বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।আজকাল প্রায় বেশির ভাগ মানুষ কোমর ব্যথা নিয়ে ভুগছেন।এটা বিভিন্ন কারনে হতে পারে।আমরা হেলা করে থাকি।আমরা অনেকে যত্ন নেয়ার চেষ্টা করি তবে সঠিক পদ্ধতিতে না করার জন্য আবার অনেকে নানা ব্যসথতার কারণে যত্ন নিতে পারে না। এতে ব্যথা আরও বেড়ে যায়।আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন পাশাপাশি সতর্ক হতে পারেন এটার প্রতিরোধে যেমন ব্যায়াম জরুরি তেমনি সতর্কতা ও কাজে আসে।
কোমরে ব্যাথা প্রতিরোধে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা অতি প্রয়োজন।চলুন জেনে নি সতর্কতাগুলো কি কিঃ-
১)ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আর স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন।
২)কাটা-কোটি, ঘর মোছা,মসলা পেষা, নলকূপ চাপার সময় মেরুদণ্ড সোজা রাখা।
৩)নিচের থেকে অথবা মাটির থেকে কিছু নিতে হলে আগে হাঁটু ভাজ করে বসবেন তারপর তুলবেন।
৪)৩০ মিনিট এর বেশি একটানা বসে বা দাঁড়িয়ে থাকা উচিৎ না।অনেক সময় একনাগাড়ে হাটঁতে হলে কিছুক্ষণ পরপর শরীরের ভর এক পা থেকে অন্য পায়ে নিন।এরপর একটু বসে আরাম করুন।
৫)দীর্ঘসময় হাটতে হলে উঁচু হিল পরবেন না।
৬)হাঁটু না ভেঙে সামনের দিকে ঝুকবেন না।
৭)উপুড় হয়ে শোবেন না।ফোম বা সিপ্রংএর গদিযুক্ত বিছানা ত্যাগ করুন।বিছানা শক্ত ও চওড়া হলে এবং তোশক পাতলা ও সমান হলে বেশি ভালো হয়।
৮)নিয়মিত বেয়াম করুন এবং হাঁটার অভ্যাস করুন।
৯)ঘাড়ে ভারী কিছু উঠাবেন না।পিঠে ভারী কিছু বহন করতে হলে একটু সামনে ঝুঁকে বহন করতে হবে।
১০)যারা কোমরের ব্যথায় ভুগছেন তারা বিছানা থেকে উঠতে সতর্কতা অবলম্বন করবেন। চিত হয়ে শোয়ে প্রথমে হাটু ভাজ করবেন এরপর ধীরে ধীরে এক পাশ থেকে অন্য পাশে কাত হবেন।পা দুইটা বিছানা থেকে ঝুলিয়ে দিবেন।কাত হওয়ার দিকে কনুই ও অপর হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে ধীরে ধীরে উঠে বসবেন।
১১)গাড়ি চালানোর সময় স্টিয়ারিং হুইল থেকে দূরে সরে না বসে সোজা হয়ে বসতে হবে।
১২)এছাড়া আপনার কোমরের ব্যথা বেশি হলে ফার্মাকোথেরাপি,ফিজিওথেরাপি, সার্জারি বা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিতে পারেন। এতে আপনার কোমরের ব্যথা একেবারে সেরে যাতে পারে।
আজকের আর লিখছি না।আমি যতটুকু জানি আপনাদের কে জানালাম। ভুল হলে ক্ষমা করবেন আর ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আল্লাহ হাফেজ।