বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ,
বাংলাদেশ জাতীয় ওয়ানডে দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা এবং বাংলাদেশের আরও দুই ক্রিকেটার নাজমুল ইসলাম ও নাফীস ইকবাল ভয়ঙ্কর করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মাশরাফি বিন মুর্তজা গত দু’দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এবং শনিবার সংক্রামক ব্যাধির জন্য ইতিবাচক পরীক্ষা করেছিলেন তিনি। তিনি বর্তমানে তাঁর বাসভবনে পরিবার থেকে অবস্থায় রয়েছেন। মুর্তজা যিনি কেবল ওয়ানডে খেলেন এবং এই বছরের শুরুর দিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরে এসেছিলেন। তিনিসহ দ্বিতীয় হাই-প্রোফাইল ক্রিকেটার যিনি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। গত সপ্তাহে পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি কোভিড -১৯ এর জন্য ইতিবাচক পরীক্ষা করেছিলেন এবং পজিটিভ শনাক্ত হয়েছিলেন।
শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের পক্ষে ৩৬ টেস্ট, ২২০ ওয়ানডে এবং ৫৪ টি-টোয়েন্টি খেলা মুর্তজা বলেছেন, “আজ আমার কোভিড -১৯ এর ফলাফল ইতিবাচক হিসাবে এসেছে। প্রত্যেকেই আমার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।”
“আক্রান্তের সংখ্যা এখন এক লক্ষকে ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের সবাইকে আরও যত্নবান হতে হবে। আসুন আমরা সবাই ঘরে বসে থাকি, প্রয়োজন না হলে বেরোবেন না। বাড়িতে প্রোটোকল মেনে চলবেন। আতঙ্কিত হওয়ার পরিবর্তে আমাদের দরকার করোনার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ান। ”
মুর্তজা, যিনি বাংলাদেশ সংসদ সদস্য হিসেবেও রয়েছেন। মহামারীর মধ্যে তাঁর জনহিতকর কর্মকাণ্ডে বেশ সক্রিয় ছিলেন। নিজের শহর এবং নির্বাচনী এলাকা নড়াইলের জনগণকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
২৮ বছর বয়সী বাম-হাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু, তার নিজের শহর নারায়ণগঞ্জে খাদ্য ও অন্যান্য সরবরাহ বিতরণে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশের অন্যতম ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চল – কোভিড -১৯ এর জন্যও পরীক্ষা করেছিলেন এবং তার ফলাফলও পজিটিভ এসেছে।
অপরদিকে, ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের বড় ভাই বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার নাফিজ ইকবাল করোনভাইরাসটির জন্য পরীক্ষা করেছেন এবং তার ফলাফলও পজিটিভ আসে । বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামে হোম বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন।
ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান নাফিস ইকবাল ২০০৩ সালে বাংলাদেশের হয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। ৩৪ বছর বয়সী এই বাংলাদেশের পক্ষে ১১ টি টেস্ট এবং ১টি ওয়ানডে খেলে যথাক্রমে ৫১৮ ও ৩০৯ রান করেছেন।
গত মাসে বাংলাদেশের বিকাশ প্রশিক্ষক ও প্রাক্তন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার আশিকুর রহমান ভয়ঙ্কর ভাইরাসের জন্য পরীক্ষা করেছিলেন। এই রোগের কারণে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ সংক্রামিত হয়েছেন এবং ১৪০০ এরও বেশি মানুষ মারা গেছেন
আল্লাহ সবার সুস্থতা দান করুন।