আসসালামু আলাইকুম
বন্ধুরা, আজকে আবারও আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন এমন কিছু টেকনিক নিয়ে যা চর্চা করলে সবার নজর শুধু আপনার দিকে থাকবে। আশা করছি নিয়মিত প্রদত্ত টেকনিকগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে দিকে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাবেন।
মনে হয়, টেকনিকগুলো চর্চা করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছেন বা ক্লান্তিবোধ করছেন! না আপনাদের ক্লান্তি হোক এমন একগুয়েমি আলোচনা করবনা; আজকে একই ধারার আলোচনা করব কিন্তু একটু ভিন্নতার আদলে। অনর্গল পরিশ্রম করার ক্ষমতা এই মানবদেহের নেই। তাই কাজ করার মাঝে কোন এক সময়ে তাকে বিশ্রামের ছায়ায় ঠাই নিতে হয়। নয়ত, খুব দ্রুতই রোগের কবলে ঢলে পড়ার দ্বার উন্মোচিত হয়।
১) সুস্থ ও আকর্ষণীয় দেহ কাঠামো
প্রবাদ আছে- স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আচ্ছা ধরুন, আপনার খুব ইচ্ছা আছে ঢাকা থেকে দিনাজপুর যাবেন কান্তজিউ মন্দির, নয়াবাদ মসজিদ দেখতে যাবেন। কিন্তু আপনি দু’দিন ধরে জ্বর-সর্দি/ মাথাব্যথায় ভুগছেন তাই আপনি মটরযোগে বা ট্রেনে করে এতদূরের পথ পাড়ি দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন।- এই যে দেখলেন শারীরিক অক্ষমতা আপনার তীব্র ইচ্ছাশক্তিকেও পরাজিত করল। তাই স্মার্ট হওয়ার ক্ষেত্রে সুস্থ দেহের প্রয়োজনীয়তা আপনাদের সহজেই বোধগম্য হওয়ার কথা।
সুস্থ, সুঠাম দেহ মানুষকে বেশি আকর্ষিত করে। শারীরিক উচ্চতা, অঙ্গভঙ্গি, কাজ করার সামর্থ্য আপনাকে করে তুলবে অন্যতম।
২) ধৈর্য্যশীল হতে হবে।
স্মার্ট মানুষরা কখনোই চট করে রেগে যায় না। তারা যেকোন বিষয় শান্তভাবে খুব গভীরভাবে চিন্তা করেন। কোন কিছুর বিপত্তি দেখে হঠাৎ রেগে অগ্নিশর্মা হন না। প্রবাদ আছে- রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। রাগী মানুষদের সাথে সহসা কেউ মিশতে চায় না, তার সাথে কথা বলতে গেলেও ভীত থাকে কোনো কথায় রাগ করে কিনা। সারাক্ষণ একটা সংশয়ের মধ্যে থাকতে হয়। আর কারো সাথে কিছু আলোচনা করতে গেলে যদি এহেন ভীতসন্ত্রস্ত থাকতে হয় তাহলে কেউ আপনার সাথে মুক্তমনে আলাপ করা তো দূরের কথা আপনার কাছে ঘেসতেই চাইবে না। সুতরাং রাগ করা যাবে না। এ বিষয়ে মহাগ্রন্থ আল- কোরআনেও বলা হয়েছে- ‘তোমরা রাগকে গিলে ফেলো’।
-বিভিন্ন কল সেন্টার, রিসিপশনিস্ট, কাস্টমার কেয়ার অফিসারদের দিকে তাকালে রাগ না করার বিষয়টা আরো পরিস্কার হওয়া সহজ হবে। তারা যদি গ্রাহকের কথায় রেগে যেতেন তাহলে তাদের প্রতিষ্ঠানে কি আপনি/ আমি কি যেতাম? অনেক সময় কল সেন্টারে কল করে অনেকে অফিসারদের সাথে রূঢ় আচরণ করে কিন্তু তারা বিরক্তবোধ টুকুনও করেন না।
৩) সময় সচেতন হোন:
‘সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দেশ ফোঁড়।’ আপনি স্মার্ট ব্যক্তি হিসেবে সময় জ্ঞান থাকা আপনার জন্য অপরিহার্য। সময়ের কাজ সময়ে করতে পারা এক ধরণের দক্ষতার শামিল। সবাই কিন্তু সময়ানুবর্তি হতে পারে না। আধুনিক এ যুগে যে যত বেশি সময় সচেতন ও সময়ের মূল্য দিবে সে ততই উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে। আমরা সকলেই জানি, বর্তমানে এসে, কোন কাজে যোগদানের মাত্র মিনিট কতক দেরি করলেই বিরাট ঘাটতির মধ্যে পড়তে হয়। সে স্মার্ট হওয়ার পাদদেশে অবস্থান করেও সময়ানুবর্তি না হলে স্মার্ট তো দূরের কথা সক্রিয় হওয়াই মুশকিল। স্মার্ট মানুষরা সময়ের কাজ সময়ে করে, কোন কারণে সময়ের হেরফের হলে পরবর্তীতে একটু একটু করে অতিরিক্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ঘাটতি পুশিয়ে নেন।
সর্বোপরি, মদ্যাকথা এই যে, কেউ জন্মগতভাবে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যর হয় না। স্মার্ট হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধ্যান করতে হয়, পরিশ্রম করে সৎ গুণ গুলোকে রপ্ত করতে হয় ও তা বাস্তবে রূপদান করতে হয়।
বন্ধুরা, আজ এ পর্যন্তই,দেখা হবে নতুন কোন পর্বে বা আলোচনায়। ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আর আমার জন্য দোয়া করুন, যেন ভালো ভালো লেখা আপনাদের উপহার দিতে পারি।
#ভালবাসা নিরন্তর