সৈয়দ রাসেল। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একজন দাপুটে পেস বোলার। বাংলাদেশের অনেক জয়ের পেছনে তার বিশেষ অবদান রয়েছে। পুরনো বা নতুন বলে দারুণ ভাবে সুইং তুলতে পারতেন তিনি। 2007 সালে প্রথম কাঁধের ইনজুরিতে আক্রান্ত হন তিনি।
চিকিৎসকের পরামর্শ না নেওয়ায় তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে থাকে। এরপর তিনি জাতীয় দলে সুযোগ না পেলেও ঘরোয়া লিগে খেলতে থাকেন কাঁধের ব্যাথা নিয়ে। মাঝের সময় বিসিবির সহায়তায় তিনি তার কাঁধের চিকিৎসা ভারতে করালেও তার চিকিৎসা সফল হয়নি। আর সে কারণেই 2015 সালের সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি। 2015 সালে একটি ঘরোয়া ক্রিকেট টেস্ট খেলার সময় তিনি ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে খেলা শেষ করতে পারেননি। মাঝে অবশ্য তিনি বিসিবির দিকে তার চিকিৎসার খরচ চালানোর জন্য তাকিয়ে থাকলে বিসিবি তা নাকচ করে দেয়। কিছুদিন যাবত শোনা যাচ্ছে যে তিনি কাপড়ের ব্যবসা করছেন। ইনজুরি হয়ে মাঠ ছাড়ার পরেও তিনি তার সতীত্ব কিনবা বিসিবির কাছে এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। আজকে তাসকিন, মুস্তাফিজ এবং অন্যরা যেভাবে সফলতা অর্জন করেছে সেই সফলতার ভিত গড়ে তুলেছিলেন সৈয়দ রাসেল। তার সমসাময়িক ক্রিকেটার যেমন মাশরাফি, তামিম, মুশফিক সাকিব, মাহমুদুল্লাহর আজ দেশ সেরা ক্রিকেটার। অথচ এমন প্রতিভাবান ক্রিকেটার টাকার অভাবে তার চিকিৎসা পর্যন্ত করতে পারছেন না। যেখানে সাকিব-তামিম এর মত ক্রিকেটাররা টাকার জোয়ারে তাদেরকে ভাসিয়েছেন, সেখানে সৈয়দ রাসেলের মত ক্রিকেটার কেবলমাত্র টাকার অভাবে জাতীয় দলে ফেরার কোনো সুযোগ খুঁজে পাচ্ছে না। কেবলমাত্র টাকার অভাবে যদি সৈয়দ রাসেল মাঠের ক্রিকেটের না ফিরতে পারেন তাহলে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছুই হতে পারে না।
একটা সফল অপারেশন এ কেবল পারে সৈয়দ রাসেলকে মাঠে ফেরাতে। এর জন্য বিসিবির দৃষ্টি আকর্ষণ করা অত্যাবশ্যক।
বিসিবিকে এই বিষয়ে এগিয়ে আসতে।
হবে যদি বিসিবির না এগিয়ে আসে তাহলে মাশরাফি মাহমুদুল্লাহ দের মত ক্রিকেটারদের এগিয়ে আসতে হবে। আর যদি তা না হয় তবে তাদের সময়কার কেউ যদি চিকিৎসার অভাবে মাঠে ফিরতে না পারে তাহলে তারচে লজ্জাস্কর ব্যাপার আর কিছু হয়না। প্রশ্ন থাকতে পারে সৈয়দ রাসেল বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার পরেও টাকাপয়সা করাতে পারেননি কেন? এর উত্তর হলো তিনি কেবল বাংলাদেশ ক্রিকেট কাউন্সিল এর বেতন ভাতা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেন। এছাড়াও বিভিন্ন ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সময় তার ত্রুটিজনিত কারণে তিনি কম বেতনে সন্তুষ্ট থাকতেন।
আজকের মুস্তাফিজ যখন বিদেশি ক্রিকেট লিগে খেলার পরেও ইনজুরি হন তখন তার চিকিৎসার ভার বহন করার জন্য বিসিবি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায়। আর এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ঘরের ক্রিকেটে ইনজুরিতে পড়ার পরেও সৈয়দ রাসেলের কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না এটা অস্বাভাবিক।
আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকার জন্য আপনার আমন্ত্রণ রইল।
আর আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অন্য আর্টিকেলগুলো পড়ার জন্য আমন্ত্রণ রইল।
ধন্যবাদ…