Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

জীবন সম্পর্কে অনুপ্রেরণার গল্প

প্রিয় পাঠক/পাঠিকা বন্ধুরা সবাইকে স্বাগতম। আজকে আমার একটা গল্প শোনানোর ছিল। একটি অনুপ্রেরণা ও বাস্তবতার গল্প বলি তাহলে-

যদিও কেউ উইস করেনি। বাড়ির বাইরে কাউকে বলি ও নি। দিনটা কিভাবে শেষ হলে গেল সেটাই একটা ক্ষুদ্র গল্প। আমি এমনিতে ঘুম থেকে উঠি ৬ তার আগেই। আজ উঠেছিলাম ৬ টা ১৪ মিনিটে। মোবাইল টা চিৎকার করে গলা ভেঙে আমাকে অনেক কষ্ট করে উঠিয়েছিল। বলতে গেলে মোবাইলটায় আমার কথা মনে রাখে। ফেসবুকের কেউ জানতে পারে না আমার আজ জন্মদিন। কারন এখানে কাগজ কলমের তথ্য দেওয়া। ৬ টা ৩০ এ আমার ঝনঝনানি মার্কা সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পরলাম প্রায় ১৮ কিলোমিটার এর যাত্রার উদ্দেশ্যে। বলা ভালো আমাদের উপজেলার প্রধান সড়ক কয়েক বছর আগেই বানানো হয়েছিল। কিন্তু এই চোখের পলকে রাস্তা পিক উঠে মাঝে মাঝে পুকুর হলে গেল। এবার মেরামতের জন্যে সেই পুকুরে ট্রাকটার দিয়ে চাষ করা হচ্ছে। পুরো রাস্তাটাই তেমন করা জয়েছে। যার ফলে দুই পেডেল চাপতে কাল ঘাম বেরিয়ে যায়। তবে পৌঁছাতে তো হবেই।

অনেক সময় ঘুরে ফিরে টিউশানিতে পড়াশোনা করার পর বাড়ি ফেরার পালা।
তারপর বাড়িতে ফিরেছিলাম ১১ টা কিংবা ১২ টার পর। দুপুরে শরীরে অলসতা ভর করলো। হাজার খানিক শব্দ টাইপ করার প্রয়োজন ছিল। কীবোর্ডে হয় দিতেই যেন চোখ দুটো সাথে ছেড়ে দিল। ঘুমের ঘোরে ডুবে গেলাম। বিকেলে মাঠে গিয়েছিলাম। যদিও বেশি সুবিধা হইনি। আমি খেলাধুলা করতে তেমন পারিনা। আবার এখন খেলাধুলা খুব বেশি কেউ করছে না। টুং টাং গেমিং এ ব্যাস্ত সকলে। আমার এক বন্ধু বসে ছিল। তার কাছে বিশাল দেহী দানব টাইপ আরেক বন্ধু এসে রাগী কণ্ঠে বলল, ‘ তোর খুব ভাব হয়ে গেছে তাই না।’ আমার সাথে একবার ফাইট করবি?’ শুধু তুই আর আমি। বাপের ব্যাটা হলে আয়। আমার বাতাসে উড়ে যাবে এমন বন্ধুটিও কম যায় না। সেও দ্বিগুণ উত্তাপে জ্বলে উঠল। মারামারি বাঁধবে মনে হলো। দুজনে পজিশন ও নিচ্ছে। আমি দূরে বসে ছিলাম। এবার আর বসে থাকা যায় না। তাদের ভেতর বনিবনা করে দিতে। হবে মারামারি বাঁধলে বাতাসে না উড়িয়ে তাকে তো ঐ হাতি মাটিতে মিশিয়ে দেবে। উঠে দাঁড়াতেই দেখলাম, একি তারা দুজনেই মোবাইল এ লেগে পড়লো। কিছুক্ষন পর আবার পাতলু বন্ধু চিল্লিয়ে বলে উঠল, দেখ আমার সাথে লাগতে আসলি! পরপর পাঁচ ম্যাচ আমিই জিতলাম।

আসলে ওরা ফ্রি ফায়ারিং নাকি গেম এর কথা বলেছিল। ভাগ্যিস যায় নি । নাহলে সে বিষয়ে না জানার কারনে ইজ্জতের ফালুদা, কাবাব ও ছাতু সব হতে যেত। হাহা কী হাস্যকর। ফ্রি ফায়ার, পাবজি এসব গেম আমাদের মস্তিষ্ককে কীভাবে নিম্নবর্গের করে দিয়েছে। পড়াশোনা বাদ দিয়ে ছাত্ররা এই গেমে লেগে থাকে।

সন্ধ্যায় রোজকার মতো কোচিং এর পড়া শেষ করলাম। এখন কিছু লিস্টের ফ্রেন্ডদের সাথে মেসেজিং করছিলাম। সেখানে আবার কিছুদিন ধরে এক ক্লাসমেট বান্ধবী দুঃখময় পোস্ট দিচ্ছে। আজ হঠাৎ সে মেসেজ করলো ‘ যদি কোনো ভুল করে থাকি মাফ করে দিস রে!’ আমি তো এখন জন্মদিন না পালনের শোকে আছি। কি রিপ্লে দিব? আমি আবার রিপ্লে মানে কথা বলতে খুব দূর্বল। কেউ হেল্প করবেন? কমেন্ট করে জানান মন খারাপ হলে কী করা যায়?

ঘুম আসছে। ঘুমানো দরকার। কিন্তু ঘুম আসবে না মনে হয়। জানিনা কেন? তবুও কাল আবার সকাল এ উঠে বের হতে হবে চাষের জমিতে ।

ভালো কথা ,’ নিজেকে শুভ জন্মদিন।’ একমাত্র উইস নিজেরই। কারন নিজেকেই নিজে ভালোবাসি। গল্প থেকে আমি শিখলাম বাস্তবে কেউ কারো খোঁজ রাখে না। তাই সবাই নিজেকে ভালোবাসুন। নিজের সুখের মুহুর্ত নিজেই উদযাপন করুন।

“জন্মদিনের গল্প”

Related Posts

7 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No