আজকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা অার্টিকেল লিখতে যাচ্ছি।আমি মনে করি এই আর্টিকেলটি পড়া সবারই জরুরী। আর করোনা মৌসুম বলেই এই আর্টিকেলটি গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। তাই চেষ্টা করুন সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।তো চলুন শুরু করা যাক আজকের আর্টিকেল।
আসলে এই করোনার মৌসমে আমরা স্বাভাবিক জ্বর হলেই ভয় পাচ্ছি, কারণ এই জ্বর ই জানান দেয় যে,আপনাকেও করোনা ভইরাস গ্রাস করেছে,মহামারীর শিকার আপনিও।তবে জ্বর হলেও যে ভাইরাস ১০০% হবে এটা বলা যাচ্ছে না। তবে এখন করোনা ভাইরাসের নতুন জিন দ্বারা যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের কারোরই কোন রকম উপসর্গ দেখা দিচ্ছে না,বোঝাই যাবে না যে তারাও মহামারী তে আক্রান্ত।আর তারাই সবচেয়ে বিপদজনক। এখানে অবশ্য আমি বিপদজনক বলতে আমি বুঝিয়েছি যে সেই লোকটি অন্যদের জন্য বিপদজনক। কারণ তিনি নিজের অজান্তে তো ভাইরাস নিয়ে ঘুরছেই তারপর উপর আবার অন্যদের ও আক্রান্ত করছেন।এর ফলে ইদানীং রোগীর সংখ্যা বেশ বৃদ্ধি পাচ্ছে । এখন অনেকেরই জ্বর আসছে আর পরেরদিনই একদম সুস্থ অথচ টেস্ট করালে রিপোর্টে আসবে Positive.!
যাহোক,জ্বর আসলেই যে কেবল তা করোনা ভাইরাসের জন্য,তা কিন্তু নয়, সিজন বা ঋতু পরিবর্তনের জন্যও কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই হালকা থেকে শুরু করে অত্যাধিক জ্বর,ঠান্ডা লাগা হতেই পারে।তাই এতো ভয় পাবারও কোন কারণ নেই।
জ্বর নেই, কাশি নেই,গলাব্যাথা নেই কিন্তু শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যাথা সারা শরীর দুর্বল। তা বলে ভয পাবার কিছু নেই। কারণ শ্বাসকষ্ট যে করোনাভাইরাস বা সর্দি লাগা ছাড়াও যে হতে পারে সেটাই এখন জানতে পারবেন।
গ্যাস্ট্রিক বা আলসার রোগ সম্পর্কে হয়তো আমরা সবাই জানি।এমনকি এই রোগগুলো তো অনেকের নিত্যদিনের সঙ্গী। তবে আমাদের সকলরেই ধারণা যে কেবল বুকে ব্যাথা,জ্বালাপোড়া, টক ভাক এগুলোই বুঝি গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ।আসলে শুধু এ লক্ষণ গুলো ছাড়াও আরও অনেক লক্ষণ রয়েছে যেমনঃ
-আপনি দুর্বলও অবসাদগ্রস্ত অনুভব করবেন। অনেকেরই গ্যাস্ট্রিক হলে বুক ব্যাথা হয় না বরং তাদের দ্বারা দুর্বলতা,অবসাদ অনুভূত হয়। অর্থাৎ শারীরিক দুর্বলতাও বলা যেতে পারে গিয়ে গ্যাস্ট্রিকের একটি লক্ষণ।
-অনেক হেঁচকি অাসবে
-বমি বমি ভাব হয়,আবার স্বাভাবিকভাবেই বমি আসে।
-বদহজম হয়,এতে পাতলা পায়খানা হতে পারে
-শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে,অর্থাৎ শ্বাসকষ্টের মতো হবে
আবার আমার তো একদিন জ্বর ও এসে গিয়েছিলো এই গ্যাস্ট্রিকের জন্য।আর এই কোয়ারান্টাইন সময়ে যেহেতু বাইরে হাঁটা হয়না, তাই ঘরে থাকায় অবশ্যই গ্যাস্ট্রিক হতে পারে এমন ধরণের সব খাবার এড়িয়ে চলুন। আর গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা হলে ENO খাওয়াই সবচেয়ে উত্তম।দিনে ২ গ্লাস ENO খেলেই যথেষ্ট।আর ভাজাপোড়া যথাসম্ভব এড়িয়ে যাওয়া ভালো,যদিও বাইরে যাওয়াটা নিরাপদ নয়,তাই চেষ্টা করুন ঘরে বসে খাওয়ার ৫ মিনিট পড় বজ্রাসন করতে,এতে হজমশক্তি বেশ ভালো হবে।
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন । কোথাও ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করে দেবেন। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ।