আসসালামু আলাইকুম আজকে যে গল্পটি বলব সেটি একটি কাল্পনিক গল্প বাস্তবতার সাথে যার কোন মিল নেই। এটি আমার দ্বিতীয় গল্প সুতরাং যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে সবাই সেটিকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
গল্পের শুরুতেই গল্পের হিরোইন কে নিয়ে কিছু কথা বলা যাক,,,,,,, আমাদের গল্পের হিরোইন হলো স্বাস্থ্যবান ধান গাছে চিকন মেয়ে চালের স্বাস্থ্যবিধি মেয়ে মুড়ি । কি আর বলব দেখতে যেমন সুন্দর তার তেমনি গুন। সাদা ধবধবে তার গায়ের রং। কাজের দিক থেকে কম নয় সে মানুষের পেটে যেতেই সব চর্বি কাটে। যাইহোক এবার বলা যাক হিরোদের কথা। সবাই ভাবছে হিরোদের মানে কি? এখানেই তো ঘটনা বস গল্পের হিরো 1 নয় দুইজন আমাদের হিরোরা জমজ ভাই । একজনের নাম ঝাল সরি সরি দেশি ঝাল আরেকজন দেশি পেঁয়াজ।
এখন মূল গল্পে ফেরা যাক ছোটবেলা থেকেই ঝাল আর পেঁয়াজের বাবা মুড়ির মা কে পটানোর চেষ্টা করত কিন্তু কি করার মুড়ির মা অনেক বুদ্ধিমতী। সে কথা বলেই কেটে যেত যে আমরা দুইজন দুই প্রজাতির আমাদের প্রেম সম্ভব না। পেঁয়াজ আর ঝাল এর বাবা সেদিন প্রতিজ্ঞা নিয়েছিল একদিন আমাদের বংশ এরমধ্যে সম্পর্ক হবে অর্থাৎ বিয়ে হবে যাই হোক।
মুড়ি যখন ছোট ছিল ঝাল পেঁয়াজ দুজনেই মুড়ি কে পছন্দ করত । হয়তো মুড়ি তাদের পছন্দ করত কিন্তু বলতে পারতে না। কিন্তু হঠাৎ একদিন ভিলেনের রূপে আসলো কৃষক। কেটে নিয়ে গেল মা সহ মুড়ি কে বাড়িতে। মুড়ির চলে যাওয়ার দুঃখে ঝাল পেঁয়াজ গান গাইতে লাগলো,,,,,,,,,, চলে যায় প্রানের মুড়ি চলে যায়, আমাকে কাঁদিয়ে চলে যায়, প্রেমের সমাধি ভেঙে ,গাছের শিকর ছিড়ে , মুড়ি যায় চলে যায়, তোমায় পাবোনা জানি পেঁয়াজের চোখের পানি ঝালের মুখে বয়ে যায়,,,, মুলা আন্টি কেঁদে যায়, সরিষা ভাবি বলে যায়, মুড়ি গেল কোথায় আআআ,,,,,,,আআ।।।। মনের কষ্টে ঝাল পেঁয়াজ সেদিন অনেক কেঁদেছিল। ওদের ছোটবোন পুদিনা ওদের বলেছিল তোদের প্রেম ভালোবাসা যদি সত্যি কারের হয় একদিন না একদিন তোরা এক হবেই।
পুদিনার কথাটির শুনে ওর স্বামী বুট বিরিয়ানি বলেছিল দুইজন ছেলে একজন মেয়েকে ভালোবাসে তারা দুজনেই তাকে পাবে তুমি ওদের মাথায় তুলছে কিন্তু পুদিনা। পরে পস্তাতে হবে।
যাই হোক আস্তে আস্তে ঝাল পুদিনা পেঁয়াজ সবাই বড় হয়ে গেল তাদেরকে কৃষক বাসায় নিয়ে গেল।
