“আসসালামু আলাইকুম সবাইকে”। সবাইকে আমদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা আর অভিন্দন ,আশা করি ভাল আছেন সবাই ।আজ এমন এক ব্যাক্তির কথা জানব যে নিজের প্রতিকূলকে পার করে আজ তিনি অন্যতম পর্যায়ে রয়েছে ।
পৃথিবীর সীমা যেমন অন্যরকম ঠিক তেমনি আমাদের জগৎতে মানুষগুলো নানা ধরনের হয়ে থাকে যেমন:কালো,খাটো,ও লম্বা ইত্যাদি।যা সামনের পথে চলতে নানা ধরনের বাধা-বির্পওীর পরে শারিরীক গঠনের কারনে ,তবু থেমে থাকে না নিজের দীগন্ত পথে।তিনি ভারতবর্ষে উওর প্রদেশে এক কৃষকের পরিবারে জম্মগ্রহন করেন । ৯ভাই-বোনের মধ্য সবচেয়ে বড় তিনি ।
এক সময় তিনি পেট চালানোর জন্য সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেছিলেন।ছোটবেলা থেকে তার সিনেমার প্রতি আকর্ষন ছিল ,তাইতো তিনি টিফিনের টাকা জমে বাবার কাছ থেকে লুকিয়ে মাঝেমধ্যে গ্রাম থেকে শহরে পালিয়ে যেত সিনেমা দেখতে। তবে দিন যাওয়া পর তিনি বুঝতে পারেন যে টাকা না থাকলে জীবনে কিছু করা সম্ভব না ।
তাই তিনি প্রথমে একটা কোম্পানিতে কেমিস্ট্রির কাজ নেই হঠাৎ একদিন তার কাছে খবর আসে নেশনাল স্কুল অফ ড্রামার ।সেখানে অভিনয় শেখার জন্য চলে যায় দিল্লিতে আর সেই পাশাপাশি উপার্জন হিসেবে কাজ করেন নাইট সিকিউরিটি গার্ড ।তাছাড়া সারাদিন অভিনয় প্র্যাকটিস করার পর যে সময়টা কাজ করা জন্য থাকতো সেটা ছিল রাত্রীতা ।
তাইতো তিন বছর ধরে কঠোর পরিশ্রমে অভিনয় শিখে মুম্বাই শহরে পা রাখেন। বিভিন্ন স্টূডিও ঘুরে দেখতে পেলেন তার গায়ের রং ও উচ্চতাকে নিয়ে খঁটা দেন এমনকি কেউ কাজে নিতে চান না ।ক্যারিয়ার করার পর এক ইন্টারভিউতে বলেছিল আমি যখন বাড়িতে প্রথম জানায় আমিও অভিনেতা হতে চাই ।
তখন আমার আশেপাশের লোকগুলো সবাই বলতো আগে আয়নার দিকে নিজের মুখটা দেখো কিন্তু আমি তো ভেবে রেখেছিলাম আমার অভিনেতা হতেই হবে ।তাইতো ক্যারিয়ার শুরুতে লোকে আমার উচ্চতা গায়ের রং নিয়ে মজা করতো ।আমি যখন প্রথম হিরো হিসেবে সুযোগ পেলাম লোকে বলত এই সিনেমা নিশ্চিত ফ্ল্যট হবে তখন আমার খুবই খারাপ লাগত ।
যখন সিনেমা রিলিজ হল সুপারহিট হল সেই লোকগুলো আমার কাছে কাজের অফার নিয়ে আসতে লাগল ।আসলে কোন জিনিস কে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল চেষ্টার মধ্য থাকে তবে একদিন না একদিন গোটা পৃথিবী তোমার সামনে ঝুকতে বাধ্য হবে । আমি কোনদিনও টার্গেট করিনি যে দু বছরে মধ্য বড় সিনেমা না পেলে আমি অন্য কাজ করব ।
আমি মনে প্রানে নিজেকে বিশ্বাস করতাম অভিনয় ছাড়া আমার চলা অসম্ভব তাইতো ১০,২০,৩০ বছর লাগুক লড়াই চালিয়ে যাব ঠিক সুযোগ আসবে । প্রথম সিনেমায় মাত্র ৪০সেকেন্ড একটা অভিনয় পেয়েছিলাম বছরের পর বছর চোর, ছিন্তায়কার, মাওয়ালী এসব চরিত্রে অভিনয় করতে লাগলাম তবুও নিজের আশাকে ছাড়েনি ।
প্রথম আমার সিনেমা যখন বিদেশে মনোনীত হল সে বছর কোন ডিজাইনার পোশাক বানিয়ে দিতে রাজি হয়নি অথচ পরের বছর সে ইভেন্টে সমস্ত ডিজাইনার তার পিছনে ছুটে ছিল ড্রেস বানিয়ে দিবে বলে ।
গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর,তালাশ, কিক, কাহানি থেকে শুরু করে হালের স্যাক্রেড গেমস নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী অভিনয় মুগ্ধ পুরো দুনিয়ার দর্শক্ কালো গাইয়ের রং এর জন্য রিজেক্ট হওয়া ব্যক্তিটি কাছে আজ বলিউডের বড় বড় প্রোডিউসার ভিড় জমায় কাজ করার জন্য ।
আজ ভারতবর্ষের অন্যতম সুপারস্টার সিনেমা ওয়েব সিরিজ সর্বএ তার বিচারণ।সত্যিকারে আমরা যারা কালো, লম্বা,খাটো বা অন্য কোন শারীরিক বিষয়ের জন্য হীনমন্যতায় ভুগি তাদের জন্য উদাহরন বলবো নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী । তার প্রতিভা আর কঠোর পরিশ্রমে জন্য আজ খাটো ,কালো ও গরীব ছেলেটা ভারতবর্ষে সবচেয়ে বড় সুপারস্টার তালিকায় নিজের নামটা লিখে ফেলেছেন । নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী যদি পারে ,তাহলে আপনিও পারবেন প্রতিভা আর কঠোর পরিশ্রমের ফলে।
আজ এখানে লেখা শেষ করলাম ! নতুন টপিক নিয়ে আবার দেখা হবে, আমাদের সাথে থাকুন ।
ধন্যবাদ ………আল্লাহ হাফেজ ।