আসসালামুআলাইকুম, কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন।
বরাবরের মতো আরো একটি নতুন আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মাঝে চলে আসলাম।আজকের আর্টিকেলটা যারা অনলাইন ইনকাম করতে চান ফ্রিল্যান্সিং করে কিংবা ফ্রিল্যান্সিং করে দ্রুত আয় করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য খুব উপকারী হতে চলেছে।তাই পুরো আর্টিকেলটা মন দিয়ে পড়ে নেবেন।
ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি মুক্ত এবং স্বাধীন পেশা। যেখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির দেওয়া কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং মন দিয়ে করতে পারলে আপনি এখান থেকে আস্তে আস্তে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা প্রতিমাসে যে ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে।
তবে এখন আপনি এটা ভাববেন না যে আপনাকে টাকার লোভ দেখাচ্ছি। বর্তমানে বাংলাদেশী শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অনেক, যার কারণে এখানে চাকরি পাওয়া অনেক কষ্টের ব্যাপার। যেখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে চাকরি থেকে আরও দ্বিগুন টাকা কামাতে পারে।
তাহলে এখন কথা হলো ফ্রিল্যান্সিং দ্রুত শুরু করার জন্য অবশ্যই আপনার দক্ষতা প্রয়োজন। সে দক্ষতা বা ট্রেনিং আপনি কিসের মাধ্যমে করবেন?
দেখুন একটা সময় ছিলো যখন আমাদের কিছু জানার জন্য অনেক কষ্ট করতে হতো। কিন্তু বর্তমানে ইন্টারনেট আমাদের সবকিছু হাতের মুঠোয় করে দিয়েছে। বর্তমানে হতে একটি মোবাইল থাকলেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর যাবতীয় সবকিছু শিখে নিতে পারবেন।
ফ্রীতে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য দুইটা সেরা মাধ্যম হলো :
- গুগল
- ইউটিউব
আপনি চাইলে এই করোনার সময়ে ঘরে বসে নামিদামি প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করতে পারেন। অনলাইন কোর্স লিংক
গুগল : গুগল হলো সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন যেখানে আপনি সকল কিছু সার্চ করে মুহূর্তের মধ্যে পেয়ে যাবেন।এখানে অনেক ওয়েবসাইটে এবং ব্লগ সাইটে ফ্রিল্যান্সিং এর যাবতীয় সবকিছু ভালো ভাবে বুঝানো থাকে।আপনার কাজ শুধু সার্চ দিয়ে দেখে নেওয়া।
ইউটিউব : ইউটিউব হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভিডিও শেয়ারিং মাধ্যম।আপনি ইউটিউব থেকে সম্পূর্ণ ফ্রীতে ভিডিও দেখে ফ্রিল্যান্সিং শিখে নিতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি চাইলে বিভিন্ন ফ্রীল্যান্সিং কোর্স করতে পারেন।
তাহলে এখন আসা যাক যে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর শুরুতে কি বিষয়ে লক্ষ রাখবেন?
সর্বপ্রথম ফ্রিল্যান্সিং শিখে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে একটি অ্যাকাউন্ট খুলবেন। এখানে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী যেকোনো টপিকে ফ্রীল্যান্সিং এর কাজ শুরু করতে পারেন। তবে আপনি যে বিষয়ে দক্ষ অবশ্যই সে বিষয়ে কাজ করুন।
প্রথমত অ্যাকাউন্ট খুলে আপনি আপনার প্রোফাইল সঠিকভাবে সম্পাদনা করে নিন। পরবর্তীতে আপনি আসতে আস্তে ক্লায়েন্ট পেতে শুরু করবেন।এখানে আপনি প্রত্যেক কাজের জন্য কত টাকা নিবেন সেটা দিয়ে দিবেন।শুরুতে অবশ্যই কম টাকা নিবেন।কারণ দক্ষ না হলে অনেকে কাজ করতে চাই না।
তবে টাকা কম দিয়ে সবাই কাজ করতে চাই সুতরাং প্রথম অবস্থায় ক্লায়েন্ট পাওয়ার জন্য অবশ্যই চার্জ কম রাখবেন। আর যে সময়ের কাজ সে সময় করে দেবেন। এতে আপনার ক্লায়েন্ট বাহিরে যাবে না।
ফ্রিল্যান্সিং এর লাভজনক কয়েকটি টপিক
১. গ্রাফিক্স ডিজাইন : গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কথা ফ্রিল্যান্সিং এর কথায় না বললে হয় না। গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।তবে অবশ্যই আপনার দক্ষ হতে হবে।
২.আর্টিকেল রাইটিং : আপনি আর্টিকেল লিখার মাধ্যমে ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং করে।
৩.বিভিন্ন ওয়েব ডিজাইন : ওয়েব ডিজাইন এর কাজ জানলে, এটি করতে পারেন।এটি তেও কাজের ডিমান্ড ভালো।
৪. ডিজিটাল মার্কেটিং : ইনকাম করার জন্য অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোনো তুলনা নেই।তাই এটিকে আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয় হিসেবে বেছে নিতে পারেন।
৫. এডিটিং : অনেক বড় বড় কোম্পানি এডিটিং এর জন্য ফ্রিল্যান্সার এর খোঁজ করে।তাই আপনি এডিটিং দক্ষ হন তাহলে আপনি ভালো ইনকাম করতে পারেন।
তাহলে আসা করি বুঝে গেছেন যে কিভাবে মাত্র কয়েকদিন আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা শুরু কর দিতে পারেন।চাকরি অপেক্ষা ফ্রিল্যান্সিং করে দ্বিগুণ আয় সম্ভব তবে আপনার দক্ষ হতে হবে অবশ্যই।