দুঃখ ,কষ্ট আর বুকভরা জ্বালা যন্ত্রণা নিয়ে সহায় সম্বল হারিয়ে অকাতরে কিডনি বিকল হয়ে বিনা চিকিৎসায় প্রায় ৪০হাজার মানুষ মারা যায় প্রতিবছর। অভাগা,হতভাগা আর দুঃখী মানুষের জন্য ভেবে দেখা দরকার তাদের জন্য সহজে এবং কম খরজে সেবা দেয়া যায়। সহায় সম্বলহীন মানুষের কিডনি বিকল হলে তাঁরা তার প্রতিকার বা চিকিৎসা করতে পারছেনা। এতো ব্যায় বহুল চিকিৎসা যাদের নুন আন্তে পান্তা ফুরায় তাদের পক্ষে বহন করা কোনো ভাবেই সম্বব নয়। একজন কিডনি বিকল হওয়া রোগি তার ডায়ালইসিস আর ঔষধ বাবদ প্রতিমাসে খরচ হয় ৪০হাজার থেকে ৫০হাজার টাকার মতো। এইবিশাল ব্যায় বহুল চিকিৎসা করা গরীব মানুষের পক্ষেই কোনোভাবেই সম্ভবপর হয়ে উঠেনা। তার যতটুকু সম্পদ থাকে তা বিক্রি করে সব হারিয়ে তারপর দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নিতে হয়। এর চেয়ে হৃদয় বিদারক দৃশ্য কি হতে পারে ?কিডনি যে কারনে বিকল হয়ে যায় সেই বিষয়গুলো সাধারণ মানুষকে বুঝানো যাতে তারা সচেতন হয়ে যায়। আর কিডনি চিকিৎসা সহজীকরণ করা যাতে গরীব মানুষগুলো সহজেই সেবা নিতে পারে। উন্নত দেশে কিডনি ডায়ালইসিস এর জন্য কোনো খরচ লাগেনা।
আমাদের দেশ যেহেতু উন্নত নয় তাই যাতে কম খরচে গরীব মানুষগুলো ডায়ালইসিস করতে পারে সেই বিষয়ে সরকারকে নজর রাখতে হবে। অন্ন,বস্ত্র ,বাসস্থান ,চিকিৎসা এইগুলো মানুষের মৌলিক অধিকার। মৌলিক অধিকার গুলো পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার। এভাবে চোখের সামনে তিলে তিলে মানুষগুলো সহায়সম্বলহীন হয়ে অকাতরে মারা যাবে এটাও সহ্য করার মতো নয়। তাই স্বাস্থ অধিদপ্তরের এই বিষয়ে ভেবে দেখা দরকার কিভাবে গরিব মানুষগুলো সহজে এবং কম খরচে সেবা নিতে পারবে। দুষ্ট লোকেরা আমাদের দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে অন্য দেশে নিয়ে যাচ্ছে আর গরিব মানুষ গুলো চিকিৎসার অভাবে মারা যাবে এটা কখনোই ঠিক না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বিষয়ে গভীর ভাবে ভেবে দেখার দরকার। তিনি জনগণের সরকার। প্রধানমন্ত্রী যদি এই হতোভাগা মানুষ গুলোর দিকে তাকাতেন তাহলে গরীব মানুষগুলো এভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যেত না। দুনিয়ার সব মানুষেরই একদিন না একদিন এ পৃথিবীর মায়া মমতা ত্যাগ করে চিরবিদায় নিতে হবে। কিন্তু বিনা চিকিৎসায় কেউ যাতে মারা না যায় সেই বিষয়টি এখনই ভাবে দেখা দরকার।