<আসসালামু আলাইকুম>
আজ আপনাদের কাছে স্বাস্থ্য নিয়ে কিছু কথা আলোচনা করতে চাই।
মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপনের মধ্যে অন্যান্য কাজের মতই ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ন। ডাক্তাদের মতে একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।অনেকে আছে টেলিভিশন দেখে গল্পগুজব করে দেরি করে ঘুমাতে যান। অনেকে মনে করেন কয়েক ঘন্টা ঘুমিয়েও তো দিনে ভালোভাবে কাজ করা যায়, তাহলে এতো ঘুমের কি দরকার? তবে অপর্যাপ্ত ঘুমের জন্য আমাদের বেশ কিছু সমস্যা হয়। এই সমস্যাগুলো কিন্তু এক বা দুই দিনের অপর্যাপ্ত ঘুমের জন্য খুব একটা বুঝা যায় না।তবে আপনি যদি রাতের পর অপর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমান তাহলে প্যারানোয়া,হ্যালুসিনেশন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ইন্দ্রিয় সমস্যা দেখা দিবে সবচেয়ে বড় কথা রাতের একটি ভালো ঘুমের দরকার তা বুঝানোর কিছু নাই।
আসুন জেনে নয়া যাক ভাল-
প্রচন্ড ক্ষীপ্ততাঃ
অপর্যাপ্ত ঘুমের কারনে আপনার বেশ একটা মানসিক পরিবর্তন দেখা দিবে। মনে হতে পারে ঘুমানো দরকার বা কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করবে না। কিম্তু যখনই কোনো কাজ আপনার মনের মতো হবে না তখন আপনি হঠাত করে অনেক শক্তি পেয়ে যাবেন এবং ক্ষিপ্ত হয়ে উঠবেন এটা মূলত অপর্যাপ্ত ঘুমের কারনে হয়। এই ক্ষিপ্ততা চরম পর্যায়ে পৌছে যেতে পারে আপনি নিয়মিত না ঘুমান।
মস্তিষ্কের কোষের মৃত্যুঃ
সারাদিনের ব্যস্ততার প্রভাব রাতের ঘুমের ক্ষেত্রেও আসতে পারে। বিছানায় শুয়ে শুয়ে অনেকে কাজের পরিকল্পনা করতে থাকেন যা আপনার মস্তিষ্ককে ধীরে ধীরে অকজো করে দেয়।
খাদ্যভাসঃ
অপর্যাপ্ত ঘুমের কারনে দিনের বেলায় তন্দ্রা আসতে পারে। এই তন্দ্রার উপর আমাদের এক প্রকার নিয়ন্তন থাকে। তখন এই তন্দ্রা এড়ানোর জন্য আমরা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করি। কেউ অনিয়মিত খাবার গ্রহন করে কেউ কেউ বেশি বেশি সিগারেট খেতে থাকেন যাতে করে ঘুমের তন্দ্রা না থাকে। মূলত এটি একটি বাজে খাদ্যাভাস তৈরি করে।
ঝুঁকিপূর্ন অনুভূতিঃ
অপর্যাপ্ত ঘুম কি মানুষের অনুভূতিকে প্রভাবিত করে? হ্যা, করে। এবং খুব খারাপ ভাবে আমাদের ঘুমকে প্রভাবিত করে। একটি গবেষনার মাধ্যমে এটি প্রমানিত যে, নিয়মিত অপর্যাপ্ত ঘুমের কারনে মানুষের অনুভূতির সংবেদনশীলতা কমে যায়।
দূর্ঘটনাঃ
অপর্যাপ্ত ঘুমের ফলে সকালে যখন গাড়ি বা বাইক চালিয়ে যান, তখন ঘুমের তন্দ্রা আসে এবং যা থেকে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। যা অনেক সময় আপনার মৃত্যুর কারনও হতে পারে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমান।
পরিকল্পনাহীনতাঃ
প্রায় ৩৬ ঘন্টা যদি আপনি না ঘুমিয়ে কাটান তাহলে আপনার মস্তিষ্ক কোনো কিছু পরিকল্পনা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবেন।
স্মৃতিশক্তির বিলুপ্তিঃ
অপর্যাপ্ত ঘুমের কারনে স্মৃতিশক্তির বিলুপ্তি ঘটে। খুব সহজেই বা অল্প সময়ে আপনি অনেক তথ্য ভুলে যেতে পারি।
মনোযোগ হারিয়ে ফেলাঃ
দীর্ঘদিন ধরে অপর্যাপ্ত ঘুমের কারনে আপনার যেসব মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে তার মধ্যে মনোযোগ হারিয়ে ফেলা অন্যতম। যার জন্য কাজের অনেক ক্ষতি হতে পারে।