আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই?আশাকরি ভালো আছেন।আজকের পোস্টে আমি আপনাদেরকে খেজুরের গুণাগুণ সম্পর্কে জানাব।
খেজুরের মতো প্রাকৃতিক গুণের সমাহারসমৃদ্ধ ফল খুব কমই আছে।এই বাদামি রংয়ের ছোট্ট মিষ্টি স্বাদযুক্ত ফলটি আমাদের শরীরের চাহিদাই শুধু মিটায় না,অনেক রোগ-বালাই থেকে রক্ষা করে।বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে এই ফলটির আলাদা গুরত্ব রয়েছে।বর্তমানে মুসলিম বিশ্বজুড়ে রমজান মাস চলছে,আর এই মাসে মুসলমানরা সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখে থাকেন।এই সময় ইফতার,সেহরিতে এই ফলটি খাবারের তালিকায় উপরের দিকে থাকে।স্বয়ং নবী(সা:) এই ফলটির নানা উপকারের কথা বলে গেছেন।আসুন জেনে নিই এই ছোট্ট ফলের কি কি গুণাগুণ ও উপকারিতা রয়েছে-
১। হৃদযন্ত্র ভালো রাখে,হার্ট অ্যাটাক রোধ করে:খেজুরে রয়েছে প্রচুর ফাইবার যা আমাদের হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে।এছাড়া এতে থাকা পটাশিয়াম,ম্যাগনেশিয়াম হার্ট অ্যাটাক রোধ করে।একটি গবেষণায় দেখা যায়,প্রতিদিন ১০০ মিলিগ্রাম খেজুর খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৯% হ্রাস করে।তাই আমাদের হার্ট সুস্হ রাখতে প্রতিদিন খেজুর খাওয়া উচিত।
২। কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়:এটিতে প্রচুর ফাইবার রয়েছে,যা হজমশক্তি উন্নত করে।আর হজমশক্তি উন্নত হলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।এছাড়াও এটি পেটের গ্যাসের সমস্যা দূর করে।
৩। বাতের ব্যথা দূর করে:খেজুরে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে।ম্যাগনেশিয়ামে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বাতের ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে।তাই যাদের বাতের ব্যাথা রয়েছে তারা প্রতিদিন খেজুর খেতে পারেন।
৪।রক্তচাপ ও স্বল্পতা নিয়ন্ত্রণ করে:খেজুরে থাকা পটাশিয়াম,ম্যাগনেশিয়াম,পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।এছাড়া এতে থাকা আয়রন লোহিত কণিকা ও রক্তকণিকার ঘাটতি দূর করে।তাই যাদের রক্তচাপ ও স্বল্পতা রয়েছে তারা খেজুর খেতে পারেন।
৫।গর্ভবতী মায়ের জন্য উপকারী:খেজুরে থাকা পুষ্টিকর উপাদা গর্ভবতী মায়ের জরায়ুর পশিকে শক্তিশালী করে।এছাড়া গর্ভবতী মায়ের প্রসবজনিত রক্তস্বল্পতাও দূর করে।
৬। স্নায়ু সতেজ রাখে:এটিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে, যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্র সতেজ রাখে।এছাড়া আমাদের মষ্তিষ্কও ধারালো করে।তাই মস্তিষ্ক ধারালো করতে প্রতিদিন খেজুর খাওয়া উচিত।
৭। দাঁত মজবুত করে:খেজুরে থাকা ফ্লুরিন দাঁতে সৃস্টি হওয়া এনামেলের গর্ত দূর করে দাঁতের গঠন মজবুত করে।তাই দাঁত মজবুত করতে আমাদের খেজুর খেতে হবে।
৮। ত্বক ও চুল ভালো রাখে:এতে থাকা ভিটামিন-সি ত্বককে স্হিতিস্হাপক ও নরম রাখে।এছাড়া এটিতে থাকা ভিটামিন বি৫ স্ট্রেচ দূর করে,চুলের গঠন মজবুত ও সুন্দর করে।
বন্ধুরা,আমার পোস্টটি ভালো লাগলে বেশি বেশি শেয়ার করুন।ধন্যবাদ।