আসসালামুয়ালাইকুম বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চাই, জীবনকে সুস্থ ও সবল রাখতে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা।মানুষ জীবনকে উপভোগ করতে চায়, চায় আনন্দমুখর করতে। খেলাধুলা মানবজীবনে আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক। খেলাধুলা ও বিনোদনের উত্তম মাধ্যম। জাতীয় জীবনে বিনোদন হিসেবে খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। এর প্রয়োজনীয়তা ব্যক্তি থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ। খেলাধুলার সাধারণত দুই ধরনের। একটি হচ্ছে ঘরোয়া খেলাধুলা এবং অপরটি হচ্ছে বহির্জগতের খেলাধুলা। এ দুশ্রেণীর খেলার মাঝে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক খেলা হতে পারে। খেলাধুলা মানুষকে নিয়মানুবর্তিতা ও চরিত্র গঠনে সহায়তা করে।খেলার মাঠে খেলোয়াড়দের কে অবশ্য মাঠ কর্তৃপক্ষ ব্যাপারে সকল সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হয়। এছাড়া পরিমিত খেলাধুলা মানুষের মনকে সুন্দর ও প্রফুল্ল রেখে চরিত্র গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। খেলাধুলার প্রেক্ষিতে পরোক্ষভাবে হলেও গোটা মানবসভ্যতার চরিত্র সুন্দর ও বিকশিত হয়। খেলার ছলে শিশুদের শিক্ষা দেয়ার নিয়মও আজকাল অনেক স্কুলে দেখা যায়। সারা বিশ্বের প্রগতিশীল সকল রাষ্ট্রেই খেলাধুলা জাতীয় উন্নতির কর্ম প্রেরণা শক্তি হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। জাপানের কলকারখানায় কাজ শুরু করার আগে হাজার হাজার কর্মী খোলা মাঠে১৫ মিনিট খালি হাতে ব্যায়াম করেন। জার্মানদের প্রতি পাঁচজনের অন্তত একজন কোনো-না-কোনো ক্রীড়া সংস্থার সক্রিয় সদস্য। একসময় চীনারা ছিল পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে রোগগ্রস্ত জাতি। কিন্তু গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠার পর থেকে চীনারা খেলাধুলাকে সুস্বাস্থ্য গঠনের পথ হিসেবে বেছে নিয়ে সেই বদনাম কেবল বন্ধ করেছে তা নয়, তারা সোনাও জিতেছে। এককথায় সারা বিশ্বের সকল উন্নত ও অনুন্নত রাষ্ট্রে এখন খেলাধুলার গুরুত্ব স্বীকৃত। শরীর ভালো থাকলে মন ভাল থাকে। শরীর ও মন ভালো রাখার জন্য খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যক্তির মধ্য দিয়ে যখন সমগ্র জাতীয় জীবনে খেলাধুলা ছড়িয়ে পড়ে তখন খেলাধুলার আয়োজন করা হয় মনের খাদ্য যোগাবার জন্য। খেলাধুলার মাধ্যমে মনের স্বাস্থ্য রক্ষা করা যায় সুন্দরভাবে। তাই জাতীয় জীবনে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। খেলার রাজ্য জাতিকে কর্মের বন্ধন,তুচ্ছ টা এবং দুঃখ গ্লানি থেকে মুক্তি দেয়। পরাধীন মনোবৃত্তি, ক্লান্তি, আশাহীন জাতির জীবনে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। অকাল বার্ধক্যের হাত থেকে জাতিকে নতুন যৌবনের প্রাণচাঞ্চল্যে উজ্জীবিত করে খেলাধুলা। যে জাতির মধ্যে সুস্থ ও সবল লোকের অভাব রয়েছে সে জাতি কখনো উন্নতি করতে পারে না। খেলাধুলা জাতিকে উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। আজকাল খেলাধুলা জাতীয় জীবনে সীমাবদ্ধ না থেকে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব মানব গোষ্ঠী একই আসনে বসে আনন্দ উপভোগ করছে। তাই বলা যায় খেলাধুলা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সেতুবন্ধন। সুপ্রাচীনকাল থেকে মানুষকে সুস্থ দেহ, সবল ও কর্মক্ষম করে রাখার জন্য বিভিন্ন খেলার প্রচলন ছিল। খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৩০০০ বছর আগে প্রাচীন মিসরের খেলা ছিল ডাল কুকুর নিয়ে শিকার। কুস্তি খেলার প্রথম সূচনা হয় ইরাকে, ৪০০০ বছর আগে সূচনা হয়। প্রাচীনকালে বিভিন্ন দেশে শারীরিক সামর্থ্য পরীক্ষার জন্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজিত হতো। তাই জীবনকে সুস্থ ও সবল রাখতে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। ধন্যবাদ সবাইকে।