আসসালামুয়ালাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন উইন্ডোজ সর্ম্পকিত নানা তথ্য। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
উইন্ডোজ হচ্ছে আমেরিকার বিখ্যাত মাইক্রোসফট করপোরেশনে তৈরি চিত্র নির্ভর একটি জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম। আইবিএম বা কম্প্যাটিবল কম্পিউটারে এটি ব্যবহৃত হয়। এর জনপ্রিয়তার মূল কারণ হচ্ছে এর সুন্দর গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস বৈশিষ্ট্য, যা ব্যবহারকারীর সাথে বন্ধুভাবাপন্ন বা (user-friendly) আচরণ করে। এতে ডসের মতকমান্ড মুখস্ত রাখতে হয় না এবং কি-বোর্ডের মাধ্যমে টাইপ করে কম্পিউটারকে নির্দেশ দিতে হয় না। এতে মাউসের মাধ্যমে বিভিন্ন চিত্র বা আইকনে ক্লিক করে সহজে কাজ করা যায়। ১৯৯৫ সালে সর্বপ্রথম উইন্ডোজ।পরবর্তীতে প্রথম সংস্করণে অসুবিধাগুলো দূর করে এর দ্বিতীয় সংরক্ষন ২.০ বের করা হয়। তারপর ১৯৯০ সাল হতে ১৯৯২ সালের মধ্যে এর সংরক্ষন ৩.১১ বাজারজাত করা হয়। উইন্ডোজ ৩.১১ সংস্করনের পূর্ববর্তী সকল সংস্করণগুলোর অসুবিধাসমূহ দূর করা হয়। অবশ্য এ সংস্করণও ডস নির্ভর ছিল। ডস নির্ভর অসুবিধা দূর করার জন্য মাইক্রোসফট কর্পোরেশন১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট উইন্ডোজ ৯৫নামে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেম উদ্ভাবন করে বাজারজাত করে। এতে বস নির্ভর উইন্ডো সিস্টেম এর সকল অসুবিধাসমূহ দূর করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি পার্সোনাল কম্পিউটারের উইন্ডোজ ৯৫ ব্যবহৃত হয়। সাধারণ ব্যবহারকারী কনট সহজেই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে কম্পিউটার চালনা করতে পারে। পরবর্তীতে উইন্ডোজ ৯৮ সংস্করণ বের হয়। বর্তমানে উইন্ডোজ এর সংস্করণ উইন্ডোজ ২০০০ ও ইউন্ডোজ এক্সপি(XP), Windows Vista, Windows 7 ইত্যাদি বহুল জনপ্রিয় তার সাথে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে ডস থেকে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করা বেশি সুবিধাজনক। ডস ডস অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করা একটু বিরক্তি কর যেখানে আপনাকে একটু কমান্ড মুখস্ত রাখতে হয়। কিন্তু পক্ষান্তরে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে কোন রকম কমান্ড মুখস্ত রাখতে হয় না শুধুমাত্র মাউস এবং কিবোর্ড দিয়ে পরিচালনা করা যায়।
তো আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি কেমন হয়েছে তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন করোনা সম্পর্কে একটু সতর্ক থাকবেন।
খোদা হাফেজ।
গ্রাথোর আর্নিং প্রোগ্রাম | পোস্ট লেখালেখি করে খুব সহজেই ইনকাম করুন