আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি।
এসাইনমেন্ট পার্ট ২ এর ধারাবাহিকতায় আমি আজ ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়ে এসেছি চতুর্থ বিজ্ঞান এসাইন্টমেন্ট। আশা করি শিক্ষার্থীদের উপকার হবে।
(ক)বিদ্যুৎ পরিবাহী এবং অপরিবাহী পদার্থের নাম লিখ।
উত্তরঃ
বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থঃতামা,সস্তা,সোনা, লোহা, এলমুনিয়াম,টিন প্রভৃতি ইত্যাদি।
বিদ্যুৎ অপরিবাহী পদার্থঃকাঠ,রাবার,মাইকো,চিনামাটি ও কাচ প্রভৃতি।
(খ)বিদ্যুৎ পরিবহনে তামার তার ব্যবহারের কারণ কি?
উত্তরঃতামা বিদ্যুৎ সুপরিবাহি,দামে সস্তা,সহজলভ্য, সহজে কাটা যায় কিংবা জোড়া দেওয়া যায়।এলমুনিয়াম বিদ্যুৎ সুপরিবাহী।কিন্তু তাতে এলমুনিয়াম অক্সাইড তৈরি হয়। যা পরবর্তীতে বিদ্যুৎ পরিবহনে বাধা দেয়।রূপা ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী কিন্তু অনেক দামী।স্টিল অনেক শক্তিশালী কিন্তু ওর বিদ্যুৎ পরিবাহীতা কম।তাই সবদিক বিবেচনা করলে স্টিলের তারে তামার তার ব্যবহার করা সবচেয়ে সুবিধাজনক। এই কারণে বিদ্যুৎ পরিবহনে তামা ব্যবহার করা হয়।
(গ)উদ্দীপকে প্রথম চিত্রে মোম গলে পড়ার অবস্থা ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃউদ্দীপকের চিত্রে মোম গলে পড়ার অবস্থাটি তরল অবস্থা।এর পরবর্তী অবস্থা হলো কঠিন।নিম্নে তার কারণ ব্যাখ্যা করা হল।মোমের জলনে পদার্থের অবস্থা দেখা যায়।যেমনঃকঠিন,তরল,গ্যাসীয়। কঠিন অবস্থায় তাপে গলে মোম যখন পরিণত হয় তখন কিছু অংশ বাষ্পে পরিণত হয়।অর্থাৎ এ ধাপটিতে কঠিন অবস্থা বিরাজ করে।কোন বস্তু যতটুকু জায়গা দখল করে সেটি ওই বস্তুর আয়তন।সকল কঠিন বস্তু জায়গা দখল করে তাই সকল কঠিন বস্তুরই আকার আয়তন আছে।তবে কিছু কিছু কঠিন বস্তুর দৃঢ়তা কম।যেমনঃসরিষার দানা, ভাত, কলা প্রভৃতি।
(ঘ)উদ্দীপকের চিত্রদুটির গলনাংক ও স্ফুটনাংক কি একই?পাঠ্যপুস্তক এর আলোকে ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃচিত্রে পদার্থ দুইটির গলনাংক একই। পাঠ্যপুস্তকের আলোকে নিচে বিশ্লেষণ করা হলঃ
যে তাপমাত্রায় কোন পদার্থ কঠিন অবস্থা থেকে তরল অবস্থায় পরিণত হয় সেই তাপনাত্রাকে ওই পদার্থের গলনাংক বলে।আবার যে তাপমাত্রায় কোন তরল পদার্থ তরল থেকে জমতে জমতে কঠিন অবস্থায় পরিণর হয় তাকে ওই অবস্থার হিমাংক বলে।প্রায় সকল পদার্থের গলনাংক এবং হিমাংক সমান।প্রথম পদার্থ হলো মোম।কঠিন মোম ৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গলে গিয়ে কঠিনে পরিণত হয়।তাই মোমের গলনাংক ৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এই একই তাপমাত্রায় মোম গলতে শুরু করে কঠিন মোমে পরিণত হয়।আবার মোমের হিমাংকও ৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।আবার চিত্রের ২য় পদার্থটি হলো বরফ।বরফের গলনাংক হলো ০° সেলসিয়াস।হিমাংকও ০° সেলসিয়াস।যেহেতু আলাদা আলাদা দুটি পদার্থের গলনাংক এবং হিমাংক যথাক্রমে ০° এবং ৫৭° সেলসিয়াস।তাই বলা যায় পরিমাণগত ভাবেই পদার্থের গলনাংক এবং স্ফুটনাংক একই।
ধন্যবাদ সবাইকে।সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন
Topic Keyword: চতুর্থ সপ্তাহের ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট উত্তর পার্ট ২, চতুর্থ সপ্তাহের ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর পার্ট ২, চতুর্থ সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট উত্তর পার্ট ২, চতুর্থ সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্টউত্তর পার্ট ২