হ্যালো বন্ধুরা! সবাই কেমন আছেন? আমি কিন্তু অনেক ভালো আছি।
আমাকে অনেকেই বলে, ভাই কিভাবে হ্যাকার হতে পারি? আপনার কাছে হ্যাকিং শিখবো, হাকাররা কি সফটওয়্যার ব্যাবহার করে? হ্যাকার হওয়ার জন্যে কি কি প্রয়োজন?
তো এইসব প্রশ্ন করেই আমাকে কিছু কিছু মানুষ অনেক বিরক্ত করে। আর তাই আমি ভেবেছি এই বিষয় নিয়ে একটা লেখা লিখব। তাই বন্ধুরা আশাকরি এতক্ষনে বুঝেই গেছেন যে, আজকের এই লেখাটা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ তাদের জন্যে যারা হ্যাকার হতে চান বা হ্যাকিং কে ভবিষ্যৎ বানাতে চান। তাই আর দেরি না করে চলুন শুরু করি…
একজন ভালোমানের হ্যাকার হওয়া সহজ ব্যাপার না এবং খুব তাড়াতাড়িও হওয়া যায় না। একজন হ্যাকারকে অনেক সমসসার সম্মুখীন হতে হয় এবং একটি সমস্যার চেয়ে আরও বেশী সমাধান করতে হয়। সব সময় মনে রাখতে হবে জ্ঞানই শক্তি। সব সময় ধৈর্য ধারন করতে হবে, ধৈর্য না থাকলে হ্যাকার হওয়ার আশা করবেন না। আপনি যদি ভাবেন আপনি টুকটাক হ্যাকিং করার জন্যে হ্যাকিং শিখবেন। তাহলেও আপনাকে এই বিষয় নিয়ে একটু কষ্ট তো করতেই হবে। কেননা এমন কোন সফটওয়্যার বা টুলস এখনও পর্যন্ত বেরয়নি যার সাহায্যে আপনি ১ ক্লিকেই হ্যাক করে ফেলবেন। হ্যাকিং হচ্ছে একটা আর্ট যা সবার দ্বারা হয় না। তাই আপনি যদি টুকটাক হ্যাকিংও করেন তবুও আপনাকে একটু কষ্ট তো করতেই হবে। আর যদি আপনি ভাবেন আপনি ভালো একজন হ্যাকার হবেন তাহলে তো পরিসশ্রম এর শেষ নেই। দিন রাত করতে হবে কঠোর পরিশ্রম আর প্র্যাকটিস। এ ক্ষেত্রে ধৈর্যের কোন বিকল্প নেই। হ্যাকারদের মূল মন্ত্র হল ধৈর্য।
একজন হ্যাকার সবসময় নতুন কিছুর অপেক্ষায় থাকে। যেমন ধরেন, আপনার কম্পিউটার এর এন্টি ভাইরাস। এই এন্টিভাইরাস গুলো যেই কোম্পানিটি তৈরি করে তারা প্রতিনিয়তই ভাবে এই এন্টিভাইরাস গুলো দ্বারা কিভাবে হ্যাকার এর কবল থেকে আপনাকে বাঁচাবে। কিন্তু যারা হ্যাকার অর্থাৎ কালো টুপি হ্যাকাররা সবসময় ভাবে কিভাবে এই এন্টিভাইরাসটাকে ক্রাক করে আপনার কম্পিউটার এ প্রবেশ করবে। আর ঠিক একই ভাবেই সাদা টুপি হ্যাকাররা আবার পরে থাকে কালো টুপি হ্যাকারদের পিছনে, কিভাবে তাদেরকে ধরা যায়। সুতরাং বলা যায় এটাই হ্যাকারদের জীবন।
একজন ভালো হ্যাকার হতে গেলে আপনাকে প্রোগ্রামিং ভাষা শিখতে হবে। এ ব্যাপারে আমি ভিন্ন একটি পোস্ট লিখবো। তবে জানিয়ে রাখা ভালো যে, আপনি প্রোগ্রামিং ভাষা শিখলেই হবে না। প্রোগ্রামিং ভাষা নিয়ে গবেষণাও চালাতে হবে। আর তার চেয়ে বড় কথা হলো আপনি যদি ভালো হ্যাকার নাও হতে পারেন তাতেও কোন সমস্যাই নেই। কেনোনা এসব নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে আপনি ভালো একজন প্রোগ্রামার হয়ে যাবেন। আর বলে রাখা ভালো যে, অনেক সময় প্রোগ্রামারদেরকে হ্যাকারদের সাথেও তুলনা করা হয়।
এখন প্রশ্ন থাকতে পারে (ভাই এতো টাকা, কষ্ট এবং পরিশ্রম করার পর হ্যাকার না হয়ে প্রোগ্রামার হয়ে কি করব?) তাহলে বলছি, ভাই প্রোগ্রামারদের বেতন সম্পর্কে না বলাই ভালো। কেনোনা আপনি জানলে অবাক হবেন যে, গুগলে একজন বাংলাদেশি প্রগোগ্রামার চাকরি করে যার বেতন বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা। ভাই শিক্ষা এমন একটি জিনিস যা ফেলা যায় না।
এখন আপনারাই ভাবুন আপনারা কি করবেন। আজ এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন। ধন্যবাদ।
–মাহফুজ আর পি।