প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন। সবাই ভালো আছেন আশা করি। আমি আজ আপনাদেরকে একটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস সম্পর্কে বলবো । সেটি হল চাকরি বনাম ব্যবসা এই দুটি নিয়ে পার্থক্য আমি আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। আপনারা আজ বুঝতে পারবেন কোনটি আসলে ভালো সেই সম্পর্কে। তাহলে বন্ধুরা চলুন কাজের কথায় আসি।
চাকরি নাকি ব্যবসা নিয়ে অনেক দীর্ঘ দিন যাবৎ বিতর্ক। যদিও যারা জ্ঞানী বা বিজ্ঞ তাদের কাছে এটা কোন বিতরকের বিষয় নয়। কিন্তু অনেক অনেক মানুষ আছেন যারা এই দুইটাকে গুলিয়ে ফেলেন এই দুটি বিষয় নিয়ে অনেক বিতর্ক সম্মুখীন হন। বিশেষ করে পড়াশোনা শেষ করার পর অনেকেই ভাবেন ব্যবসা নাকি চাকরি কোনটি করা যায়। তাই আজকে এই লেখায় আমি এই দুটি বিষয় এর এর পার্থক্য তুলে ধরব।
প্রথমত আসি স্বাধীনতার কথায় –
চাকরি মানে কি। চাকরি মনে হচ্ছে অন্যের অধীনে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা। এক্ষেত্রে বোঝা যায় চাকরিজীবী স্বাধীনতা নেই বললেই চলে । আপনার পরিবারের যতই সমস্যা থাকুক না কেন আপনি একদিন অফিস মিস দিতে পারবেন না।
এ সম্পর্কে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস বলেছিলেন চাকরি হচ্ছে আধুনিক দাসপ্রথা। চাকরি করা একজন আত্মমর্যাদাশীল সম্পন্ন ব্যক্তির জন্য অবমাননাকর।
দ্বিতীয়তঃ আসি অফুরন্ত আয়ের কথায়:
চাকরির ক্ষেত্রে বেতন যা দেয় তাই পর্যন্ত সীমিত থাকে। কিন্তু ব্যবসার ক্ষেত্রে এই আয় হচ্ছে অফুরন্ত বা অসীম। যেখানে ঝুঁকি বেশি থাকে সেখানে আয় বেশি থাকে। মার্ক জুকারবার্গ বলেছিলেন ঝুঁকি না নেওয়া এ সবচেয়ে বড় ঝুঁকি। এখনো ব্যবসার আয় এত দ্রুত গতিতে বাড়ে যে চাকরির সাথে ব্যাবসাতে তুলনা করায় বেমানান।
তৃতীয়তঃ আসি কর্মসংস্থান তৈরির কথায়:
একজন ব্যবসায়ীর বিভিন্ন বেকার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে দেশের বেকারত্ব দূর করতে পারে। একটি দেশ তখনই এগিয়ে যায় যখন সেই দেশ ব্যবসা-বাণিজ্য সমৃদ্ধ হয়। এক্ষেত্রে বলা যায় ব্যবসায়ীরা এই দেশকে অনেক সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
চতুর্থত আসি ক্রিয়েটিভ এবং স্মার্ট লাইফের কথায়:
ব্যবসা করা হচ্ছে একটি সৃজনশীল প্রতিভা। ব্যবসা করে আপনি আপনার প্রতিভাকে ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু চাকরির ক্ষেত্রে বসে যা বলবে তাই করতে হবে এক্ষেত্রে আপনার আলাদা কোনো প্রতিভা ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। তাই চাকরির মাধ্যমে আপনি সমাজ পরিবর্তনের কোনো ভূমিকা রাখতে পারবেন না এটুকু বলা যায়।
এজন্য ইতিহাস পরিবর্তনে যাদের অগ্রণী ভূমিকা ছিল তারা সবাই ব্যবসায়ী ছিল। মহানবী সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম প্রাথমিক জীবনে একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। অতএব সর্বশেষে এইটুকুই বলা যায় একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনে ব্যবসার কোন বিকল্প নেই।
ধন্যবাদ সবাইকে পোস্টটি পড়ার জন্য। আপনারা এখন হয়তো চাকরি আর ব্যবসার মধ্যে পার্থক্যটা বুঝতে পেরেছেন আশা করি।