আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা,কেমন আছেন?আশাকরি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের জানাবো পেয়ারা ফলের পুষ্টি ও গুনাগুন সম্পর্কে।
দেখতে দেখতে বছর ঘুরে চলে এলো বর্ষাকাল।আর এই বর্ষাকালে বেশি হয় পেয়ারা এটি এমন একটি ফল যা ছোট থেকে বড় সবাই খেতে পছন্দ করেন। বর্ষাকালে পেয়ারা বেশি হয় যদিও পেয়ারার প্রজাতি উন্নত করণের ফলে সারা বছরই আমাদের দেশে এই ফলটি দেখা যায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-সি যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও এটি চাবানোর ফলে আমাদের দাঁতের দুর্গন্ধ দূর হয়। চলুন জেনে নেই পেয়ারার পুষ্টি ও গুনাগুন সম্পর্কে-
১/সংক্রমণের আশঙ্কা কমায়:পেয়ারাতে থাকা ভিটামিন-সি,অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট শরীরে থাকা ক্ষতিকর জীবাণু মারতে শুরু করে।এর ফলে জীবাণু কমে যাওয়ায় শরীরে সংক্রামক রোগ কম হয়।
২/রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃপ্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খেলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পায় ফলে উচ্চ ও নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩/দৃষ্টিশক্তি উন্নত করেঃপেয়ারায় থাকা প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-এ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।এছাড়া চোখের ছানিপড়া,ম্যাকুলার ডিজেনারেশন,গ্লুকোমার মতো রোগও প্রতিরোধ করে।
৪/রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃপেয়ারায় থাকা প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-সি শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্হা মজবুত করে।ফলে ছোট,বড় সব ধরনের রোগ শরীর সহজে প্রতিরোধ করে।
৫/মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি করেঃপেয়ারায় থাকা প্রচুর পরিমাণ-ভিটামিন-বি৩ ও বি৬ মসিতষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়।ফলে মস্তিষ্কের কগনিটিভ ফাংশন-স্মৃতিশক্তি,বুদ্ধি ও মনোযোগের উন্নতি ঘটে।
৬/জটিল রোগ কমায়ঃপেয়ারায় থাকা লাইকুপেন,কুয়েরসেটিন,ভিটামিন-সি ও পলিফেনল শরীরে জমতে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানগুলো বের করে দেয়।ফলে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
৭/কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়ঃপেয়ারায় থাকা প্রচুর পরিমাণ ফাইবার পেটে পীড়া,কোস্ট কাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করে।
৮/রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেঃপেয়ারায় থাকা প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রক্তে শর্করা ও সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
৯/হার্টের ক্ষমতা বাড়ায়ঃশরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের লেভেল ঠিক রাখার মধ্য দিয়ে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা নেয় পেয়ারা।ক্ষতিকর ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্টকে সুস্হ রাখতে ভূমিকা পালন করে পেয়ারা।
১০/ত্বক ফর্সা করেঃপেয়ারার খোসা দিয়ে ডিমের কুসুম মিশিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে ফেলুন।এরপর সেটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।সপ্তাহে ২-৩ বার এভাবে পরিচর্যা করলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
আমার পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে বেশি বেশি শেয়ার করুন।ধন্যবাদ।