সারাদিন আমরা হাজারটা কাজ করে থাকি। কেউ অফিসের কাজ করে, কেউ সারাদিন স্কুল,কলেজ অথবা বিশ্ব-বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফেরে; এর পরবর্তীতে একজন মানুষের খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি সব থেকে বেশি প্রয়োজন ঘুম। কিন্তু আমরা সবাই কি রাতে সহজে ঘুমাতে পারি? উত্তর না!
এর পিছনে কারন কি? আমাদের অনেকের রাতে ঘুম না আসার প্রধান কারন হলো stress অথবা দুশ্চিন্তা। প্রধানত আমাদের দুশ্চিন্তা হয় অনেক কারনে, এদের মধ্যে কিছু কারন সমূহ হলো:
১/ কাজের চাপ
২/ পড়াশোনার চাপ
৩/ ভবিষ্যতের চিন্তা
৪/ পারিবারিক অশান্তি
৫/ সম্পর্কে ফাটল
এছাড়াও অনেক কারনে আমাদের দুশ্চিন্তা হয়ে থাকে বিশেষ করে রাতের বেলা আমাদের সারাদিনের চিন্তা মাথায় চলে আসে যার কারনে আমরা রাতের বেলা ঘুমাতে পারি না। কিন্তু এক্ষেত্রে করনীয় কি হতে পারে,ঘুমে যাওয়ার জন্য আমাদের যেসব করনীয় তা নিচে বিস্তারিত উল্লেখ্য করা হলঃ
১/ বিছানাতে একদম সোজা হয়ে শুয়ে পরতে হবে অর্থাৎ কোনো চেয়ার বা সোফাটে বসে ঘুমানোর চেষ্টা করা যাবে না।
২/ শরীরের সমস্ত পেশী শিথিল করতে হবে। (হাত মুষ্টিবদ্ধ করা যাবে না, হাত পা আরামদায়ক করে রাখতে হবে)
৩/ বিছানাতে শুয়ে পরার পর সবার আগে মুখের পেশীকে শিথিল করতে হবে, কপালে কোনো ধরনের চিন্তার ছাপ আনা যাবে না, সারাদিনের সব চিন্তা ভুলে যেতে হবে ১০ সেকেন্ডের জন্য এবং ভাবতে হবে যেন আপনি কোনো সুন্দর বাগানে শুয়ে আছেন, তাহলে ঘুম দ্রুত আসার সম্ভাবনা থাকে।
৪/ সারাদিনে অনেক ব্যাক্তি রয়েছেন যারা অনেক চা অথবা কফি খেতে পছন্দ করেন, চা-কফির পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে কারন চা-কফি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, ঘুম আসা থেকে শরীরকে বিরত রাখতে এ পানিও সাহায্য করে, তাই যতটা সম্ভব এ পানিও বর্জন করতে হবে।
৫/ সবসময় একটি নির্দিষ্ট সময় ঘুমানোর চেষ্টা করা, আমরা অনেকে আছি যারা ঠিকমত ঘুমাইনা অনেকে অনেক রাত পর্যন্ত ফোনে কথা বলে, গেম খেলে অথবা অন্যান্য কাজ করে, আবার অনেকে আছে যারা রাত জেগে কাজ করে যার কারনে অনেকে রাতে সময়মত ঘুমায় না অনেকে আছি যারা ভোরবেলা ঘুমতে যায় যেটা ঘুম না আসার প্রধান কারন বলা যায়, সুতরাং একটি নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে হবে।
উপরের এইসব টিপস গুলো অনুসরণ করলে দ্রুত ঘুমিয়ে যাওয়া সম্ভব, কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে এগুলো প্রযোজ্য নাও হতে পারে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা মানসিক ভাবে অসুস্থ, তারা মানসিক সমস্যাজনিত কারনে ঘুমাতে পারেনা এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী বেবস্থা নিতে হবে।