পূর্ব প্রকাশের পরঃ
১ম পর্ব পড়তে ক্লীক করুন এখানে –
২য় পর্ব পড়তে ক্লীক করুন এখানে –
শেষ পর্বঃ
প্রথম পর্যায়ে Choose Issuing Country/Region এ বাংলাদেশ সিলেক্ট করুন। অতঃপর আপনি যে ডকুমেন্ট আপলোড করতে চান (পাসপোর্ট, ন্যাশনাল আইডি কার্ড, এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স) সেটা সিলেক্ট করুন। (অনুগ্রহ করে Skrill মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন করুন এতে আপনার ভেরিফিকেশন প্রসেস সহজ হবে)
এরপর আইডি কার্ডটি হাতে ধরে প্রথম পেজ বা ফ্রন্ট পর্ট এর এর ছবি দিতে Start এ ক্লিক করুন। এরপর ঠিক একইভাবে ব্যাকপার্ট বা পিছনের সাইট এর ছবি দিতে Start এ ক্লিক করুন।
এখন এই পর্যায়ে আপনার নিজের ছবি বা যার নামে অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছেন তার ছবি আপলোড করতে হবে। এই প্রসেসটি লাইভ ক্যামেরার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। অনুগ্রহ করে Continue বাটনে ক্লিক করুন এবং আপনার ছবিটি আপলোড করুন।
আইডি ভেরিফিকেশন এর প্রথম ধাপ যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অনুগ্রহ করে আবার Continue বাটনে ক্লিক করুন।
দ্বিতীয় ধাপে আপনাকে বিদ্যুৎ বিল, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, বা স্কুল এনরোলমেন্ট এর ছবি তুলে লোকেশন ভেরিফিকেশন করতে হবে। আপনি চাইলে Geo-location ভেরিফিকেশন এর মাধ্যমে ও এটা করতে পারেন। কিন্তু আমাদের দেশে Geo-location কাজ করে না। তাই আপনার নিকট যদি ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা বিদ্যুৎ বিল বা স্কুল এনরলমেন্ট এর অরিজিনাল কপি থাকে তাহলে খুব সহজেই লোকেশন ভেরিফিকেশন করতে পারবেন। এর জন্য Upload Address Document এ ক্লিক করুন এবং আপনার ডকুমেন্টের ছবি তুলে প্রদান করুন।
তবে আপনার নিকট যদি এর কোনোটিই না থাকে তবে চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনি গুগল থেকে একটি স্কুল বা কলেজ প্রত্যায়নপত্র এর ছবি ডাউনলোড করে নিয়ে সেটা এডিট করে যে নামে অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছেন সেই নাম এবং যেকোনো একটি রোল নাম্বার দিয়ে, অতঃপর সেটি নিজেই সিগনেচার করে তার ছবি তুলে Address Verification করতে পারেন।
উল্লেখ্য, Skrill অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন বিষয়ে – আমার খুবই মজার একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করি আপনাদের সাথে আমার নিজের একাউন্ট ভেরিফিকেশন এর জন্য পরপর তিনবার অরজিনাল বিদ্যুৎ বিল দেয়া সত্বেও আমার একাউন্ট এর Location Verification হচ্ছিল না। অতঃপর আমি গুগোল থেকে একটি স্যাম্পল প্রত্যয়ন পত্র এর ইমেজ ডাউনলোড করে অতঃপর সেটি এডিট করে নিজের নাম এবং একটি রোল নাম্বার দিয়ে নিজেই সেটা সত্যায়িত করে নিয়ে আপলোড করেছিলাম এবং সাথে সাথেই আমার লোকেশন ভেরিফিকেশন হয়ে গিয়েছিল।
তবে মনে রাখবেন ভেরিফিকেশনের জন্য কোন ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড করবেন না এতে ভেরিফিকেশন হবার সম্ভাবনা কম। সব সময় মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে তারপর ডকুমেন্টগুলো আপলোড করার চেষ্টা করবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এখন ভেরিফিকেশনের জন্য সর্বোচ্চ 48 ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর আগেই হয়ে যায়। আপনি যদি পাসপোর্ট সাবমিট করেন তাহলে ভেরিফিকেশন প্রসেস আরো দ্রুত হয়ে থাকে। কিন্তু যেহেতু আমাদের সবার নিকট পাসপোর্ট Available নয় তাই একটু সময় নিয়ে ন্যাশনাল আইডি কার্ড দিয়েই একাউন্ট ভেরিফিকেশন করা যাবে।
Skrill Account verification এর Step by step Tutorial এর জন্য তাদের Official site পেজ ভিজিট করতে পারেন। “Skrill Verification Official Site.”
উপরোক্ত নির্দেশনা মতো স্টেপ বাই স্টেপ ফলো করলে ইনশাল্লাহ খুব সহজেই আপনার অ্যাকাউন্ট ১০০% ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে। এবং আপনার একাউন্টে কোন প্রকার ট্রানজেকশন লিমিট থাকবে না। অর্থাৎ আনলিমিটেড ট্রানজেকশন করতে পারবেন। বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ বযাংক থেকেই স্ক্রীলের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা যায়। কারন বর্তমানে প্রায় সব ব্যাংকই অনলাইন ব্যাংকিং এর আওতাভুক্ত। এছাড়া আপনি চাইলে আপনার ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন। সকলেই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। আল্লাহ্ হাফেজ।