সহজে বহন যোগ্য বলে ডেক্সটপের চেয়ে ল্যাপটপের জনপ্রিয়তা একটু বেশিই। ল্যাপটপ সাধারণত হালকা কাজের জন্যই বেশি ব্যবহৃত। একেকজন একেক ধরনের কাজে ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকে। এ কারণে বাজারে বিভিন্ন রকমের ল্যাপটপের ভিড়ে আপনার প্রয়োজন মতো ল্যাপটপ কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে।
যেমন ধরুন আপনি যদি ল্যাপটপে হাই কোয়ালিটি সম্পন্ন গেম খেলতে চান তাহলে তাদের আপনাকে অবশ্যই হাই-এন্ড ল্যাপটপ কিনতে হবে। কিংবা আপনি যদি অফিসে ব্যবহারের জন্য ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে কি ধরনের কাজ করবেন সে অনুযায়ী আপনাকে ল্যাপটপ কিনতে হবে। তবে আজকে আমরা জানবো যে, গেমিং ল্যাপটপ কিনতে হলে কি কি বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে সে বিষয়ে। তো চলুন একে একে বিষয়গুলো জেনে নেয়া যাক।
আপনি ল্যাপটপ কিনুন কিংবা ডেক্সটপ আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ের উপর লক্ষ্য রেখে তবেই তা কিনতে হবে। তা না হলে আপনার ক্রয়কৃত ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ আপনাকে আপনার চাহিদা অনুযায়ী পারফর্মেন্স দিতে সক্ষম হবে না।
প্রসেসরঃ প্রথমেই কথা বলা যাক প্রসেসর নিয়ে। আমরা কম্পিউটারের প্রাণ বলতে এই প্রসেসরকেই বুঝে থাকি। দুর্বল মানের প্রসেসর আপনাকে কখনোই ভালো গেইমিং অভিজ্ঞতা দিতে পারবে না। এজন্য গেমিং ল্যাপটপ ক্রয়ের পূর্বে আপনাকে অবশ্যই প্রসেসরের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। গেমিং ল্যাপটপের ক্ষেত্রে আপনার ল্যাপটপের প্রসেসর কমপক্ষে কোর আই-৫ হতে হবে। আপনি যদি গেমিং ল্যাপটপ কিনতে চান তবে সর্বশেষ জেনারেশনের ভালো গতির দেখেই ল্যাপটপ ক্রয় করুন।
গ্রাফিক্সঃ যেহেতু আপনি গেমিং ল্যাপটপ কিনবেন সেজন্য আপনাকে ভালো জিপিউ অর্থাৎ গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট দেখে তারপর ক্রয় করতে হবে। এটি সাধারণ ইউজের জন্য যেসব ল্যাপটপ রয়েছে সেগুলোর জন্য ততটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও গেইমিং ল্যাপটপের এর ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব আবশ্যিক।
র্যামঃ ল্যাপটপ হোক কিংবা ডেক্সটপ কম্পিউটারের গতি অনেকাংশেই নির্ভর করে র্যামের উপর। সাধারণ ইউজের ক্ষেত্রে ৪ গিগাবাইট র্যামেই হয়ে যায়। কিন্তু গেইমিং ল্যাপটপের জন্য আপনার কমপক্ষে ৮ গিগাবাইট র্যাম নিতে হবে। এছাড়াও আপনি চাইলে ১৬ জিবি অথবা ৩২ জিবি র্যামের ল্যাপটপও নিতে পারেন। এতে করে পারফর্মেন্স আরো বেটার পাবেন।
ব্যাটারিঃ এবার কথা বলা যাক ব্যাটারি নিয়ে। ব্যাটারি নিয়ে আসলে তেমন একটা কিছু বলবো না। কারণ আপনি ল্যাপটপের ব্যাটারি ব্যবহার করে গেম খেললে খুব একটা ব্যাকআপ পাবেন না। এজন্য গেম খেলার সময় চার্জার লাগিয়ে গেম খেলুন।
উপরে উল্লেখিত বিষয় বাদেও আরো বেশ কিছু বিষয় রয়েছে। যা নিয়ে পরবর্তীতে আমরা জানার চেষ্টা করবো। তো বন্ধুরা আশা করি বিষয়গুলো আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি কেমন লাগলো তা কমেন্টে জানিয়ে দিন। ধন্যবাদ।