু ফুল ইচ্ছের বাহিরে
এই ফুল আর ফুলে নাহিরে,
ব্যথায় যেন হারিয়ে যায়।
দুখ দুঃখ কাথার জীবনে
হেঁটে যাই যাচ্ছি আনমনে,
থাকতে চায় না আর গগনে।
আমারে কেউ ভালোবাসে নি।
গাজী মোহাম্মাদ আব্দুল মাজেদ।
আমি ভালোবাসার
দুয়ারে দাড়িয়ে
দেখি, গল্পে মায়া নামে
আমারে কেউ ভালোবাসে নি।
আমি
বড় দুখে
ছিটকে পড়ে দেখি,
গল্পে জনম আপন নামে
আমারে কেউ জরিয়ে ধরে
নি। তাই
চির নিদ্রায়
গড়িয়ে পড়েছি,
আমি ভিক্ষার থালা নত
শির সবার সামনে তুলে ধরেছি।
আমায়
কেহ ভিক্ষা
দিল না, সকলের
দুয়ারে দাড়িয়ে রইলাম,
ভিক্ষা দাও ভিক্ষা দাও কত কইলাম।