নার বচন বলতে বুঝায় মূলত কৃষিতত্ত্বভিত্তিক ছড়া। খনার বচন প্রচলিত হয় মূলত
আনুমানিক ৮ম থেকে ১২শ শতাব্দীর মধ্যে। এই খনার বচন নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে।
অনেকের ধারনা, খনা ছিল নাম্নী জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী এক বিদুষী বাঙালি নারী।
আবার ধারণা করা হয়, খনার আদিনিবাস ছিল অধুনা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার বারাসত সদর মহকুমার দেউলিয়া গ্রামে।
তৎকালীন”কৃষিকাজের প্রথা ও কুসংস্কার, কৃষিকাজ ফলিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান, আবহাওয়া জ্ঞান, শস্যের যত্ন সম্পর্কিত উপদেশ” এই গুলো খনার রচনার শ্রেণি। যা এখনও বেশ প্রচলিত আছে।
উদাহরণ : সময়ে না দেয় চাষ,তার দুঃখ ১২ মাস।
খনার বচন নিয়ে ১০টি বাক্য-
- খনার বচনের রচনাকাল সম্ভবত সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত দ্বিতীয় বিক্রমাদিত্যের রাজত্বকালে।
- খনার বচন ৪ ভাগে বিভক্ত- (১) কৃষিকাজের প্রথা ও কুসংস্কার , (২) আবহাওয়া জ্ঞান , (৩) কৃষিকাজ ফলিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান , (৪) শস্যের যত্ন সম্পর্কিত উপদেশ।
- খনা নানা রকম প্রকৃতিক দুর্যোগের আন্দাজ করে ফসল রক্ষার জন্য অনেক বচন দিয়েছেন।
4. বাংলাদেশের জলবায়ু নির্ভর কৃষিতত্ত্ব বিষয়ে উপদেশমূলক খনার ছড়াগুলো অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত সময়ে রচিত বলে ধারণা করা হয়।
5. আবহমান কাল ধরে বাংলার কৃষিক্ষেত্র ও কৃষকদের এক প্রকৃত দিকনির্দেশক হয়ে খনা পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন তার কালজয়ী বচনের মধ্য দিয়ে।
6. প্রাচীন ভারতের প্রখ্যাত নারী জ্যোতিষী হলেন খনা।
7. .বাংলা, ওড়িয়া ও অসমিয়া ভাষায় খনার বচনের খ্যাতি দেখা যায়।
8. পল্লিসাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান খনার বচন।
9. খনার বচনের উদাহরণ হলো : সময়ে না দেয় চাষ,তার দুঃখ ১২ মাস।
10. খনার আসল নাম ছিল লীলাবতী এবং তার জিহ্বাকর্তনের ফলে তিনি বোবা হয়ে যান এবং সেসময় থেকে ‘খনা’ নামের আরেক অর্থ বোবা