সুখী থাকতে কে না চায়? আর সুখী থাকতে কতজনই বা পারে । বিশেষজ্ঞদের মতে, সুখের কোনো নির্দিষ্ট ফর্মুলা নেই । যে কোন উপায়ে মানুষ সুখের সন্ধান পেতে পারে । তাই সুখের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি খুজুতে আগ্রহী অনেকে । তাই বিজ্ঞান সমর্থিত উপয়ের সন্ধান করেছেন বিশেষজ্ঞরা । এখান জেনে নিন দাম্পত্যজীবনকে সুখী করার কিছু বৈজ্ঞানিক উপায়ের কথা ।
১। ২০১৪ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল দম্পতি তাদের সমস্যা মোবাইলে টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে সমাধান করেন তাঁদের চেয়ে সামনাসামনি আলোচনা অথবা ফোনে কথোপকথনের মাধ্যমে সমাধানে অভ্যস্ত দম্পতিরা অনেক বেশি সুখী ।
২/ ২০১২ সালে ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় বলা হয়, যে সকল জুটি তাঁদের বিশের কোঠায় সম্পর্কের নানা টানাপড়েন সামলে উঠেন তারা বৈবাহিক জীবনে অনেক সুখী থাকতে পারেন ।
৩/ আরেক গবেষণায় বলা হয়েছে, যে সকল দম্পতির সন্তান নেই তারা অন্যদের চেয়ে বেশি সুখী।
৪/ ২০০৯ সালের এক গবেষণায় বলা হয়েছে , যারা দুজনের কাজকে রুটিনের আওতায় আনেন না, তাদের জীবনে একঘেয়েমি চলে আসে । দুজনের এলোমেলো কাজের সময়সূচি দুজনকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় ।
৫/ সংসারের কাজে দুজনই অংশ নিলে দম্পতিদের মধ্যে সংযোগ বাড়ে । এরা অন্যদের চেয়ে বেশি সুখী হন বলে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এক গবেষণায় বলা হয়েছে ।
৬/ ২০০৭ সালে রুটজার্স বিশ্ববিদ্যালয়য়ের গবেষণায় বলা হয়, যে দম্পতিরা উভয়ই নারী-পুরুষ সম-অধিকারে বিশ্বাসী তাঁরা অন্যদের চেয়ে বেশি সুখী ।
৭/ ২০০৪ সালে ‘মানি সেক্স অ্যান্ড হ্যাপিনেস’ শিরোনামে পরিচালিত গবেষণায় বলা হয়, বেশি বেশি সেক্স বেশি সুখী করবে তা ঠিক নয় । তবে দেখা গেছে, যে দম্পতিরা মাসে এক-দুই বার সেক্স করেন তাদের চেয়ে সপ্তাহে একবার সেক্স করা দম্পতিরা বেশি সুখী ।
৮/ ২০১৩ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, যে দম্পতির স্যোশাল মিডিয়ায় মিচুয়াল বন্ধু থাকে তাঁদের মধ্যে স্ট্রেস তৈরি হয় । কিন্তু ভিন্ন বন্ধু থাকলে তারা প্রথম দলের চেয়ে বেশি সুখী হয় ।
৯/ ২০০৯ সালে আমিরিকার এক জরিপে বলা হয়, যারা দুজনের উপার্জনকে মিলিয়ে-মিশিয়ে খরচের বাজেট তৈরি করেন, তারা অনেক সুখী । এ ক্ষেত্রে অভিযোগ বা বিতর্ক থাকলে সুখ নষ্ট হয় ।
১০/ লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, পছন্দ, সেন্স অব হিউমার ইত্যাদি বিষয়ে মিল যত বেশি, সুখের মাত্রাও তত বেশি ।
১১/ সেক্স যেখানে সুখের শর্ত সেখানে দেখা গেছে, যে দম্পতিরা রয়ে- সয়ে সেক্স উপভোগ করে তাদের মধ্যে সুখের মাত্রা অনেক বেশি ।
১২/ ১০২০ সালের এক গবেষনায় বলা হয়েছে, যে দম্পতিদের উভয়ই কলেজ পাস করেছেন তারা বেশি সুখী । কিন্তু শিক্ষার খুব বেশি হেরফের থাকলে সুখের মাত্রাও কমে যায় ।
১৩/ ২০১৪ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, যে দম্পতিরা এঁকে অপরের সফলতাকে মূল্য দেন তারা অন্যদের চেয়ে বেশি সুখী হন ।
১৪/ ২০১৯ সালে গবেষণায় উঠে এসেছে, যে দম্পতিরা একটু বেশি ঘুমান তাঁর অন্যদের চেয়ে একটু বেশি সুখী হন। এর ফলে তাঁর একটু বেশি সময় কাছাকাছি থাকেন এবং এতে ভালবাসা বাড়া ।
বিঃদ্রঃ- এ ছারাও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেকের দাম্পত্য জীবনে বিভিন্ন ভাবে সুখ আসতে পারে । যা একমাত্র সৃষ্টি কর্তা ছাড়া অন্য কেও বলতে পারবেন না । এটা সম্পূর্ণ ভাগ্য দেবতার উপর নির্ভরশীল । ধন্যবাদ সকলকে ।