এই প্রাণঘাতী মহামারী করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি কবে সাভাবিক হবে তার কোনো নিশ্চিয়তা নাই। ক্রমশই মানুষের উপার্জনের পথ গুলি বন্ধ হয়ে আসছে। এই পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান না করতে পারলে পরবর্তীতে তা আরও ভয়াবহ হতে পারে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কে দুর্বল করে দিয়েছে। পৃথিবী জুড়ে অসংখ্য মানুষ চাকরি হারাচ্ছেন, ব্যবসা- বানিজ্যে হচ্ছে অনেক লোকসান।করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এতোটাই ভয়াবহ যার দীর্ঘমেয়াদীর প্রভাব ভোগান্তিতে ফেলতে পারে আমাদের সকলকেই, তাই এই সঙ্কটপূর্ণ অবস্থায় ভবিষ্যতের কথা ভেবে এখন থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে এবং এখন প্রতিটি মানুষের উচিত হবে দৈনিক খরচের মধ্যে সর্বোচ্চ টানা লাগাম দিতে হবে। এই সঙ্কটের সময়ে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন সঞ্চয় কে এমন অবস্থায় নিয়ে যাওয়া যাতে করে আগামী সাত/ আট মাসের আবশ্যক খরচ গুলি ভালো ভাবে কোনো আপত্তিকর পরিস্থিতি ছাড়াই চালানো যায়।
লক ডাউনয়ের কারণে ইতিমধ্যেই আমাদের খরচ অনেকটাই কমে গেছে। কিন্তু বিরক্তিকর পরিস্থিতি কাটানোর জন্য অনেকেই অপ্রয়োজনীয় খরচ করে ফেলছে। স্বাভাবিক পরিস্থিতি তে বাজেট থেকে বাহিরে গিয়ে খরচ করার বিলাসীতা হয়তো ছিল কিন্তু বর্তমানের এই কঠিন পরিস্থিতি তে তা একবারে নেই। আমাদের অনেক প্রয়োজনীয় খরচেও বর্তমানে এই পরিস্থিতি তে অপ্রয়োজনীয় হিসেবে ধরতে হবে।সেটা বাজারের ক্ষেত্রেও হতে পারে। তাই আমাদের উচিত প্রয়োজন অনুযায়ী খরচ করা। যত টুকু দরকার সেই হিসেবে একটি বাজেট তৈরি করতে পারেন। বর্তমানে এই দূর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের চাহিদা গুলো কে বাদ দিয়ে আমাদের প্রয়োজনীয়তা কে বড় করে দেখতে হবে। প্রতিবেলার তিন/চার টি পদের খাবার না খেয়ে দুই পদের খাবার দিয়েই ক্ষুধা মেটাতে পারেন। সন্তানদের বায়না মেটানোর খরচেও লাগাম দিতে হবে।উক্ত সময় প্রাথমিক অবস্থায় হাতে বাড়তি অর্থ হয়তো আমাদের পুরোনো কোনো শখ মেটানোর ইচ্ছা কে প্রবল করে তুলতে পারে, তবে সেটাও আমাদের দমাতে হবে। বর্তমান অবস্থায় আমাদের সঞ্চয় বাড়াতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ পরিহার করতে হবে।