আসসালমুআলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন, লম্বা ,ঘনো চুল প্রতি টা নারির কাছে খুব প্রিয়, কিন্তু চুল পড়া সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে প্রতিটি নারীর কাছে এটি এখন অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। লম্বা, ঘন চুল প্রত্যেকটা নারীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। চুল পড়া সমস্যা টা শুধুই যে মেয়েদের তা নয় ছেলেদেরও বর্তমানে এই সমস্যাটা অনেক বেশি হচ্ছে। তবে সকল সমস্যার সমাধানও আছে। বেশ কিছু নিয়ম বা পদ্ধতি অবলম্বন করে এই সমস্যা থেকে মুক্ত পাওয়া যায়। মিছে এই পদ্ধতি গুলো দেওয়া হল।
১. রাতে ঘুমানোর আগে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত নারিকেল তেল ম্যাসাজ করুন। সকালে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। যদি রাতে তেল দিয়ে ঘুমাতে সমস্যা হয় তবে শ্যাম্পু করার কমপক্ষে 30 মিনিট বা আধা ঘন্টা আগে তেল দিয়ে রাখতে হবে। শ্যাম্পু করার আগে তেল দিয়ে রাখলে চুল অনেক বেশি সিল্কি হয়।
২. চুল পড়া সমস্যার সমাধানের অন্যতম একটি উপায় হল অ্যালোভেরা জেলের ব্যবহার। অ্যালোভেরা জেল ব্লেন্ড করে চুলে ১ ঘণ্টা লাগিয়ে রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুল পড়া কমানো ও মাথার ত্বকের চুলকানি দূর করবে। অ্যালোভেরা জেল চুলের জন্য খুব উপকারী।
৩. ডিমের কুসুমের সঙ্গে সামান্য অলিভঅয়েল ও লেবুর রস মিশিয়ে চুলে ১ ঘণ্টা লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। এটি চুল পড়া তো বন্ধ করবে এবং দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। ডিম চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং চুলকে করে তোলে আরো বেশি সিল্কি ও সাইনিং।
৪. অলিভঅয়েল চুলে ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। চুলের জন্য অন্যতম একটি উপকারী উপাদান হলো অলিভ অয়েল। চুল পড়া রোধ করে।
৫. পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এর পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পেঁয়াজের রস শুধু চুল পড়া বন্ধ করে না। নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। পেঁয়াজের রস সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করা উত্তম।
উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি গুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে আশা করা যায় আমাদের চুল পড়া আগের থেকে অনেকটা কমবে।
চুল ছেলে-মেয়ে উভয়ের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। সে কারণে বেশি চুল পড়লে এমনিতেই সবার মনে টেনশন জাগে। তবে এই অবস্থায় টেনশন না করাই শ্রেয়। অতিরিক্ত টেনশন করাও চুল পড়ার অন্যতম একটি কারণ। চুলের সমস্যা কতটুকু সেটা নিজেদেরকেই বুঝতে হবে। দিন যদি 20 থেকে 30 টা চুল পড়ে তাহলে সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু এর বেশি চুল পড়লে সেটা সমস্যা বলে বুঝতে হবে। তখন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে হবে।
ধন্যবাদ আমার পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য
আল্লাহ হাফেজ।