Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

চুল ঘন করতে চাই!!! জেনে নেই কিছু ঘরোয়া উপায়।

আসসালামু আলাইকুম

চুল পড়া রোধ বা চুল সোজা করার পাশাপাশি আরেকটা বিষয়ে লক্ষ্য রাখা উচিৎ আর তা হলো চুল ঘন করা। আজ বরং চুল ঘন করে চুলের গোছা বাড়ানোর কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে নেয়া যাক।
১।। তেলঃঃ তেল দিয়ে খুব সহজেই চুল ঘন করা যায়। সাধারণত আমরা নারিকেল তেল ই বেশি ইউজ করি। কিন্তু আরও ভালো ফল পেতে হলে নারকেল তেলের সাথে অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল,সরিষার তেল,বাদাম তেল এবং ভিটামিন ই ক্যপসুল নিয়ে হালকা গরম করে মাথার তালুতে মেসেজ করতে হবে। এভাবে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।
২। ডিম ঃঃ ডিম হলো প্রাকৃতিক প্রোটিন। ডিমের সাহায্যে খুব সহজেই চুলের প্রোটিনের অভাব দুর করা যায় এক্ষেত্রে ডিমের শুধু সাদা অংশ ফেটে চুলের গোড়া সহ পুরো চুলে লাগানো যেতে পারে আবার পুরো ডিম টাই ব্যবহার করা যায় এক্ষেত্রে এক্টু গন্ধ হয়।
এভাবে সপ্তাহে অন্তত এক দিন এটা ব্যবহার করতে হবে।

৩। এলোভেরা ঃঃ এলোভেরা জেল এর সাহাযে চুল ঘন ও করা যায়। প্রায় প্রতিদিন এলোভেরা জেল এবং সাথে অল্প মধু মিশিয়ে মাথার তালুতে মেসেজ করতে হবে। এর সাহায্যে চুল বাউন্স ও করবে।

৪।। মধুঃঃ মধুর সাহায্যে ও চুল ঘন করা যায়। এক্ষেত্রে মধু যেহেতু আঠালো তাই অল্প পরিমান মধু মাথায় তালুতে ব্যবহার করতে হবে যাতে প্রতি চুলের গোড়ায় পৌঁছাতে পারে। ব্যাস তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

৫।পেয়াজঃঃ চুলের গোড়ায় পেয়াজ ঘষলে রক্তসঞ্চালন বাড়ে যার ফলে চুলের গ্রোথ বাড়ে। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন চুলের গোড়ায় ২০ মিনিট পেয়াস ঘষে নিলেই চুল ঘন হতে শুরু করে।

এছাড়া ও চুলের গোড়া ম্যাসাজ করলে রক্তসঞ্চালন বাড়ে এবং চুল আগের থেকে ও ঘন হয়। সেক্ষেত্রে হালকা গরম তেল নিয়ে চুলের গোড়ায় বেশ কিছু ক্ষণ ধরে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করতে হবে। এমনকি ম্যাসাজ করার সময় চুল উপুড় করে নিলে আরও ভালো উপকার পাওয়া যায়। তেল ছাড়া ও যখনি সময় পাওয়া যাবে তখনি শুকনো হাতেও ম্যাসাজ করলে উপকার পাওয়া যায়।
চুল ঘন করতে মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে ররক্তসঞ্চালন ভালো হয় এবং চুলের সমস্যা সমাধান হয়। পুষ্টিকর খাবার এবং নিয়মিত পানি পান সব সময় চুলের সমস্যা সমাধানে অভাবনীয়।

কোন সমস্যা র সমাধান ই হুট করে পাওয়া সম্ভব নয় এজন্য নিয়মিত সময় নিয়ে চুলের যত্ন করা প্রয়োজন। যেহেতু প্রাকৃতিক উপায় সেহেতু প্রতিটি কাজ ই সময় সাপেক্ষ। কিন্তু এতে কোন ক্ষতিকর প্রভাব নেই। তাই এগুলো ই বিশ্বস্ত পন্থা চুলের সমস্যা সমাধানের জন্য।

ধন্যবাদ।

Related Posts

1 Comment

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No