আস্সালামু আলাইকুম।সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।রমজান মাস বরকতের মাস,আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাস।এই মাসে রোযাদাররা সূর্যাদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে পানাহার থেকে বিরত থাকেন।তবে এই রোযা থাকা নিয়ে,মুসলমানদের মাঝে বেশ কিছু ভুল ধারনা দেখা যায়।
~ভুল করে কিছু খেলে রোযা ভাঙ্গে না।আপনি যদি ভুল করে কিছু খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার রোযা বৈধ হবে।তবে বোঝার সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে।এক্ষেএে আপনি যদি ওজু করার সময় যদি অনিচ্ছাকৃত ভাবে পানি খেয়ে ফেলেন,তাহলে আপনার রোযা ভেঙ্গে যাবে।কারন এই ভুল এরানো সম্ভব।তাই রোযা রাখা অবস্থায় গড়গড়া না করাই ভালো।এতে পানি গিলে ফেলার সম্ভাবনা থাকে।
~অনেকেই মন করে মুখের লালা গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যায়।কিন্তু এটা ভুল ধারনা।নিজের লালা গলাধঃকরণ করা খুব স্বাভাবিক একটি শারীরিক প্রক্রিয়া।এতে রোযা ভাঙ্গে না।
~অনেকেই মনে করেন,সেহেরি না খেলে রোযা হবে না।এটা ভুল ধারনা।সেহেরি হচ্ছে সুন্নত আর রোযা হচ্ছে ফরজ,তাই সুন্নত থেকে ফরজের গুরুত্বটা অনেক বেশি।তবে সকালে যখন ঘুম থেকে উঠবে তখনই রোযার নিয়ত করতে হবে।
~সেহেরি খেয়ে ফজরের নামাজ পরার পর আপনি ঘুমালেন,তখন আপনার স্বপ্ন দোষ হয়ে গেছে,তাই বলে আপনি মনে করবেন না আপনার রোযা ভেঙ্গে গেছে।কারন স্বপ্নে যেটা ঘটে গেছে সেটাতে তো আপনার নিজের কোনো হাত নেই।তাই আপনার রোযা হবে।
~অসুস্থ অন্তঃসত্ত্বা,দূর্বল ও ভ্রমনকারীর জন্য রোযা রাখা আবশ্যিক নয়।কারন ইসলামে শুধু প্রাপ্ত বয়স্ক ও সুস্থ ব্যক্তির রোযা রাখা ও ফরজ করা হয়েছে।
~কোনো ধরনের মাজন,কয়লা,ও টুথপেষ্ট ব্যবহার করা মাকরুহ।আর এর কোনো কিছু সামান্য পরিমান গলার মধ্যে চলে গেলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
~তরকারীর লবন চেখে ফেলে দিলে রোযা মাখরুহ হয়ে যায়।তবে কোনো মনিব বা কোনো নারীর স্বামী বদমেজাজী হলে জিহ্বার অগ্রভাগ দিয়ে লবন চেখে তা ফেলে দিলে এতটুকুর অবকাশ আছে।
~রোযা রাখা অবস্থায় বমি করলে রোযা ভাঙ্গে না।তবে বমি করার সময় যদি ঐ বমি আপনি গিলে ফেলেন।তাহলে আপনার রোযা ভেঙ্গে যাবে।
~হাত কেটে বা রক্ত বাহির হলে আমরা মনে করি রোযা ভেঙ্গে যায়,আসলে রোযা ভাঙ্গে না।অনেকেই বলে রোযা হালকা হয়ে যায়।এসব কিছুই না।
~চোখের ড্রপ কানের ড্রপ দিলে রোযা ভাঙ্গে না। তবে যেসব ঔষধ মুখে দিয়ে খেতে হয়,সেগুলো খাওয়া নিষিদ্ধ। সেগুলো সেহরির আগে এবং ইফতারের পরেই খেতে হবে।
মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে ৩০ টা রোযা রাখার তৌফিক দান করুক।