একদিন বিকেলবেলা হঠাৎ করে বাতাস বইছিল পুদিনার পাতা গুলো সুন্দর করে নড়ছিল ,ঝাল মুচকি মুচকি হাসছিল, পেঁয়াজ এর মুখটা গম্ভীর হয়েছিল ,এমন সময় কোথা থেকে উঠতে উঠতে কৃষক নিয়ে আসলো তাদের সেই মুড়ি কে বাহ মুড়ি সেই আগের চাইতে আরো অনেক সুন্দর হয়েছে দেখেতে। ঝাল আর পেঁয়াজের চক্ষু চড়কগাছ।
এবার তারা আর দেরী করলো না । দুজনেই চট করে গিয়ে মুড়ি কে প্রপোজ করে বসলো আর কিছু না বলে অন্য দিকে মুখ করে বসে রইল মুড়ি। কিছু বলার আগেই মুড়ি এ দিকে মুখ করে বলল আমি তোমাদের ভালোবাসি না । আমার ভালোবাসা তো আমার খালাতো ভাই সয়াবিন তেল। এবার ঝাল আর পিয়াজ কষ্টে তাদের বোন পুদিনা কে বলতে লাগলো প্রথমে ঝাল বলল, আমাকে কেউ কেটে রোদে শুকাতে দাও আমি আর এ জীবন রাখতে চাই না। পেঁয়াজ বলল আমাকে কেউ তরকারির সাথে চুলার তাপে কষাও না হলে ভাতের সাথে খেয়ে ফেলো এ জীবন রেখে কি লাভ যেখানে মুড়ি নেই।
এসব কথা শুনে বোন পুদিনা বলে উঠল,,,ইয়া আল্লাহ এসব কথা শোনার আগে আমায় কেউ ক্যান খেয়ে ফেললো না।।।।।না আমি আমার এ জীবন রাখতে চাইনা।।।
পুদিনার স্বামী বুট বিরিয়ানি এসব কথা শুনে একটা প্ল্যান বানালো। কৃষককে গিয়ে সে বলল প্ল্যানটা। এসব শুনে তো মহা খুশি আহারে তার অনেক টাকা উপার্জন হবে। বুট এর বুদ্ধি তা শুনলে।
পরেরদিন কৃষক ঝালা আর পেয়াজকে কেটে সয়াবিন তেলে ভেজে সাথে আরো অনেক কিছু দিয়ে তৈরি করল চানাচুর।
তখনো ঝাল পেঁয়াজ কান্নাকাটি করছিল আর বলছিল আমাদের সতীনের সাথে আমাদের থাকতে হবে সয়াবিন তেল তুই সরে যা।
কিন্তু কি করার কৃষক যা করার করে ফেলেছে বিকেলবেলা কৃষক সবকিছু নিয়ে বাজারে গেল। আসল ঘটনাটা তখনই ঘটলো সবাই দেখতে পেল কৃষক ঝালা আর পেঁয়াজ এ তৈরি চানাচুর দিয়ে মুড়ি কে একসাথে মাখলো।
পুদিনা অনেক কষ্টে কাঁদছিল তার প্রাণের ভাই দুইজনেই মুড়ির সাথে প্রেমে লিপ্ত হয়ে গেছে অথচ তাকে কিছু বলছেও না। পুদিনার কান্নাকাটি দেখে কৃষক তাকেও ঝাল মুড়ির সাথে মিশ্রিত করল এখন যদি বুট বিরিয়ানিকে এর সাথে আমি না দেই তাহলে তো বুট আমার নামে থানায় কেস করবে তার বউ অপহরণের জন্য। অগত্যা বুট কেও মিশ্রিত করতে হয়।
সুতরাং সবাই খুশি খুশি একসাথে থাকতে লাগল আর কৃষক মনের খুশিতে তাদেরকে পেপার এ ভাগ করে করে বিক্রি করতে লাগলো। যাই হোক এই ছিল আজকের ঝাল পেঁয়াজ আর মুড়ির প্রেম কাহিনী। হয়তোবা এজন্যই এদের নাম দেয়া হয়েছে ঝাল মুড়ির প্রেম কাহিনী।।।।।।।। আহারে বেচারা পেয়াজকে আবার কেন ছাড়বো আচ্ছা ঠিক আছে নাম দিলাম ঝাল পেঁয়াজ আর মুড়ির প্রেম কাহিনী।।।।।।। ধন্যবাদ সবাইকে।।।।