আমরা অনেকেই চাই ছাত্রাবস্থা থেকেই নিজের হাত খরচ চালানোর মতো টাকা ইনকাম করতে।কিন্তু দেশের বেশিরভাগ স্টুডেন্টই এই হাত খরচ চালানোর জন্য টিউশনির উপরই নির্ভরশীল। দিন এখন বদলেছে.. বদলেছে এখন মানুষের চিন্তাধারাও।তথ্য প্রযুক্তির ক্রমশ বৃদ্ধির সাথে সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে সাথে ঘরে বসে ইনকামের পথও সুগম হয়েছে। এখন ছাত্রাবস্থায় কেউই পুরোপুরি টিউশনির উপর নির্ভরশীল নেই।
এখন হাতে একটা এন্ড্রয়েড ফোন আর নেট কানেকশন থাকলেই আপনি ইনকাম করতে পারবেন হিউজ পরিমাণ টাকা। আমরা বেশিরভাগই উপযুক্ত পরামর্শ আর আউটসোর্সিং এর ব্যাপারে সঠিক গাইডলাইনের অভাবে এই লাইনে আসতে পারি না। আজকে আমি কিভাবে ঘরে বসেই ছাত্রবস্থায় নিজের পকেট খরচ চালানোর মতো টাকা ইনকাম করতে পারবো তা নিয়ে আলোচনা করব।
কন্টেন্ট লিখে আয়: আমরা অনেকেই ফেসবুক ওয়ালে নানা গল্প, ক্রিকেট বিষয়ক আলোচনা,বিজ্ঞান ভিত্তিক আর্টিকেল,শিক্ষা সম্পর্কীত তথ্য শেয়ার করে থাকি। বিনিময়ে আমরা কয়েকটি লাইক কমেন্ট ছাড়া কিছুই পাই না। কিন্তু আপনি কি জানেন ইন্টারনেটের দুনিয়ায় আপনার এই লেখা গুলো কন্টেন্ট ক্রিয়েটিভ সাইটে প্রকাশ করে থাকেন তাহলে আপনি ১ টি আর্টিকেলের মাধ্যমে ২০০-৩০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
একবার ভেবে দেখুন যেই মেধা খরচ করে আপনি কয়েকটি লাইক কমেন্ট পাচ্ছেন সেই মেধা দিয়েই আপনি ঘরে বসেই হিউজ পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারতেছেন। যদি আপনার ক্রিয়েটিভ লেখার মতো মেধা থেকে থাকে তাহলে আপনি নিজেকে কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবেন পাশাপাশি টাকাও ইনকাম হয়ে যাবে। অনলাইনে অনেক সাইট আছে বাংলা কন্টেন্ট লিখে আয় করার। তার মধ্যে আমার Grathor.com কেই সবচেয়ে বেটার মনে হয়েছে। এই সাইটে কিভাবে রেজিষ্ট্রেশন করে ইনকাম করবেন সেটা পরবর্তী আর্টিকেলে জানিয়ে দিব।
ভিডিও এডিটিং: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা বেশিরভাগ সময় কাটাই ভিডিও দেখে।কিন্তু আপনি কি একবার ভেবে দেখেছেন আমরা যে ভিডিও নিজের পকেটের টাকা খরচ করে দেখি আর সেই ভিডিও আপলোড দিয়ে টাকা কামাই নিয়ে যাইতেছে।ফেসবুক, ইউটিউব দুটি জনপ্রিয় মাধ্যম আমাদের দেশে।
এই সাইট গুলোতে কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন ভিজিট করে। আপনার যদি ভিডিও এডিটিংয়ে দক্ষতা থাকে তাহলে এই কোটি কোটি মানুষের দিয়েই আপনি কোটি কোটি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ভাইরাল টপিক গুলো নিয়ে নিজের মতো করে একটা কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে ফেসবুক পেইজ বা ইউটিউবে দিয়ে আপনিও নিজের ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে পারবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনার পরিশ্রম করতে হবে।
আগে ভিডিও এডিটিং য়ের যেকোনো একটা সফটওয়্যারের কাজ শিখে নিবেন। তারপর নিজের ফেসবুক পেইজ বা ইউটিউবে ভাইরাল টপিক অথবা নিজের পছন্দের মতো কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে এডিট করে আপলোড করে দিবেন। ফাইভার সহ নানা সাইটে ভিডিও এডিটিংয়ের অনেক কদর রয়েছে। সেখানে একাউন্ট খুলেও আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:আপনার যদি বড় কোন পেইজ বা ইউটিউব চ্যানেল থেকে থাকে তাহলে আপনি অ্যামাজন সহ বড় বড় সাইটের প্রোডাক্ট গুলো আপনার পেইজে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। বিক্রয়ের উপর আপনাকে ২০-৩০% কমিশন দেওয়া হবে। এতে করে আপনার কোন টাকা ইনভেস্ট করতে হচ্ছে না। আপনি তাদের তাদের প্রোডাক্টের প্রচার করে টাকা ইনকাম করবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং লিখে ইউটিউবে চার্স করলে অনেক ভিডিও পাবেন। সেখান থেকে নিজের পছন্দ মতো কয়েকটি ভিডিও দেখে শিখে নিয়ে আপনি হয়ে যেতে পারেন অ্যাফিলেয়ট মার্কেটার।
মোটকথা আপনি যদি আউটসোর্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার যেকোনো একটা বিষয়ে এক্সপার্ট হতে হবে।কারণ বর্তমানে এই বেশিরভাগই মানুষই আউটসোর্সিং এর দিকে ধাবিত হচ্ছে।যার ফলে সেখানে বাড়তেছে প্রতিদ্বন্দ্বী। আর তাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় টিকিয়ে থাকার জন্য আপানাকে হতে হবে প্রতিনিয়ত আপডেট।
উপরে দেওয়া টপিক থেকে আপনি যেকোনো একটা বিষয় নিয়ে পারদর্শী হয়ে অনলাইনে জগতে নিজের একটা ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে পারবেন। আর তার জন্য দরকার সঠিক গাইডলাইন আর পরিশ্রম। পরবর্তী আর্টিকেলে আউটসোর্সিংয়ের আরো কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।আজ এই পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন।