- 🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹
“আমাজন জঙ্গল” ব্রাজিল অন্যতম একটা প্রধান জঙ্গলের নাম। জঙ্গল তো নয় যেন ভয়ঙ্কর নরক। যেখানে যে মানুষ যাবে সে নিজের সম্পূর্ণ দেহ নিয়ে ফিরার সম্ভাবনা ০.১%। সেই কঠিন জঙ্গলে এক সোনার শহরের খোঁজ পেলেন ইতালির ২বাপ-মেয়ে।
মেয়ে এনা ও বাবা মার্কো।
মার্কো সেই উদ্দ্যেশ্যে একবার রওয়ানাও দিছিলেন সেই সোনার শহরের খোঁজে। কিন্তু জঙ্গলে এক পর্যায়ে সে ভয়ংকর জীব-জন্তুদের খপ্পরে পড়ে। এক অন্যরকম কিছু মানুষদের সহযোগিতায় সে ফিরে আসে।
সেই হতাশায় মার্কোর ভিতরটা জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছিলো। যার ফলে তার অন্যতম সঙ্গি হলো মদ।
বাবার এই কঠিন দূর্দশা দেখে মেয়ে এনা ভারতের এক সাহসী মানুষের শরণাপন্ন হন। যার নাম শংকর। গ্রামের একজন অন্যতম মহাপুরুষ। একটা স্কুলের মাষ্টার।
এনার অনেক অনুরোধে সে আবারও আমাজন অভিযানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মার্কো প্রথমে ওকে দেখে সন্তুষ্ট হতে পারলেন না৷ পরবর্তীতে ওর ব্যবহার দেখে ওর সাথে যেতে রাজি হয়।
অভিযানে নেমে গেলেন মার্কো, এনা ও শংকর। হাজারও কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন ওরা। সোনার শহরের কাছাকাছি আসতে ভয়ঙ্কর এক সাপের কামড়ে ওরা হারায় তাদের প্রধান অভিযান সঙ্গি মার্কোকে। তবুও এনা ও শংকর হতাশ হলেন না।
তারা তাদের লক্ষ্যের পথে অটল ছিলো।
এক পর্যায়ে তাঁরা হতাশ হয়ে গেলো।
তারা যখন হতাশ হয়ে পড়লো, তাঁদের চেষ্টা যখন শেষ ঠিক সেই মূহর্তে তাঁরা সন্ধান পেলো সেই সোনার শহরের।
মুভিটা না দেখলে মুভির আসল সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন না।
এই মুভিতে আমাদের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে কীভাবে হাজারো বিপদ-আপদে নিজেকে লক্ষ্যের উপর অটল রাখতে হয়। কীভাবে নিজের লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করতে হয়।
সবচেয়ে বড় কথা হলো, এই মুভিতে আমাদের সাহসী মানুষ হওয়ার শিক্ষা দেওয়া হয়।
মুভিটা বাংলা হলেও বেশিরভাগ ডাইলগ ইংলিশ যেহেতু এনা ও মার্কো ছিলেন ইতালি।
মুভিতে অভিনয় করেছেন ঃ
দেব (শংকর)
এননা ফ্লোরিয়ান (svetlana Golakowa)
মার্কো ফ্লোরিয়ান (Devid james)
লাবণ্য সরকার (শংকরের মা)